আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ইমরানননননননননননননন, ইমরান খানের অনুসারী, পাকিস্থানী পাকিস্থানী'

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে কে এই ইমরান? বালকুঞ্চিত চেহারা নিয়ে অনেক মানুষই পেরেশান। উত্তর শুনে বোঝে না বেচারারা। ব্লগার। সে আবার কি? খবর পাঠাও চারদিকে। মোটামুটি হৈহৈরৈরৈ করে তারা খবর নিয়ে হাজির হলো, ইমরানের বাবার নাম, দাদার নাম, জ্ঞাতিগুষ্ঠির নাম।

ইমরানের পুরো ফ্যামিলি ট্রি তাদের সামনে। ইমরানের ইহলৌকিক বায়োগ্রাফি সহ পরিবারের সবার গ্রান্ড-বায়োগ্রাফিও প্রস্তুত। তথ্য বিশ্লেষক দল এবার প্রতিটা শব্দ, বাক্য চুলচেরা করে বিচার করছেন। এতদিন পলিটিক্স করে নিজেদের বাল পাকিয়ে ফেলেও মাইক ধরার জন্য তাদের স্টেজে মারামারি করতে হয়, আর কোথাকার কোন ইমরান এসে, হাটুঁর সমান যার বয়স হয় নাই, সে লেফটরাইট করায় যুদ্ধাপরাধীদের নুন খাওয়া স্তাবকদের! প্রয়োজনে প্রতিটা বাল পুনরায় লাল করে হলেও বের করতে হবে ইমরানের পিতৃ-মাতৃকুলের কোনো একটা গল্প যা রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করা যায়। মিটিং-ফিটিং এতো হচ্ছে, পত্রিকা-টকশোতে এতো শতো - কিছু তো বলতে হবে।

নতুন কিছু চাই-ই। কিন্তু কিছু নাই। তন্ন তন্ন করে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইমরানের ব্লগ/ফেসবুক ঘেটে কোনো রেফারেন্স দেয়া যাচ্ছে না যা বলে ধর্মানুভূতিতে কুতকুতি দেয়া সম্ভব। দাদাকে রাজাকার প্রমাণের ষড়যন্ত্র মাঠে মারা গেলো।

গুগল ফেল, চান্দে সাঈদী গিয়েও ফেল মারলো। কিন্তু কিছু একটা তো চাই। ফ, ম ও শ পত্রিকা অফিসে রুদ্ধদ্বার মাস্টারবেটিং এ ব্যস্ত। হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো ম - তার হাতে লাল টকটকে এক গুচ্ছ বাল, উত্তেজনায় নিজের বাল নিজেই উগলিয়েছেন। 'ইমরানননননননননননন!' সবাই নড়েচড়ে বসলেন।

উৎসুক নয়ন ম'র দিকে। তিনি আবারও চিৎকার করে উঠলেন, 'ওই সালা ইমরানননননননননননননন, ইমরান খানের অনুসারী, পাকিস্থানী পাকিস্থানী!' এই মহা-আবিস্কারের উত্তেজনায় প্রত্যেকের মগজবীর্য ছিটকে পড়লো পরের দিন, পত্রিকার শিরোনামে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।