আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

..এক চমংকার ফটোগ্রাফির অতীত..


...................এক চমংকার ফটোগ্রাফির অতীত.................... আমেরিকায় অনেক সুসভ্য নাগরিক আছেন যারা তাদের দেশের North West অন্চলের কোনো খোজ খবর রাখেন না . ফটোগ্রাফার রস হলের North West অন্চল নিয়ে তোলা চিত্র গুলো অনেককেই বিমোহিত করেছে............. রস এলভিন হল ফটোগ্রাফার "রস হল" ১৯০৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেচে ছিলেন । রস এলভিন হল তার গোটা জীবনের ৫০ টি বছরই আমেরিকার উত্তর পশ্চিমান্চলের পার্বত্য বনান্চলে ঘুরে বেরিয়েছেন ক্যামেরাকে সম্ভল করে । তার মৃত্যর আগে তিনি রেখে যান অসংখ্য দূর্লভ কিছু ছবি যা হাজার ছবি প্রেমিককে মুগ্ধ করে এখনো । ১৯৩১ সালে আইডাহোর স্যান্ডপয়েন্ট নামক ছোট একটি শহরে রস তার ফটোগ্রাফি শুরু করেন । তিনি এর পূর্বে ১৯২৭ থেকে ১৯২৮ সালে ইলিনয় এর কলেজ অব ফটোগ্রাফিতে গবেষনা শুরু করেন ।

রস এমন এক ফটোগ্রাফার যার জীবনে অসুস্হতা বর হিসেবে দেখা দিয়েছিলো , বয়স যখন ১৯ তখন তিনি খুব অসুস্হ হয়ে পড়েন কালাজ্বরে । এ সময় ডাক্তারের নির্দেশে ২ বছর তাকে বিছানায় থাকতে হয় । সুদীর্ঘ রোগশয্যায় থাকাকালীন সময়ে বাইবেলের কাহিনীর চিত্র , বিভিন্ন পৌরাণীক চিত্র কর্ম গভিরভাবে পর্যবেক্ষন করতেন , এইসব তার মধ্যে গভীরভাবে ছাপ ফেলে। দি মুন লাইট ১৯৩৯ তিনি সপ্তাহে ২০ ডলারের একটি ফটোগ্রাফির চিত্র অনুভব করেন যে , সাধারন ছবি তোলার জন্য তিনি নন , প্রকৃতি ও অনন্তকে ধরে রাখার জন্যই শুরু হয় তার গবেষনা । মানবজীবনের অতীত ইতিহাসই যে ছবির জন্ম কাহিনী ও অনন্ত সত্যটি রস অনুভব করেন ।

তার সুদীর্ঘ শয্যাশায়ী জীবন , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানুষের যন্ত্রনার অভিঙ্গতা , ১৯৩৮ সালে একটি কোম্পানীর ৩,১৫,০০০ নাবিকের চিত্র তোলার চুক্তি ,বিভিন্ন শিশু হোম , অনাথ আশ্রম, বৃদ্ধদের আশ্রমে তার ছিলো অবাধ যাতায়াত । সব মিলিয়ে মানুষের -প্রকৃতির যন্ত্রনা ও সৌন্দর্যকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে তার ফটো গবেষনা । সাদা কালো ফটোগ্রাফার হিসেবে পরিচিত উনি । তিনি "কোডাক ইষ্টম্যান" ব্যবহার করতেন এবং ১৯৪০ সালেই তিনি পৃথিবীর ১ম ১০ জন ফটোগ্রাফারদের ১ম হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেন । রস প্রকৃতির এতো কাছে এসে পৌছান যে আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমান্চলে প্রয় সময়ই থাকতেন ।

নেটিভ আমেরিকানদের জীবন যাত্রা , প্রকৃতির খেলা সবই তার ফটোগ্রাফির উপপাদ্য ছিলো । কোডাক ইষ্টম্যান রস মানুষের ব্যাথাতুর মুখ ,আনন্দ উজ্জল অথবা সন্ন্যাস নীরবতাকে আশ্রয় করে আশ্রয় করে চিত্র করেছেন । ফ্রাংকলিন রুজভেল্ট হতে শুরু করে রিচার্ড নিক্সনের সংগ্রামী জীবনের ঘটনাবহূল জীবনের ঘটনাবহুল সময়ে তাদের অনেক অনুভূতি ধরে রেখেছেন । ১৯৫২ সালে নিক্সনের এক বিশেষ ঘটনায় তোলা ফটোটি সম্পর্কে নিক্সন বলেন " এ যেন আমার অন্তরাত্নার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ" । নিক্সন রস এমন একজন ফটো গবেষক যাকে আমেরিকা বহু বছর মনে রাখবে, এতো আবেগ ও বাস্তবতা নিয়ে খুব কম জনই ফটো নিয়ে গবেষনা করেছে ।

গুনী জনেরা বলেন ফটো নয় "বাস্তব শিল্প".................. মানুষের জীবনকে তার কালের অতীত করে স্বরুপে চিত্রিত করাই অনন্ত , চিত্র গবেষক রস হল সেই কাজটাই করেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন......."ছবি যেনো শুধু ছবি নয়" সেটাই প্রমান করেছেন । দি ফ্লাইং ফিন ১৯৪৯ অহরহ, জুলাই ১৯৯৭ .
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।