আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারো সেই পুরান প্যাচাল… ডিম না মুরগী! মুরগী না ডিম!!

দিতে পারো একশ ফানুস এনে...আজন্ম সালজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই...

জ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই মনে হয় একটা প্রশ্ন বেশীরভাগ পাবলিকের মাথা খাচ্ছে, সেটা হচ্ছে, ডিম আগে না মুরগী আগে! না হলেও আমার পনের-বিশটা আর্টকেল/জ়োকস পড়া হয়েছে এই অসম্ভব গুরুত্বপূর্ন কিন্তু অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে। এই ঘটনা নিয়ে যে দেশে আগেকার দিনে কয়টা হরতাল হয়েছে তার হিসাব নাই। (যদিও বিরোধীদল বলতেন যে ইস্যু আছে, কিন্তু আসল ঘটনা জানে কয়জনে?)যাই হোক, সকল দেশের মানুষকে শান্তি দিতে এবার এগিয়ে আসলেন ইউকের শেফিল্ড এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা এগিয়ে এসে ঘোষনা করলেন, “মুরগী জয়যুক্ত হয়েছে!!!!” শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়াল বিভাগের প্রফেসর জন হার্ডিং এর নের্তৃত্বে গবেষকদল আবিষ্কার করেন যে, ডিমের খোসা তৈরীতে প্রধানত কাজ করে Ovocledidin-17(OC-17) প্রোটিন যা শুধুমাত্র পাওয়া যায় মুরগীর ডিম্বাশয়ে। কি করে প্রোটিনটি কাজ করে তা জানার জন্য তারা ব্যবহার করেন এডিনবার্গের UK National Supercomputer। ওসি-১৭ প্রোটিন সবার প্রথমে ক্যালসিয়াম কার্বনেট কণার সাথে যুক্ত হয়ে ক্রিস্টাল তৈরীতে সাহায্য করে। ক্রিস্টাল নিউক্লিয়াস যখন যথেষ্ট বড় হয়ে নিজেই আরো ক্রিস্টাল তৈরীতে সক্ষম হয়, তখন ওসি-১৭ ডিমের খোসা তৈরী করে। সুতরাং, মুরগীর জয়লাভ নিয়ে আর কোন সন্দেহ রইলো না। তবে, আর একটা প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এখনো পাওয়া গেল না, মুরগীটা আসলে রাস্তা কেন পার হতে গেল??!!! সূত্রঃ রিডার্স ডাইজেস্ট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।