আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাগতম মাহমুদুর রহমান তোমাকে স্বাগতম : তারা জোয়ার দেখেছে ভাটার টান দেখেনি

নাজমুল ইসলাম মকবুল

স্বাগতম মাহমুদুর রহমান তোমাকে স্বাগতম তারা জোয়ার দেখেছে ভাটার টান দেখেনি নাজমুল ইসলাম মকবুল প্রতিক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছেনা। এক দুই তিন করে প্রায় দশ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলো। আমাদের কাছে দিনগুলো যেন অতিবাহিত হচ্ছে কচ্ছপ গতিতে । মাহমুদুর রহমানের কলম থেকে বের হওয়া আগুনের গোলাসম গর্জন তথা মন্তব্য প্রতিবেদন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল দেশে অবস্থানরত বাংলাভাষীদের চুম্বকের মতো আকর্ষন করায় লুটেরাদের চুশুলে পরিণত হন তিনি। দেশ বিদেশের কোটি কোটি জনতা আমার দেশে প্রকাশিত মাহমুদুর রহমানের মন্তব্য প্রতিবেদন পড়ার জন্য রাত জেগে আমার দেশ অনলাইনে কিক করতেন।

এসব মন্তব্য প্রতিবেদনের সমাহার হবে এদেশের বাস্তব ইতিহাস। বাস্তব প্রতিচ্ছবি। কালের স্বাী। মাহমুদুর রহমান মুক্তি পাওয়ার পর গ্রেফতার হওয়া থেকে শুরু করে জেল ও রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি খোদ মাহমুদুর রহমানের কলম থেকে বের হয়ে আসবে এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তা পড়ার অধীর আগ্রহের প্রহর যে গুণছেন তা কারো অজানা নয়। আবার মুক্ত মাহমুদুর রহমানের আগুনঝরা মন্তব্য প্রতিবেদন আঘাত হানতে শুরু করবে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শোষক লুটেরাদের তখতে তাউসে।

এই ভয়ে যতই ঘনিয়ে আসছে বাংলার নর সার্দুল মাহমুদুর রহমানের মুক্তির সেই মাহেন্দ্র ন, যতই ঘনিয়ে আসছে ১৮ই মার্চ ততই কাঁপতে শুরু করেছে বাতিলের তখতে তাউস। ভেবেছিল ওরা মাহমুদুর রহমানকে কারারুদ্ধ করে রাখলে এবং এদেশের মাটি ও মানুষের তথা স্বাধীনতার কন্ঠস্বর আমার দেশ বন্ধ করে দিতে পারলেই তারা নিরাপদে লুটতরাজ করতে পারবে। পারবে যা খুশি তা করতে। কিন্তু তারা জোয়ার দেখেছে ভাটার টান দেখেনি। এক মাহমুদুর রহমান থেকে কোটি মাহমুদুর রহমানের জন্ম হবে এই বাংলাদেশে।

যারা শুধু বাংলাদেশ নয়, পথ দেখাবে বিশ্ববাসীকে। যার প্রমাণ বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য চলছে তুমুল আন্দোলন। চলছে মানববন্দন, প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসুচি। লেখালেখি হচ্ছে অসংখ্য অগণিত। একজন লেখক বা সাংবাদিককে এমন অমানুষিক কায়দায় গ্রেফতার ও নির্যাতন করার নজির যেমন বিশ্বের ইতিহাসে নেই তেমনি এর প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী এমন তুমুল আন্দোলনের ইতিহাসও খুজে পাওয়া মুশকিল।

আজ লুটেরারা হাহুতাশ করছে এই ভেবে যে, ফ্যাসিবাদি কায়দায় আমার দেশ বন্ধ করে আটকে রাখতে পারলাম না। মাহমুদুর রহমানের উপর সারাদেশে মামলার পর মামলা দিয়েও আর আটকে রাখতে পারবোনা বরং মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশকে সম্মানের শীর্ষ চুড়ায় তুলে দিয়ে কী ভুলইনা করলাম। এর মাশুল দেয় শুরু হয়ে যাবে। আমার দেশ পত্রিকা হবে এদেশের তথা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের প্রধান মুখপত্র। আর মাহমুদুর রহমান হবেন এর কান্ডারী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে শ্রদ্ধার পাত্র।

যার উপর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এবং যুক্তরাজ্যে হামলা করেও তাকে দমাতে পারেনি পিশাচেরা, আটকাতে পারেনি সেই শানিত কলমের গতি, তাকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ যে হবেনা তা তারা বোধ হয় ভাবতে পারেনি। মাহমুদুর রহমানকে যারা অপদস্থ করেছে তাদের দুরভিসন্ধি আজ বুমেরাং হতে চলেছে এবং অচিরেই এর পরিণতি তারা ভোগ করারও সময় আসছে। বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে, সাহসী কলমসৈনিক মাহমুদুর রহমান অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে স্থাপন করেছেন বিরল দৃষ্টান্ত। যা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। একটি সত্য রিপোর্ট নিজের পত্রিকায় প্রকাশের দায়ে নজিরবিহীন দন্ড প্রদান করায় বিশ্ববাসী শুধু হতবাকই হননি লজ্জিতও হয়েছেন।

মাহমুদুর রহমান নিজের মুল্যবান সময়ের প্রায় দশটি মাস জেলে বন্ধি থেকে জাতির তথা লেখক সাংবাদিকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নজিরবিহীন নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার তাদের ফ্যাসিবাদী মনোভাবই জাতির তথা বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচন করেছে। একজন সাংবাদিকের উপর প্রায় অর্ধশত মামলাই প্রমাণ করে সরকারের প্রধান প্রতিপ হিসেবে তারা মাহমুদুর রহমানকেই বেছে নিয়েছে। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে মাহমুদুর রহমানের আজ বড়ই প্রয়োজন। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিন।

নতুবা এই প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে আপনারাই ছারখার হয়ে যাবেন। আমাদের বর্তমান সমাজে মাহমুদুর রহমানের মতো প্রতিবাদী বজ্র কন্ঠের অধিকারী মানুষের অভাব মর্মে মর্মে অনুভব করছি। এধরনের নিঃস্বার্থ প্রতিবাদী কন্ঠের অধিকারী লৌহ মানব যেকোন দেশের যেকোন জাতির যে কোন পংকিলময় সমাজের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তাই আমাদের সমাজে মাহমুদুর রহমানের মতো ব্যক্তির আগুনঝরা লেখনির দরকার। তিনি অচিরেই মুক্ত হয়ে বিশ্বের সকল সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে হিমালয়ের মতো হিম্মত নিয়ে শক্ত হাতে কলম চালিয়ে যাবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।