আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৪/১০/২০১১ সবাই তারিখটা সংরক্ষণ করুন (সিরিয়াস পোস্ট)



জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে একটা স্বপ্ন দেখলাম। ১ম দৃশ্য- আমি যে স্কুলে চাকরী করি সেখানে সকাল বেলা হঠাৎ দিনের আলো ম্লান হয়ে গেল। চারিদিকে অন্ধকার হয়ে একটি বিস্ময়কর আওয়াজ ভেসে আসতে লাগলো। ছাত্র-ছাত্রী সহ আমরা সবাই মাঠে বেরিয়ে পড়লাম। এ-ওর দিকে তাকাতে লাগলাম।

কিছুক্ষণ পর উত্তর দিকের আকাশ থেকে একঝাঁক অচেনা আকাশযান (আমরা সচরাচর যে বিমান বা হেলিকপ্টার দেখি সেরকম নয়) দক্ষিণ দিকে উড়ে চলে গেল। আমি খুশি হলাম। ২য় দৃশ্য- সকাল বেলা কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছি। রাস্তাটা আধো শহুরে আধো গ্রাম্য-এরকম। একবার আকাশের দিকে তাকালাম।

একটি শঙ্খচিল অনেক উপরে উড়তে দেখলাম। কিছুক্ষণ হাঁটার পর আবার আকাশের দিকে তাকালাম। দেখলাম-চিলটা খুব দ্রুত মাটির কাছাকাছি চলে আসছে। একটি পাতাবিহীন গাছের ঢাল বরাবর এসে সেটি বিরাট দানব আকৃতি ধারণ করলো। পাখাগুলো বাদুড়ের পাখার মতো এবং মাথাটা ছাগলের মাথার মতো।

আমি দৌঁড় দিলাম। দেখলাম সব মানুষ প্রাণভয়ে ছুটাছুটি করছে। পেছন ফিরে দেখলাম-দানব আকৃতির পাখিটা একটা ছনের ছাউনি ঘরের চালায় বসে সেটিকে মুখ দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। একটি ঘরে লুকিয়ে পড়লাম। সেই ঘরে আরও কিছু মানুষ প্রাণ ভয়ে লুকিয়ে ছিল।

অনেক্ষণ লুকিয়ে থাকার পর একজন বলে উঠল-এভাবে লুকিয়ে থাকতে থাকতে আমরাতো মারা পড়বো। তারপর আমি বেরিয়ে পড়লাম। জনমানবহীন জঙ্গলী রাস্তায় আমি হাঁটছি। একটা আওয়াজ আমার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে-অক্টোবর ১৪, শুক্রবার, অক্টোবর ১৪, শুক্রবার, অক্টোবর ১৪, শুক্রবার-এভাবে অনেকবার। কান গরম হয়ে গেল।

ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘড়ির দিকে চোখ রাখলাম। তখন ভোর রাত-৪.১৫টা। চিন্তাযুক্ত মনে চোখ বন্ধ করে রইলাম। সকাল হলে বিছানা ছেড়ে দাঁত ব্রাশ করার ফাঁকে ক্যালেন্ডারের কাছাকাছি গেলাম।

একে একে অক্টোবর মাস পর্যন্ত উল্টালাম। ১৪ তারিখ বরাবর আঙ্গুল রেখে আমার বিস্ময়ের সীমা রইল না। বার বার দেখলাম। একি! এদিন সত্যিই শুক্রবার!!!!!!!!!!!!!!!!! নিজের ভেতর প্রত্যেক শিরা-উপশিরায় অজানা শংকার ঢেউ খেলে গেলো। অস্থিরতায় পেয়ে বসলো আমাকে।

এটা কী দেখলাম !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! স্বপ্নের গায়েবী আওয়াজের তারিখ-বার হুবহু মিলে যায় কিভাবে!!!!!!!!!!!!!!!! এটা কি কোন ম্যাসেজ?????????????????????????? যদি ম্যাসেজ হয়, কার জন্যে?????????????????????? ২/৩ দিন নিজের ভেতরের প্রশ্ন আর শংকার ঝড়ে নিজে নিজেই জবুথুবু হয়ে রইলাম। তারপর একদিন বেখেয়ালে 'হোয়াট উইল হ্যাপেন অন অক্টোবর ২০১১' লিখে নেট-এ গুগল সার্চ দিলাম। বেশ কিছু ভবিষ্যৎবাণীর সাইট হাজির হলো। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উইকিপিডিয়ার যীশুখ্রীষ্টের পৃথিবীতে পূণর্গামণ সম্পর্কিত সাইট, মায়ান ক্যালেন্ডার, নস্ট্রাডামাসের প্রিডিকশান ইত্যাদি। বাইবেলের অনুসারীরা কেউ কেউ মনে করছেন-চলতি বছরের মে মাসে যীশু পৃথিবীতে আসবেন।

এবং একই বছরের অক্টোবরের ২৮ তারিখ 'জাজমেন্ট ডে' হবে। মায়ান ক্যালেন্ডার বলছে ২০১২ সালে পৃথিবীর সৃষ্টি চক্র থেমে যাবে। আমার এক লন্ডনী বন্ধুকে ব্যাপারটা এসএমএসের মাধ্যমে জানালাম এভাবে- 'সেইভ দা ডেইট-১৪/১০/২০১১, ডোন্ট আস্ক 'হোয়াই?', জাস্ট সেইভ ইন ইউর মাইন্ড। এন্ড প্রে টু আল্লাহ ফর পিস। ' বন্ধু আমাকে ফিরতি মেইলে একটা লিংক দিয়ে মজা করে লিখলো- স্বপ্নের একটা ক্লু পাওয়া গিয়েছে-লিংক পড়ে যেটা জানলাম- অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন যে, এ বছরের শেষের দিকে পৃথিবীতে ২টি সূর্য দেখা যেতে পারে।

যে কারণে পৃথিবীতে প্রায় ২ সপ্তাহ পর্যন্ত রাতের বেলায়ও সূর্য থাকবে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! আমাদের মসজিদের ইমামকে ব্যাপারটা জানিয়ে একটি চিঠি দিলাম। বন্ধু-বান্ধব পরিচিত সবাইকে ব্যাপারটা জানালাম। আমি খুব ভালো ভাবেই জানি। এটা বলার পর অনেকের কাছেই আমি হাসির পাত্র হবো। চলতি বছরের উক্ত মাসের ঐ দিনে অথবা পুরো বছরের কোন না কোন দিনে যদি সেরকম (আমার স্বপ্নের আদলে) কিছুই না ঘটে সেক্ষেত্রেও আমার প্রেস্টিজ পাংচার হয়ে যাবে।

তথাপি আমার মনে হচ্ছে ব্যাপারটা সবাইকে জানানো প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকে ব্লগার বন্ধুদের সাথেও ব্যাপারটা শেয়ার করলাম। কিছু দায় থেকেও হয়তো মুক্তি পেলাম। আসুন আমরা সবাই আমাদের সুন্দর পৃথিবীর মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করি। আমিন।

উপরোক্ত লেখাগুলো পোস্ট করার পরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা পৃথিবীব্যাপী ঘটে চলছে। বিজ্ঞানীরা সৌরঝড়ের শংকার কথা জানিয়েছে। নিউজল্যান্ড-এর ভূমিকম্প। আরব দেশের মানুষগুলো কেমন জানি করছে। বিস্তারিত সবাই জানেন।

প্রকৃতি জাপানের উপর দিয়ে যা বয়ে দিচ্ছে তাও ভাবনার খোরাক হচ্ছে। আসুন আমার স্বপ্ন সত্য না হওয়ার জন্য প্রার্থনা করি। ১৪/১০/২০১১ তারিখে বা অক্টোবরের কোন শুক্রবারে কোন কিছু আমার বা আমাদের কারও জীবনে যেন অমঙ্গল বয়ে না আনে সে প্রার্থনা করি। প্রার্থনা করি শান্তির জন্য। আমিন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।