আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পায়খানা যদি কষা হয় তবে উন্নতমানের পায়খানা দিয়া কি হয়?



ডাক্তারে কাছে গেসেন এক নিম্নবিত্ত ভদ্রলোক। ডাক্তার জিজ্ঞাসিলেন, আপনার পায়খানা কেমন? রোগী কাচুমাচু হয়ে জবাব দিলেন, গরীব মাইনষ্যের আর পায়খানা, উপ্রে চালা নাই, পাশে বেড়া আর সামনে দিয়া ছেড়া কাপড়ের পর্দা। ডিজিটালায়নের এই যুগে মনে হয় এই উত্তর পরিবর্তিত হয়ে যাবে। রোগী কাচুমাচু হয়ে আর উত্তর দিবে না, 'আপনার পায়খানা ..' শোনার সাথে সাথেই উত্তর দিবে, "জ্বী স্যার পায়খানা পুরাই ডিজিটাল, কার্ড পাঞ্চ কৈরা ঢুকতে হয়, হাতের কোন কাজ নাই, পুরাটাই মেশিনে। এমনকি স্যার ওয়েবসাইটও আছে, চাইলে আগে থেকেই বুকিঙ দিয়া টোকেন নেয়া যায়... হে হে হে" মার্চের এক তারিখ থেকে পাসপোর্ট মেশিন রিডেবল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, অন্তত: আমি তাই জানি।

এই জন্য সামান্য ফি ও বাড়ছে, তবে সেইটা কিছু না। মেশিন রিডেবল হবার কারনে আগের মতো আর পাসপোর্ট সাইটের ছবি বুকপকেটে নিয়া লাইনে দাড়াইতে হয় না, এখন অরিজিনাল খোমাখানা নিয়া ঘন্টা তিন/চারেক লাইনে দাড়িয়ে ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলে বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ দিয়া তারপর পাসপোর্ট প্রসেসিঙ শুরু করতে হয়। পাসপোর্ট যারা করেছেন তারা জানেন গুরুত্বভেদে এর ফি কমবেশী হয়। নরম্যাল ডেলিভারী ২১ দিনে, টাকা লাগে ৩০০০। আর স্পেশাল এবং আর্জেন্ট ডেলিভারী হয় ৭ দিনে, টাকা সেই তুলনায় কমই লাগে, মাত্র ৬০০০ টাকা।

ছোট ভাইয়ের আর্জেন্ট, তাই ৬০০০ টাকাই ঢালতে হলো, পাসপোর্ট হাতে পাওয়া গেল ২২ দিন পরে। অতিরিক্ত ৩০০০ টাকা জলে গেল। কারণ কি? কিছুই না, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পেতে যা সামান্য দেরী হয়েছে, অবশ্য এই সামান্য দেরী আরও দীর্ঘায়িত হতে পারতো যদি না ছোট ভাই আগারগাও পাসপোর্ট অফিস আর মালিবাগ স্পেশাল ব্রাঞ্চ অফিস না দৌড়াতো। ২২ দিন পরে পাসপোর্ট হাতে নিয়ে ছোট ভাই তাই ক্ষোভের সাথেই বললো, কারও পায়খানা যদি কষা হয়, তাহলে হাইফাই টয়লেট দিয়া আর কি হবে?" ডিজিটাল বাংলাদেশের এখন এই অবস্থা ... হাই ফাই পায়খানা নয়, নরম-সহজগম্য পায়খানা দরকার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।