আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামী রাষ্ট্রে নারীর রাজনৈতিক অধিকার :

good

নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, আজকের দিনে যাকে ‘রাজনৈতিক অধিকার’ বলা হয় তৎকালীন ইসলামী সমাজে পুরুষের মতোই নারীরও এই অধিকার ছিল পূর্ণ মাত্রায় স্বীকৃত। সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও রয়েছে সমাজে আলাহ প্রদত্ত শাসন-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে তাই ইসলাম নারীকেও তার সামর্থ্য অনুযায়ী রাজনৈতিক অঙ্গনে অংশ গ্রহনের অধিকার দিয়েছে। কুরআন এবং হাদীসে এরকম অসংখ্য উদাহরন রয়েছে যেখানে আমরা নারীকে রাজনীতি সংক্রন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে দেখতে পাই। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে নারীরা রাসুলুলাহর (সাঃ) সাথে বির্তকেও অংশ নিয়েছে।

১। ইসলামী রাষ্ট্রে নারীর রয়েছে খলিফা নির্বাচনের পূর্ণ অধিকার। এ লক্ষ্যে সে প্রার্থীর জন্য প্রচারনা এবং বিভিনড়ব জনসভায় অংশগ্রহন করতে পারে। ২। পুরুষের পাশাপাশি নারীরও ইসলামী রাষ্ট্রে রয়েছে সমাজের মানুষকে সৎ কাজে আদেশ করা এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার পূর্ণ অধিকার।

আলাহ কুরআনে বলেছেন, “ মুমিন নারী এবং মুমিন পুরুষ একে অপরের বন্ধু। তারা একে অপরকে সৎ কাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে..........। ” ( সুরা তওবা ঃ ৭১ ) ৩। ইসলামী রাষ্ট্রে নারীর রয়েছে শাসকের ভুল সংশোধনের বা শাসককে জবাবদিহি করার অধিকার। ওমর ইবনে খাত্তাবের (রা.) সময় একজন সাধারন নারী মোহরানা সংক্রন্ত বিষয়ে জনসম্মুখে ওমরের (রা.) সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল।

ওমর (রা.) বলেছিলেন, “এই মহিলা ঠিক আর ওমর ভুল। ” ৪। নারীর রয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করার অধিকার। নারীদের রয়েছে মজলিশে শুরার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হবার অধিকার। আয়েশা (রা.) ওমর (রা.) এর খিলাফতের সময় মজলিশে শুরার সদস্য ছিলেন।

৫। নারীর রয়েছে যে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি যুক্ত থেকে উম্মাহর কল্যাণের জন্য কাজ করার পূর্ণ অধিকার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.