আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহকর্মীকে আঘাত কেন আমার সঙ্গে লড়ুন ( মাহমুদুর রহমান )

মা বাবার সেবা করা সবচেয়ে বড় ইবাদত

ক্ষমতাশালীদের কাছ থেকে হুমকি এখন আমার গা-সওয়া হয়ে গেছে। বাংলায় একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদবাক্য হলো, ‘খাচ্ছিল তাঁতী তাঁত বুনে, কাল হলো তার এঁড়ে বাছুর কিনে। ’ আমার অবস্থাও বেচারা তাঁতীর সমতুল্য। ছিলাম একজন পেশাজীবী। মোটা বেতনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শীর্ষপদে চাকরি করছিলাম।

কেবলমাত্র লেখাপড়া এবং পরিশ্রমের ওপর ভর করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্তরণের উদাহরণ হিসেবে গেন্ডারিয়ার মাহমুদুর রহমান এক সময় কথিত অভিজাত এলাকা গুলশানেও পৌঁছে গেছিলাম। কি ছিল বিধাতার মনে! প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একরকম ডেকে এনে তার সরকারে একটি অরাজনৈতিক চাকরি দিলেন। বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেও একেবারে রাজনীতিমুক্ত আর থাকতে পারলাম কই? লেগে গেল দেশের অভিজাত সুশীলদের সঙ্গে। কী কারণে যে তারা আমার ওপর বিষম রুষ্ট হলেন সেটি তারাই ভালো জানেন। তবে আমার ব্যক্তিগত ধারণা, এটাও শ্রেণীবিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ।

পাঠকদের অধিকাংশই সম্ভবত অবগত আছেন, সমাজের অভিজাত শ্রেণীর সঙ্গে আমার সেই বিবাদ শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। আর যায় কোথায়? বাংলাদেশের সুশীল (?) সমাজের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের বিশেষ সম্পর্কের বিষয়টি এক-এগারোর কল্যাণে এদেশের শিশুরাও এখন জানে। সম্ভবত ডানদেস ম্যাককুলাম নামে একজন কূটনীতিক তখন মহাশক্তিধর এক পশ্চিমা দেশের ঢাকাস্থ দূতাবাসে প্রভাবশালী পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিনিয়োগ বোর্ডে এসে আমাকে প্রচ্ছন্ন হুমকি সহকারে এই লড়াইয়ের পরিণাম নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে নসিহত করে গেলেন। সুশীল (?) সমাজবিরোধী যে কোনো পদক্ষেপ তাদেরকে যে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত করে তুলছে সেটি আমাকে সেদিন জানাতে কোনো কসুর করেননি।

বিশেষত সুশীল (?) সমাজভুক্ত যে কোনো সংখ্যালঘুর বিষয়ে তারা যে অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাও মনে আছে বেশ সরাসরিই বলেছিলেন। এসব বিষয় নাকি তাদের মানবাধিকার সম্পর্কিত এজেন্ডাভুক্ত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর এবং নির্বাচিত সরকারের এক বছরের গণহারে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো অবশ্য একই দূতাবাস অগ্রাহ্য করতেই অধিকতর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ যে করেছে তা তো জনগণ দেখতেই পেয়েছেন। মইনউদ্দিন জমানায় প্রচ্ছন্ন, পরোক্ষ এবং খোলাখুলি হুমকি আমার নিত্যকার অভিজ্ঞতা ছিল। বিশেষ বিশেষ জায়গা থেকে যেসব ভাষা প্রয়োগে ই-মেইল পাঠানো হতো সেগুলো পড়ে ওজু করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য।

সেইসব ই-মেইলের বেশ কয়েকটি এখনও সংরক্ষণ করে রেখেছি মনুষ্য চরিত্রের মধ্যকার পশুত্বের পরিমাপের মাপকাঠি হিসেবে। সেই তুলনায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের ভাষা যে এখনও অনেক মোলায়েম সেটা মানতেই হচ্ছে। অবশ্য সংবিধান অনুযায়ী তাদের মেয়াদেরও চার বছরের সামান্য অধিককাল এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে চরিত্রগতভাবে সর্বদা ফ্যাসিবাদের দিকে ঝুঁকে থাকা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বুলি তত্ত্বাবধায়ক পর্যায়ে উন্নীত করতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে তাদের প্রতি আমার যথেষ্ট আস্থা আছে। মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের যৌথ শাসনকালে যারাই অসাংবিধানিক সরকারের জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তাদেরই নোংরা ই-মেইল পাওয়া থেকে শুরু করে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিবিধ প্রকার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।

যতদূর জানি, জনাব ফরহাদ মজহার, জনাব আসাফউদ্দৌলা, জনাব সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখরা মোটামুটি অভিন্ন যন্ত্রণার মধ্য দিয়েই জরুরি আইনের দুঃসময় অতিক্রম করেছেন। সেই সময় সাংবাদিক, কলামিস্ট, সম্পাদকদের যখন-তখন বিশেষ সংস্থায় যে ডেকে পাঠানো হতো তাই নয়, চ্যানেলগুলোর বিভিন্ন টকশোতে বলে দেয়া হতো কারা সেসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আমার স্মরণ আছে, এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আমাকে অনুনয়-বিনয় করে বলেছিলেন, আমার বক্তব্যে যেন এমন কিছু না থাকে যাতে চ্যানেলটির সম্প্রচারই বন্ধ হয়ে যায়। স্বভাব অনুযায়ী আমার সাফ জবাব ছিল, নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে ভবিষ্যতে যেন আমাকে আর টকশো’তে আমন্ত্রণ জানানো না হয়। শুনেছিলাম আমার সব অনুষ্ঠানের কপি বিশেষ স্থানে পাঠানোটা চ্যানেল কর্তৃপক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল।

যাই হোক, জরুরি সরকারের দুই বছর ব্যাগ গুছিয়ে আমার সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি ছিল যেন আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সদস্যরা বাড়িতে এলে আমার কারণে কর্তব্য পালনে তাদের অনর্থক বিলম্ব করতে না হয়। বলে রাখা ভালো, ব্যাগটি এখনও পূর্বাবস্থায় যথাস্থানে রক্ষিত আছে। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচন আমাদেরকে নাকি এক দিনবদলের, ডিজিটাল সরকার উপহার দিয়েছে। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের বেশুমার প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১৯ নম্বরটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংক্রান্ত ছিল। ক্ষমতার মদমত্ততায় দিনবদলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা হয়ত এত কাজের চাপে নিজেদের ইশতেহারই ভুলে গেছেন এমন আশঙ্কা থেকে সেই অঙ্গীকারের সংশ্লিষ্ট ধারাটির পুরোটাই উদ্ধৃত করছি : “১৯. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য-প্রবাহ ১৯.১ সকল প্রকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্য-প্রবাহের অবাধ চলাচল সুনিশ্চিত ও সংরক্ষণ করা হবে।

জাতীয়ভিত্তিক ছাড়াও স্থানীয়ভিত্তিক কমিউনিটি রেডিও চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। ১৯.২ সকল সাংবাদিক হত্যার দ্রুত বিচার করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা এবং সাংবাদিক নির্যাতন, তাদের প্রতি ভয়-ভীতি-হুমকি প্রদর্শন এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। ১৯.৩ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন বিতরণে বৈষম্যমূলক নীতি, দলীয়করণ বন্ধ এবং সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে বিবেচনা করে তার বিকাশে সহায়তা প্রদান করা হবে। ” সরকারি দলের মন্ত্রী, নেতা, কর্মীদের গত দু’দিনের ফ্যাসিবাদী আচরণের সঙ্গে দিনবদলের সনদের বাগাড়ম্বরের মিল খুঁজতে গেলে সাধারণ পাঠক তো দূরের কথা, যে কোনো বিবেকসম্পন্ন আওয়ামী লীগ সমর্থকেরই লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত। যে সংবাদ নিয়ে তাদের এতো তুলকালাম সেখানে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দলিল-দস্তাবেজ থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাত্কারে প্রদত্ত বক্তব্যের বাইরে আমার দেশ পত্রিকার সংবাদদাতা নিজ থেকে একটি বাক্যও সংযুক্ত করেননি।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদের যে প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে সেটিও তিন কলাম সংবাদ আকারে পত্রিকার প্রথম পাতার শীর্ষে যেখানে সজীব জয় ও তৌফিক ইলাহীর ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সংবাদ ছাপা হয়েছিল ঠিক একই স্থানে ছাপা হয়েছে। আমাদের দেশে সংবাদপত্রে প্রতিবাদপত্র সচরাচর ভেতরের কোনো কম গুরুত্বপূর্ণ পাতায় ছাপানো হয়ে থাকে। তার ওপর কোনো কোনো সংবাদপত্রে প্রতিবাদের অক্ষরগুলো এতো ছোট থাকে যে পড়তে হলে রীতিমতো মাইক্রোস্কোপের প্রয়োজন পড়ে। সত্ সাংবাদিকতার সব নীতি অনুসরণ করা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীনদের গত বাহাত্তর ঘণ্টার চরম অসহিষ্ণু, অগণতান্ত্রিক এবং ফ্যাসিবাদী আচরণ জনগণকে অভিযোগের বিষয়ে অধিকতর সন্দিগ্ধ করে তুললে তাদের দোষ দেয়া যাবে না। একটি তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের অপরাধে সম্পাদকের ফাঁসি দাবি করে সরকারি দল নিঃসন্দেহে সাংবাদিক দলনের এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন।

ক্ষমতাসীনদের অবশ্য একটি কারণে আমি অভিনন্দন জানাতে চাই। তারা প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে যেভাবে একটি সংবাদপত্রের ওপর তাদের পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে, সেখানে অবশ্যই এক ধরনের হিম্মত প্রকাশ পেয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সাহসী লোকদের পছন্দ করি। এক-এগারোর পর ফ্যাসিবাদে বিশ্বাসী এই বিশেষ বাহিনীর কারও টিকিটিরও নাগাল পাওয়া যায়নি। সেটি অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।

তবে আমি মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যে যারপরনাই দুঃখ পেয়েছি। পাঠক, ভুল বুঝবেন না। আমি এজন্য দুঃখ পাইনি যে তিনি আমার বিরুদ্ধে তার স্বভাবজাত বিষোদগার করেছেন। আমি দুঃখিত হয়েছি তার প্রয়াত স্বামী এবং বাংলাদেশের এক সময়কার জাঁদরেল সম্পাদক বজলুর রহমানের কথা স্মরণ করে। মরহুম বজলুর রহমান কেবল যে দীর্ঘদিন ধরে ‘সংবাদ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তাই নয়, তিনি এদেশে অনেক সাংবাদিক সৃষ্টি করে গেছেন।

তার গুণগ্রাহী এক সাংবাদিক আমাকে জানিয়েছেন যে, মরহুম বজলুর রহমান অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা শিক্ষা দিতেন। তবে সেসব সংবাদ যেন তথ্যভিত্তিক হয় সে বিষয়ে তিনি তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতেন। আজ বজলুর রহমান জীবিত থাকলে তাকে অবশ্যই বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করতাম, আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত যে অনুসন্ধানী রিপোর্ট নিয়ে তার স্ত্রীর এমন অরাজনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ, সেই সংবাদের কোন অংশটুকু সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া প্রকাশ করা হয়েছে? আমার বিশ্বাস আছে, তিনি অবশ্যই তার স্ত্রীর আচরণে লজ্জিত হতেন। মন্ত্রিসভায় মতিয়া চৌধুরীর সহকর্মী এবং যুবলীগের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর কবির নানকের গতকালের একটি উক্তিতে আমি এমনই কৌতুক বোধ করেছি যে, ফ্যাসিবাদের নখরে ক্ষতবিক্ষত হয়েও হাসি চাপতে পারিনি। পত্রিকা থেকেই আমার সম্পর্কে দেয়া তার বক্তব্য উদ্ধৃত করছি, “আমি আর মতিয়া আপা নাকি তাকে হুমকি দিয়েছি।

হুমকি নয়, আমরা তাকে জানান দিয়েছি। এতেই তিনি ভীত হয়ে হুমকির কথা বলছেন। ” তাই তো, আমি ভুলেই গেছিলাম স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মহাশয় একজন অতীব সাহসী ব্যক্তি। আমরা মাত্র গুটিকয়েক ব্যক্তি পত্রিকায় কলম পিষে আর চ্যানেলে চ্যানেলে ঘুরে যখন জেনারেল মইন গংয়ের ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলার বিরুদ্ধে দেশে জনমত গড়ে তুলছিলাম, তখন বীরপুঙ্গব নানক সাহেব আপনি কোথায় ছিলেন? সঠিক তো বলতে পারব না, তবে লোকমুখে শুনেছি তখন নাকি আপনি বন্ধুরাষ্ট্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। ইংরেজরা এক সময় বাঙালিদের হেয় করে বলতো আমরা নাকি, ংরহমঁষধত্ষু পড়ধিত্ফ, পড়ষষবপঃরাবষু পত্ঁবষ (একাকী ভীরু, সমবেতভাবে নৃশংস)।

জাতির দুর্ভাগ্য, এত বছর পর বাঙালির সেই গ্লানিকর বিশেষণকে আপনি সত্যে পরিণত করলেন। যে ব্যক্তি সামরিক জমানায় পলাতক থাকে আর ক্ষমতার মসনদে বসেই পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে নিরস্ত্র সত্যানুসন্ধানী সাংবাদিকের প্রাণনাশের অপচেষ্টা চালায়, তার কাছ থেকে সাহসের কথা শুনলে গত তিন বছরের সংগ্রামের সাথী কবি ফরহাদ মজহারের মতো অট্টহাসি দেয়ার ইচ্ছা হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে শেষ প্রশ্ন রেখে আজকের লেখায় ইতি টানবো। কাপুরুষের মতো নিরপরাধ একাকী সাংবাদিককে আক্রমণের নিশানা বাড়িয়েছেন কেন? সাহস থাকলে আমার সঙ্গে লড়ুন। তবে আপনাদের মতো অস্ত্রবিদ্যা তো কখনও শিখিনি।

আমার লড়াইয়ের অস্ত্র কেবলমাত্র হাতের কলমখানি। কলমের শক্তিতে লড়াই করার হিম্মত দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আর সেটা না করে যদি রাস্তাঘাটে আক্রমণ করতে চান তাতেও পরোয়া করি না। আমি বিশ্বাসী মানুষ। তাই মহান আল্লাহতায়ালার ওপর সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে বলছি, লাঠি-বৈঠা, ছুরি, বোমা, বন্দুক কিংবা অন্য কোনো অস্ত্রের মুখেও মাঠ ছেড়ে ইনশাআল্লাহ এক ইঞ্চিও পিছু হটবো না।

ফ্যাসিবাদী কাপুরুষদের হাতেই আল্লাহ যদি আমার মৃত্যু লিখে রাখেন তবে, তথাস্তু। (সুত্র, আমার দেশ, ২১/১২/২০০৯) Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।