আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাপা নেতা রিপনের পরিবারের সদস্যদের র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা বজলুর রহমান ওরফে হাজি রিপনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। এ সময় মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহামঞ্চদ ত্বকী হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে র‌্যাব সদস্যরা শীতলক্ষ্যা নদীর পাশে কুমুদিনী খাল পরিদর্শন করেন। ওই খালে ত্বকীর লাশ ফেলা হয়েছিল। গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১১ স্পেশাল ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির এএসপি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল শহরের চাষাঢ়া জামতলা ধোপাপট্টি এলাকায় হাজি রিপনের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এ সময় র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর আলমও উপস্থিত ছিলেন। ত্বকী হত্যা মামলায় হাজি রিপনের ছেলে সালেহ রহমান ওরফে সীমান্তকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের এএসপি রবিউল হোসেন জানান, দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা শহরের চাষাঢ়া জামতলা এলাকায় হাজি রিপনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী শামীমা রহমান, ছেলে রাফি এবং বড় ভাই আবদুস সাত্তার ওরফে শ্যামলসহ পাঁচ-ছয়জনকে প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ত্বকী হত্যার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং ইউসুফ হোসেন ওরফে লিটনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মাদক মামলায় নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ইউসুফ হোসেন ওরফে লিটন।

এতে তিনি জানান, হাজি রিপনের বাড়িতে তিনি, রিপনের ছেলে সালেহ রহমানসহ আরও বেশ কয়েকজন ত্বকীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর রাতেই লাশ নৌকায় তুলে কুমুদিনী খালে ফেলে দেওয়া হয়। র‌্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম জানান, ত্বকী হত্যার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং ইউসুফের দেওয়া জবানবন্দির তথ্য যাচাই-বাছাই করতেই র‌্যাবের একটি দল হাজি রিপনের বাড়ি যায়। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।  পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুমুদিনী খালে প্রায় দুই ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালায় র‌্যাব।

সেখান থেকে একটি বিবর্ণ পাঁচ-ছয় হাত দৈর্ঘ্যে সাদা কাপড় ও একটি রেইনকোট ধরনের শার্ট উদ্ধার করা হয়। এ খালে ত্বকীর লাশ ফেলেছিল খুনিরা। ইউসুফের আদালতে দেওয়া জবানবন্দির প্রতিক্রিয়ায় ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, ‘আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির মাধ্যমে একটি হত্যার রহস্য পুরোপুরি উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে—এটি আসলে এত সহজ নয়। তবে জবানবন্দির মাধ্যমে হত্যার রহস্যের দ্বার উন্মোচন হয়। তবে আমরা যাদের অভিযুক্ত করেছিলাম আজকের বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তারাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

হত্যাকাণ্ডে যাদের নাম এসেছে, তারা শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমানের লোক। ’ রফিউর রাব্বি বলেন, ইউসুফ জবানবন্দিতে যা বলেছেন, পুলিশের কাছেও সেসব কথা বলেছিলেন। আবার পুলিশের কাছে এমন কিছু কথা বলেছিলেন, যা জবানবন্দিতে তিনি গোপন করেছেন। পুলিশের কাছে আজমেরী ওসমানের কথা বলেছিলেন, তাঁর টর্চার সেলের কথা বলেছিলেন, অনেকের নাম বলেছিলেন, যা জবানবন্দিতে তিনি গোপন করেছেন। তবু আশা করছি, এই জবানবন্দির পর অভিযুক্ত শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ওসমানসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.