আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনে থাকছে জাপা!

সব দলের অংশগ্রহণ না থাকলে জাতীয় পার্টি (জাপা) নির্বাচনে যাবে না— হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওই বক্তব্যে তাঁর অনড় থাকা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপার দুই নেতাসহ নির্বাচনকালীন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতার বৈঠক শেষে এরকমই আভাস পাওয়া গেছে।

বৈঠক শেষে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে জাতীয় পার্টির নেতারা নির্বাচনে আসার বিষয়ে মত দিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এরশাদ সাহেবের নির্বাচনে আসতে বাধা থাকার কথা নয়। ’

এরশাদের নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন সরাসরি এড়িয়ে যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে কিনা তা আগামী সাতদিনের মধ্যে পরিস্কার হয়ে যাবে।

বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ বলেন, বৈঠকে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হঠাত্ করেই বৈঠক হয়েছে। তিনি মনে করেন, নির্বাচন বর্জনের জন্য নয়, অংশ নেওয়ার জন্যই জাতীয় পার্টির নেতারা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

তবে বৈঠকে যোগ দেওয়া জাতীয় পার্টির নেতা ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের  সঙ্গে  কথা বলেননি।

পরে মুঠোফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁদের দুজনেরই ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। জাতীয় পার্টির অন্য শীর্ষ নেতারাও এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রমুখ।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, আগামীকাল বুধবার বিকেল চারটায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আজকের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের জানান, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন কীভাবে পালন করা হবে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।  

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.