আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাঙনে দিশাহারা নদীতীরবর্তী মানুষ, নেই প্রতিরোধ

লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা এবং কুষ্টিয়ার বিভিন্ন নদ-নদীতে ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত দু-তিন দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে দুই শতাধিক বাড়ি-ঘর। বসতভিটা হারিয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য সাহায্য পাঠানো হলেও চাহিদার তুলনায় তা যতসামান্য। ভাঙন অব্যাহত থাকলেও তা প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক।

লালমনিরহাট : তিস্তা ও ধরলা ভাঙনে জেলার পাঁচটি উপজেলার দুই শতাধিক বসতভিটা গত দুই দিনে নদীগর্ভে চলে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে হাজার হাজার একর আবাদি জমি। মানবেতর জীবনযাপন করছেন শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু। সরকারিভাবে ১৪০ মেট্রিক টন চাল কবলিত পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। ফলে এসব মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ভাঙন অব্যাহত থাকলেও তা প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। কুড়িগ্রাম : নদীর পানি কমলেও নদ-নদীতে ভাঙন পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভাঙন কবলিত চরাঞ্চলের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কুড়িগ্রাম সদরের পাশর্্ববর্তী ইউনিয়নে গত ২-৩দিনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অনেকখানি ভেঙে যাওয়ায় দিনের পর দিন তা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ওয়াপদা বাঁধের রাস্তাটি ইতোমধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ : চৌহালী উপজেলা সদর এলাকায় ফের তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিস সংলগ্ন দুটি সরকারি ভবন ও একটি জামে মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।