আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তার সায়েন্সফিকশন বই সংগ্রহে রেখেছি

কিছু কিছু খবর থাকে যা সত্যি হলেও বিশ্বাস করতে মন চায় না। গত বছর এই দিনে হুমায়ূনের মৃত্যুর খবরটা ঠিক এমনই মনে হয়েছিল। দেখতে দেখতে একটি বছর চলে গেল। তার চলে যাওয়ায় বাংলা সাহিত্যের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কাটাতে অনেক সময় লাগবে। তার সম্পর্কে নতুন করে আর কিছু বলার নেই।

সে ছিল একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার ও একজন চলচ্চিত্রনির্মাতা। এর বাইরে বাংলা কল্প-বিজ্ঞান সাহিত্যেরও পথিকৃৎ সে। তার শব্দচয়ন ও বর্ণনাভঙ্গি তার সাহিত্যকে আরও মজবুত করেছে। হুমায়ূনের অনেক সায়েন্সফিকশন বই আমার সংগ্রহে রয়েছে। বিশেষ করে এই বইগুলো তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা জায়গায় নিয়ে গেছে।

তার সঙ্গে খুব একটা দেখা হতো না। তবে যখনই দেখা হয়েছে একে অন্যকে আপন করে নিয়েছি। এককথায় সে ছিল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। বাংলা সাহিত্যে তার পথচলাকে এখনো খুব মিস করি। একবার ঢাকায় তার বাসায় গিয়েছিলাম।

মিশেছিলাম তার পরিবারের সঙ্গে। হুমায়ূন ও গোটা পরিবারের আতিথেয়তায় আমি অভিভূত হয়ে উঠি। আমার এখনো মনে আছে, তার বাসায় কফি খেতে খেতে চুটিয়ে আড্ডা মেরেছি। মেয়ের বিয়ের সময় হুমায়ূন আমাকে নিমন্ত্রণ করল। শুধু নিমন্ত্রণই নয় বলল, আপনার জন্য এয়ারের টিকিট পাঠিয়ে দেব।

অবশ্যই আসবেন। সে আমাকে বলল, আপনাকে আসতেই হবে। জিজ্ঞাসা করলাম, আমাকে কি আসতেই হবে? উত্তরে হুমায়ূন বলল, "আমার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তোমার বিয়েতে উপহার হিসেবে আমার কাছে কী চাও? সে আমাকে বলল, তোমার যত প্রিয় লেখক রয়েছে তাদেরকে আমার বিয়েতে আসতে বল। সেটাই হবে তোমার উপহার। এ কারণে আপনাকে দাওয়াত করেছি।

সুতরাং আসতে হবে। " কিন্তু সেই বিয়েতে আমি যেতে পারিনি, তবে সুনিল গিয়েছিল। ওপার বাংলার মতো এপার বাংলায়ও সে জনপ্রিয় ছিল । সবচেয়ে বড় কথা দুই বাংলার পাঠকদের সেতুবন্ধনে জড়িয়ে রেখেছিল সে। তার কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

এ থেকেই বোঝা যায়, সে কত বড় মাপের সাহিত্যিক ছিল।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।