আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট গল্পঃ চাঁদের বুড়ির অভিশাপে নীল বাঙ্গালী

"কবিতায় আর কি লিখব..যখন বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম...বাংলাদেশ" চাঁদের বুড়ি খুব অস্বস্তির সাথে দিন কাটাচ্ছে আজকাল। এক লোক ডিব্বা ভর্তি পান নিয়ে আমদানি হয়েছে এখানে দুদিন হলো। পান দেখে খুব খুশি লেগেছিল প্রথমে। চনমন করে উঠেছিল মনটা। যেন হাতে চাঁদ... থুক্কু ধরিত্রী পেল।

অনেক যুগ পান খাওয়া হয়নি। চাঁদে তো পানের আবাদ হয় না। সমস্যা হলো লোকটা মেশিন চালাতে চায়। প্রথমে মেশিনের ব্যাপারটা ধরতে পারে নি। বুঝামাত্র শীতল রক্তের স্রোত বয়ে গেল শিরদাঁড়া বেয়ে।

একটা লোক এতো বিকৃত হয় কেমনে? বুড়ি ছুড়ি কিছুর বাদ রাখবে না। এই বয়েসে বেইজ্জতি হলে মুখ দেখাবে কেমনে? হায় এই ছিল কপালে... ... মনেমনে চাঁদের বুড়ি বাঙ্গালীদের গালি দিবে কিনা বুঝতে পারছে না। ওদের জন্য এই নচ্ছারটা ধরিত্রীতে থাকতে না পেরে পৃথিবীতে এসে জুটেছে। তার ইজ্জত এখন হুমকিতে। আজ আকাশে পূর্ণিমা।

আকাশে ধরিত্রী তার পূর্ণ রূপে বিকশিত হয়েছে। ধরিত্রীর নীল জোছনায় চাঁদের বুকে যে সৌন্দর্যের খেলা, তা যেন চাঁদের নুড়ি-পাথর, খাল খন্দক সবাইকে দোলা দিয়েছে। স্পর্শ করতে পারছে না শুধু দুজনকে। সাইদি বিকৃত লালসায় মেশিন নিয়ে ধেয়ে আসছে বুড়ির দিকে। আতঙ্কিত বুড়ির কাছে ধরিত্রীর পূর্ণরূপ পানসে মনে হল।

শীতল চোখে তাকাল আকাশপানে। বুঝার চেষ্টা করল ধরিত্রীতে বাংলাদেশের অবস্থান। বিড়বিড় করে কি যেন বলল সে। বাঙ্গালীদের অভিশাপ দিবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।