আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইজিবাইক আটকে চাঁদা চান ছাত্রলীগের কর্মীরা!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ নেওয়াজ ছাত্রাবাসের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ১৪টি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক আটকে রেখেছেন। চালকেরা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন। চাঁদা না দিলে গাড়িগুলো ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ছাত্রলীগের কর্মীরা দাবি করছেন, এসব অবৈধ ইজিবাইক ছাত্রাবাসের সামনে দিয়ে চলাচল করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এগুলো আটকে রাখা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে ছাত্রাবাসে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকের ডান পাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে যানগুলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ছাত্রাবাসের সহকারী ওয়ার্ডেন বলছেন, ছাত্রাবাসটি এফ রহমান হলের অধীনে হওয়ায় হল প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে প্রাধ্যক্ষ বলছেন, সহকারী ওয়ার্ডেন তাঁকে বিষয়টি জানাননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৮-১০ দিন আগে ছাত্রাবাসের সামনে ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ কর্মী ও চারুকলা অনুষদের মৃৎ শিল্প বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাগর হোসেন সোহাগের মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি ইজিবাইকের ধাক্কা লাগে।

তিনি তখন দুটি ইজিবাইক আটক করেন। এ বিষয়ে সাগর হোসেন দাবি করেন, ছাত্রাবাসের সামনে দিয়ে না চালানোর শর্তে ইজিবাইক দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওই ছাত্রাবাসেরই ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, গত বুধবার সোহাগ এবং গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান রবিন আবারও ১৪টি ইজিবাইক আটক করে চাঁদা দাবি করেন। এ বিষয়ে সাগর হোসেন বলেন, এগুলো ছাত্রাবাসের সামনে দিয়ে চলায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এগুলো আবার নিয়ন্ত্রণ করেন যুবলীগের এক কর্মী, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ নন।

তবে পরে যানগুলো আটকের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁকে অপদস্থ করতে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।  খালিদ হাসান রবিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রাবাসে অনেক রবিনই থাকে, আপনি যে রবিনকে চাইছেন, আমি সেই রবিন নই। ’ এরপর তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।