আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ত্রিশোনকু আপনার কাছে কি সিগ্রেট আছে?

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

কি যেন ঘটে গেল আমার শরীরে, মনে, আরো কোথায় কোথায় যেন। আমি আর আমি রইলাম না, আমি আবর্তিত, পরিবর্তিত আমার অবস্থানে ফিরে না যাবার মতোই বদলে যাওয়া আমি। পূর্ণ ঠোঁট, চিবুক আর চোখ অপার্থিব চোখের দৃষ্টি । বেতের ছড়ির মত শরীর, আর তার সৌরভ নিয়ে, দাঁড়ালে এমন এক ক্ষণে, সময় যখন স্থির হয়েছিল।

হাতে ছিল বুদ্ধদেব গুহর একটি উপন্যাস- আমি হতভম্ভ, ইর্ষায় রাগান্বিত, সহভাগিতায় অবনত। প্যারিচাঁদ থেকে বংকিম, বনফুল, নারায়ন, আশু্তোষ, তারাশংকর, মানিক, সমরেশ, নীল লোহিত, মুজতবা, শির্ষেন্দু ছুঁয়ে যখন শওকত ওসমানে আমরা ঘন্টা তিনেক পার হয়ে গেছে তখন। আমার চোখে মুখে মুগ্ধ বিষ্ময়! তোমার মদির ঠোঁটে মৃদু হাসি। মাত্র যৌবনে এত কিছু পড়লে কখন? অন্যদিন স্ক্রাবলস না লুডো খেলছিলে, সিগ্রেটের নেশায় তৃষিত, আমার ঝুলে থাকা আগুনের দিকে কয়েকবার তাকালে তুমি। অনেক সাহস করে তোমার অন্যভুবন ঠোঁটে আমার তর্জনী আর মধ্যমার মাঝের অংগারের গোড়াটি ছোঁয়ালাম।

আংগুল দুটোয় ঠোঁটের স্পর্শ। বয়সন্ধির শিহরনে আমার ছোট মৃত্যু হ’ল। আমি পার হলাম তোমার আত্মার চৌকাঠ। অন্যদিন যোগ শেষে আমি যখন চলে যাচ্ছি, বলে উঠলে তুমি “ত্রিশোনকু আপনার কাছে কি সিগ্রেট আছে?” একটি হৃদকম্পন হারিয়ে বললাম “আছে, আনছি”। লিফট এড়িয়ে, আট লাফে আমার তলায়, নীল মাইল্ড সেভেনের প্যাকেট নিয়ে মূহুর্তে আবার পাঁচ তলায়।

যখন ধরিয়ে দিচ্ছি তখন আমার ছোট রুক্ষ চুলে তোমার রেশম কুন্তলের আদর কি যেন ঘটালো আমাতে। আমি কি বেশী ঝুঁকেছিলাম? নাকি তুমি? না দুজনেই? তুমি কিন্তু তোমার চুল সরিয়ে নাওনি। যখনই মাঝরাতে ঘুম ভেংগে যায়, যখনই একা কিন্তু কয়েকজন নই, তখনই কিভাবে বলে ওঠো “ত্রিশোনকু আপনার কাছে কি সিগ্রেট আছে?” এই সুন্দর ছড়ি, শুভ ভালবাসা দিবস।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।