আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোনা লিসা

Nothing to say

মোনা লিসা (ভুলভাবে মোনালিসা) একটি বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম। ইতালীর শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৬ শতকে এই ছবিটি অংকন করেন। ধারণা করা হয়, বিখ্যাত এই ছবিটি মোনা লিসার দ্বিতীয় পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ স্মরণে অঙ্কিত হয়। অনেক শিল্প-গবেষক রহস্যময় হাসির এই নারীকে ফ্লোরেন্টাইনের বণিক ফ্রান্সিসকো দ্য গিওকন্ডোর স্ত্রী লিসা গেরাদিনি বলে সনাক্ত করেছেন। শিল্পকর্মটি ফ্রান্সের ল্যুভ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে একটি পাইন কাঠের টুকরোর ওপর মোনা লিসার এই ছবিটি আঁকেন। চিত্রকলার ইতিহাসে এই চিত্রকর্মটির মতো আর কোনটি এত আলোচিত ও বিখ্যাত হয়নি। এর একমাত্র কারণ মোনা লিসার সেই কৌতূহলোদ্দীপক হাসি যা পরবর্তীতে বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে এটি প্যারিস শহরের ল্যুভ জাদুঘরে রাখা আছে। এটি ছিল শিল্পীর সবচেয়ে প্রিয় ছবি এবং তিনি সবসময় এটিকে সঙ্গেই রাখতেন।

দ্য ভিঞ্চি তাঁর মডেলদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য অর্থাৎ কে, কবে, কোথায় তাঁর ছবির মডেল হয়েছেন তার খতিয়ান খেরোখাতায় টুকে রাখতেন। কিন্তু মোনা লিসার চিত্রকর্মটির মডেল সম্পর্কে কোন তথ্য তাঁর খাতায় পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেন? তাহলে কে তার চিত্রকর্মের মডেল হয়েছিল? - এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বেল ল্যাবের ডঃ লিলিয়ান শোয়ার্টজ। তাঁর মতে লিওনার্দো এ ছবিতে সুকৌশলে নিজেরই প্রতিরূপ অংকন করেছেন। স্বীয় বক্তব্যের তিনি পক্ষে প্রমাণও দেখিয়েছেন।

তিনি প্রথমে দ্য ভিঞ্চির আত্মপ্রতিকৃতি ও মোনা লিসা ছবি দু'টিকে ডিজিটাল কাঠামোতে রূপান্তর করেন। এরপর কম্পিউটার ব্যবহার করে দা ভিঞ্চির আত্মপ্রতিকৃতিটি উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেন এবং ছবি দুটিকে পরস্পরের সাথে যুক্ত করেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে ছবি দুটির মুখাবয়বের বৈশিষ্ট্যগুলো আশ্চর্যভাবে মিলে গেছে। অর্থ্যাৎ দ্য ভিঞ্চি নিজেকে নারীরূপে কল্পনা করে ছবিটে এঁকেছিলেন। তবে এবিষয়ে ভিন্নমতও আছে।

অনেক শিল্প-গবেষক রহস্যময় হাসির এই নারীকে ফ্লোরেন্টাইনের বণিক ফ্রান্সিসকো দ্য গিওকন্ডোর স্ত্রী লিসা গেরাদিনি বলে সনাক্ত করেছেন। সংগ্রহে wikipedia

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।