আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যাবার পরিকল্পনায় ভুল।

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/

বাংলাদেশের নিঃশ্বন্দেহে ২য় পর্বে খেলার যোগ্যতা আছে কিন্তু শর্ত হলো সবগুলো ম্যাচে সমস্ত খেলুয়ারদের একসাথে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। এযাবৎ পর্যন্ত সাকিব, তামিম, আ. রাজ্জাক, মাহমুদুল্লাহ, আশরাফুল সাংবাদিক সম্মেলনে যা বলেছে তাতে তাদের সাহস আছে বলতেই হবে। কিন্তু তাদের সাহসে আবেগই বেশি খুজে পেয়েছি, পাইনি তাদের দুর পরিকল্পনার আভাস। যার ফলে আমার ভয়ই লাগছে, না জানি কি হয়ে যায়! ১৫ কোটি মানুষের স্বপ্নই না ভেস্তে যায়?? বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ি, ভারতের সাথে ম্যাচ থেকেই জান দিয়ে লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশী টাইগাররা।

সাহস আর সাপোর্ট নিয়ে ঝাপিয়ে পরবে বিপক্ষের উপর। তামিমের বক্তব্য বিশ্বের কোন বলারকেই তিনি ভয় পান না। সাকিব, আ. রাজ্জাক ও ভয় পান না বিশ্বের কোন ব্যাট্সম্যান কে। ভাল ভাল অনেক পজেটিভ মানষিকতা। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, বিপক্ষ দল ও আসবে তাদের দেশের মানুষের স্বপ্ন নিয়ে, দায়িত্ব নিয়ে, অভিজ্ঞতা নিয়ে।

এটাও স্বিকার করতে হবে যে, ভারত, দক্ষিন আফ্রিকা, ইংগল্যান্ড ওয়েষ্টই্ডিজের যোগ্যতাও আমাদের চেয়ে বেশি। কাজেই শুধু সাহস দিয়ে কাজ হবে না। প্রয়োজন বাস্তব ভিক্তিক পরিকল্পনা অনুযায়ি অগ্রসর হওয়া, এবং যদি সেই অনুযায়ি যদি আগানো যায় তাহলেই আসবে কাঙ্খিত সফলতা। কি ধরনের হওয়া উচিৎ বাংলাদেশের পরিল্পনাঃ শক্তির বিচারে ভারত, দক্ষিন আফ্রিকা আমাদের থেকে অনেক উপরে। ইংল্যান্ডও বেশ শক্তিশালি।

এই গেলো তিন দল। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে আরো একদল। বাংলাদেশের টার্গেট উচিৎ চতুর্থ দল হিসেবে ২য় রাউন্ডের টার্গেট করা। আর সেই পথ খুব কঠিন নয়। শুধু শক্তির বিচারে নিজদের চেয়ে কঠিন একটি দলকেই হারাতে হবে, সেটা হচ্ছে ওয়েষ্টইন্ডিজ।

আমার দৃষ্টিতে তাদের সাথে আমাদের শক্তির তফাৎ হচ্ছে একমাত্র ক্রিস গেইল। বাকি সারওয়ান, ব্রাভো, চন্দরপল খুব বড়মাপের প্লেয়ার না। কাজেই বলা যায়, বাংলাদেশের ২য় রাউন্ডের একমাত্র বড় বাধা, ক্রিসগেইল। অতএব, বাংলাদেশের কোচ সহ খেলুয়ারদের উচিত হবে গেইলের খেলা ও তার দুর্বল পয়েন্ট ভাল করে স্টাডি করা, সেই অনুযায়ি অনুশিলন করা। সাথে ওয়েষ্ট দের বাকি খিলুয়ারদের সমন্ধেও ভাল করে ষ্টাডি করা।

বোলারদের বল ষ্টাডি করা। মোটকথা, ক্যারিবিয়ানদেরই প্রথম টার্গেট করে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। মনে রাখতে হবে, তারাও কিন্তু তাদের ২য় রাউন্ডের বাধা হিসেবে আমাদেরই টারগেট করে বসে থাকবে, সাথে থাকবে নিজদেশে হুয়াইট ওয়াস হওয়ার লজ্জা ঘুচানোর প্রয়াস। এত গেলো উপরে যাবার লড়াই ও পরিকল্পনা। তাই বলে স্বভাবিক ভাবে যেটা দাবি সেটা হারালে কিন্তু চলবে না।

আর সেটা হচ্ছে, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়। এই দুইদলের সাথে কিন্তু সাকিব বাহিনি বেশ চাপে থাকবে। সুতুরাং এই দুই দলের খেলুরাদেরওভাল করে ষ্টাডি করতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে আমাদের আসল পাওনা, ২য় রাউন্ড। আমি ইংল্যান্ডের সাথেও জয়ের আশাবাদি।

ভারতের সাথেও জয়ের আশাবাদি। সাউথ আফ্রিকার সাথেও জয়ের আশাবাদি। কিন্তু ক্যারিবিয়ান, নেদারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের সাথে জয়ের দাবি রাখছি সাকিব বাহিনির কাছে। --- সম্পুর্ন নিজস্ব মতামত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.