আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাকুরী (পার্টটাইম/ফুলটাইম) বনাম পড়ালেখা।



আমি পলাশ, এই সাইট এবং ব্লগ লাইফে আমি সম্পূর্ণ নতুন। আমার লিখাতে কোন রূপ ভূল-ভ্রান্তি থাকলে তা ক্ষমা সুন্দুর দৃষ্টিতে দেখবেন আশ করি। আমি প্রফেশনাল লেখক নই এবং কোন ইচ্ছ ও নেই। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে MIS Oficer পদে চাকুরী করি।

পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্সে অধ্যয়নরত আছি। আমার পারিবারিক অবস্থার কারনে এইচ এস সি এর ই চাকুরী সন্ধানে নামতে হয়। ভিবিন্ন জায়গায় চাকুরীর অনক আবেদন দিয় এবং ইন্টারভিউ দিয় যাচ্ছি। অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষর আগে একটি সনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরীর ইন্টাভিউ এর জন্য আমাকে ডাকা হয়। লিখিত পরীক্ষর পর ভাইভা বোর্ডে প্রশ্নকর্তা আমার শিক্ষগতযোগ্যতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমি অনেষ্টলি বলি যে আমি এখনও অধ্যায়নরত আছি এবং যদি সুযোগ পাই তবে আমার অধ্যায়ন চালিয়ে যেতে চাই।

ভাইভা বোর্ড আমার ফ্যামেলি অবস্থা এবং আস্থা দেখে আমাকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার অভয় দিলেন এবং চাকুরীতে যোগদানের জন্য বললেন। চাকুরীতে যোগদানের তিন মাসের মধ্যেই আমার অনার্স ১ম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা। চাকুরীর ব্যস্থতা কম, সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও শনিবার ছুটি। পরীক্ষর জন্য প্রস্তুতি নিতে কোন অসুবিধা হল না। মাঝে মাঝে গিয়ে ক্লাশ ও করেছি।

যথা সময়ে পরীক্ষ দিলাম। চাকুরীল শর্ত অনুযায়ী প্রথম ছয়মাস প্রভিশন পিরিয়ড। ছয় মাস পর পারমেনেন্ট। ছয় মাস হালকা মেজাজে কেটে গেল। তারপর ছয়মাস পর বাস্তব অভিজ্ঞতা হারেহারে টের পেয়েছি।

সপ্তাহে দুইদিন ছুটি হলেও ষ্টেশন লিভের অনুমতি মিলেনা। মহাবিপদে পরলাম ২য় বর্ষের ক্লাশ টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষর সময়। কিছুতেই ছুটি মিলছে না। পড়ালেখা আর চাকুরী একসাথে করা যাবেনা আমাকে বস সাফ জানিয়ে দিল। নানা কৌশলে ছুটি নিয়ে নিয়ে পরীক্ষা শেষ করলাম।

এ ভাবে কতদিন পারব জানিনা । একেতো চাকুরীর চিন্তা তার উপর চারবছরের কোর্স সাত বছরেও ফাইল পরীক্ষ শেষ হচ্ছে না সেশনযটের কারনে। আমাদের মত যার নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান তাদের জন্য হয়ত উচ্ছাকাঙ্খা করা পাপ। ভবিষৎ এ কিভাবে কি করব তা বুঝে উঠতে পারছি না। দয়াকরে সবাই আমাকে পরামর্শ দিবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।