আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিউনিসিয়ার শৈরতন্ত্রের পতন। কায়রো বিক্ষোবের নিয়ন্ত্রন কি মোল্লারা নিতে পারবে ?



মধ্যপ্রাচ্য ও ভুমধ্যসাগরের তীরবর্তি মুসলিম দেশগুলো কোনটিতেই গনতন্ত্র নাই, সংবাদপত্রের স্বাধিনতা নাই, গনতন্ত্রমনা তেমন কোন বিরোধীদলও নাই, ইসলামি Radical group গুলো, মোল্লারা বেশ শক্তিশালি মনে হলেও বাস্তবে দুর্বল, শাসকেরা নিজেদের গদি ঠিক রাখার জন্য তাদের দুধ-মাখনে লালন করছে। আসলে কোন মুসলিম দেশেই পুর্ন গনতন্ত্র নাই। বাংলাদেশই একমাত্র মুসলিম দেশ যেখানে একটা stable democracy আছে, আছে ১০-১৫ টি high circulation দৈনিক সহ শতাধিক সংবাদপত্র, আছে সংবাদ প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা, পুর্নাঙ্গ News unit সহ ২০-২৫ টি TV channel, ৮-১০ টি বেসরকারি Radio channel. এইরুপ ব্যবস্থা কোন মুসলিম দেশে কল্পনা করাই অসম্বভ। তিউনিসিয়ার শৈরতন্ত্রের পতন হল, বাকি আছে মরক্কো, মিশর, আলজেরিয়া, লিবিয়া। আরো পরে হবে পিছিয়ে থাকা সিরিয়া, সুদান, জর্ডন।

সর্বশেষে হয়তো সউদিআরাবিয়া। তিউনিসিয়ার এই mass public uprising এ মোল্লাতন্ত্রের কোন ভুমিকাই ছিলনা। এখন সামরিক বাহিনী সহ সব কিছু গনশক্তির নিয়ন্ত্রনে, সেখানে প্রেস ফ্রীডম ফিরে আসছে, নির্বাচনের ব্যাবস্থা করা হইতেছে, Radical মোল্লাতান্ত্রীকদের সপ্ন শেষ। তবে মিশরের কথা বলা যায় না, তবে এখনো ছাত্র-যুবক দের হাতেই বিক্ষোবের নিয়ন্ত্রন যা Facebook এর মাধ্যমে সুরু হয়েছিল। কোন কোন এলাকায় ইস্লামিষ্টরা frontline এ থাকলেও বিক্ষোবে মোল্লাদের নিয়ন্ত্রন নেই, কায়রোতে মিছিলে মেয়েদের কেও দেখা যাচ্ছে।

বিক্ষোবের নিয়ন্ত্রন একপর্যায়ে ইস্লামিষ্ট রা নিতে পারলেও শরিয়তি-খেলাফতি চালু করতে পারবেনা। গনতন্ত্র কায়েম হবে, অন্তত গ্রান্ড আয়াতুল্লার মত একজন স্থায়ী স্বৈরাচার পয়দা হবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।