আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৈন্সহীন সেন্সর বোর্ড।

আজ আমার মন ভাল নেই

ঢাকা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মেধার আকাল চলছ, তা কাহিনী,চিত্রনাট্য, পরিচালনা এবং অভিনয়সহ সর্বক্ষেত্রে। এ কারনে এখানে যেসব ছবি তৈরি হচ্ছে তার অধিকাংশই কোন রূচিবান মানুষ দেখতে পারেনা। অথচ চলচ্চিত্র একটি জাতিকে তার সভ্যতা এবং সংস্কৃতিকে কাল থেকে কালান্তরে বিশ্বব্যপী পরিচিত করায়। তবে এখানে যেসব ছবি হচ্ছে তাতে ওসব কিছু না থাকলেও আছে অশ্লীলতা এবং করুচির ছরাছড়ি । অবস্তার এখনো তেমন উন্নতি না হলেও ঢাকা চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময়।

..................................................................................................... বাংলাদেশের ইদানিংকার ছবিতে আরবি ঘোড়া, ইরানি পোশাক,মায় টেক্সাসের পাহাড় এ সবকিছু আছে, নেই শ্শুধূ বাংলাদেশ। ঘুষাঘুষিতে দক্ষনায়ক, মেদবহুল নায়িকা, অশ্লীল অবস্হায় মাংসল নর্তকী, পেটমোটা টাকলু ভিলেন,ইতিহাসের অশ্রুতপূর্ব অস্ত্রশস্ত্র এবং নানান প্রকারের টিসুম টিসুম মারপিঠের চিত্র সংবলিত যেসব চলচ্চিত্র প্রতিসাপ্তাহে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে, তার একটি পোষ্টারে আর একটির নাম লটকে দিয়ে কোন ইতরবশেষ ঘটাবে না। এ কথাগুলো বলেছিলেন বিকল্পধারার চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ভয়াবহ ধসের বছর, রগরগে যৌনতা আর ভায়োলেস্ন আমদানির বছর। দেশের ছবিতে যে হারে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীলতার আমদানি হয়েছে তাতে মধ্যবিত্ত দূরে থাক, অশিক্ষিত নিম্নবিত্তের রূচিতেও তা বাধছে।

মহিলা দর্শকরা হলে যাওয়া ছেরেই দিয়েছে। বাংলা ছবিতে এখন আর কাহিনী নেই, আছে রগরগে যৌনতা আর ভায়োলেস্ন । বেশির ভাগ পরিচালক দ্বিতীয় শ্রেণীর নায়িকাদের নিয়ে তৈরি কাটপিস জুরেদে সিনেমার সাথে। আমি "আমি গুন্ডা আমি মাস্তান" ছবিটির নগ্নতার নতু রের্কড সৃষ্টি করেছে,যা নীল ছবিকেউ হার মানয়। এই ছবিতে রয়েছে দুইিট দৃশ্য।

ছবির প্রথমদিকে খলনায়ক ড্যানিরাজ তার সাঙ্গপাঙ্গ সহ জেলকানার এক কয়েদি মহিলাকে ধর্ষন করে। মেয়েটির হাত পা বেধে কাচি দিয়ে শরীরের কাপড় কাটে সম্পুর্ন নগ্ন করে প্রায় ৪০ সেঃ একটি দৃশ্য রয়েছে। ছবির শেষদিকে বাবা আনোয়ার হোসেন মেয়েকে নিয়ে পুলিশ অফিসার নাসির খান ও সাদেক বাচ্চুর কাছে যান। সেখানে বাবার সামনে সম্পুর্ন নগ্ন করে ধর্ষন করে নয়কের বোনকে। দৃশ্যটি ছিল ৪০ সেঃ থেকে ৪৫ সেঃ।

"আমি গুন্ডা আমি মাস্তান" ছবির ৭টি গানই ছিল অশ্লীলতায় ভরপুর। তবে ৪নম্বর গানটি ছিল অন্যান্য গানের তুলনায় কয়েক ধাপ এগিয়ে। এই গানে মেহেদির হাত বিচরন করেছে প্রায় বসনশূন্য ময়ূরির বুকে, উরুতে,নিতম্বে ও কোমরে। পাতলা কাপড় পরা পানিতে ভেজা ময়ূরিকে মনেহয়েছে সম্পুর্ন নগ্ন। সে অবস্হায় দেখা গেছে মেহেদী ও ময়ূরিকে যৌন মিলনের মতো অভিনয় করতে।

মহেদির গোপন্ঙ্গকে উপলব্দিকর অবস্হায় দেখানো হয়েছে,যা ময়ূরিরৈগোপনাঙ্গেও কয়েকবার মিশে গেছে। মেহেদির মোখ একাধিকবার বিচরন করেছে ময়ূরির গোপনাঙ্গে। এরপর একটি স্বপ্নদৃশ্যে মেহেদী ময়ূরীকে প্রায় নগ্ন করে পরো শরীরে চুমুকায়। চলবে.................।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.