ভাই, অফ যা, আর কান্দিস না।
আওয়ামী লীগের যেসব ভাড় মিডিয়া আর অন্ধ সমর্থক গত শুক্রবার ইসলামী দলগুলোর প্রতিবাদ কে জামায়াত-শিবির আর জংগীদের নাশকতা বলে প্রচার চালিয়েছিল এবং নির্বোধ এর মত পু্লিশ এর গুলি করাকে সমর্থন করছিল তারা আজ চুপ কেন??
আজও তো ইসলামী দলগুলোর প্রতিবাদের কর্মসূচী ছিল। সাঈদীর রায় নিয়ে শুরু হওয়া দেশব্যাপী তোলপাড়ে উনারা নিজেরাই আজকের কর্মসূচী স্থগিত করেছেন যেন পরিস্থিতি আর ঘোলা না হয়। বলার প্রয়োজন নেই যে আজ যদি ইসলামী দলগুলো প্রতিবাদ মিছিল-বিক্ষোভ সমাবেশ বের করত, এর সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়ার চেস্টা করত জামায়াত- শিবির এর কর্মীরা।
এক সপ্তাহ আগে হুজুরদের জংগী ট্যাগ দেয়া সেই সমস্ত চরমপন্থী মিডিয়া আজ কোথায়? সেই সমস্ত জংগী হুজুর রাই বা কোথায়? হ্যা, দেখিছি, আজও কিন্তু টিভিতে উনাদের দেখেছি।
তবে, জামায়াত-শিবির অথবা জংগী হিসেবে নয়, ইসলামী দলের হুজুর অথবা আলেম হিসেবে দেখানো হয়েছে মিডিয়ায়। সাথে এটাও ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, এই লোকগুলোর সাথে জামায়াত এর কোন সম্পর্ক নেই, জামায়াত এর সাথে উনাদের আদর্শিক দ্বন্দ আছে এবং উনারা জামায়াত কে ঘৃনাও করেন। সেলুকাস, এক সপ্তায় আগে এই লোকগুলোকেই জামায়াত শিবির বলে প্রচার চালানো হয়েছিল। আর তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়া আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রামবাসী অথবা স্থানীয় জনতা টাইটেল দেয়ার মত নির্লজ্যতাও তারা দেখিয়েছিল।
একটা কথা মনে রাখবেন।
এই দেশের বেশিরভাগ মানুষ ধর্মপ্রান। তাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা হলে তারা প্রতিবাদ করবে। ব্লগের প্যাচাল জাতীয়ভাবে প্রচার করা উচিত কিনা অথবা এটা রাস্তায় নিয়ে আসা উচিত কিনা সেটা অন্য বিষয়। তবে, সেদিন যে লোকগুলো রাস্তায় নেমেছিল তারা তাদের ধর্মানুভূতিতে আ ঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল বলেই রাস্তায় নেমেছিল। কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সেদিন তারা নামেনি।
সেই মিছিলে জামায়াত-শিবির সমর্থক থাকতেই পারে। ঘোলা পানিতে নেমে মাছ শিকার করার চেস্টা করতেই পারে। শহীদ মিনার আর গন জাগরন মঞ্চ ভাংচুর করতে পারে। তার অর্থ এই নয় যে, রাস্তায় নামা প্রতিটি যুবক-কিশোর-বায়োবৃদ্ধ জামায়াত শিবির এর সমর্থক। সেদিন শহীদ মিনারে ভাংচুর আর মসজিদে আগুন ধরানো নিয়ে অনেক ছি ছি করতে দেখেছি।
সাথে, পুলিশের গুলি করে মানুষ মারা, মসজিদে টিয়ার শেল আর গুলি করার ব্যাপারে বিস্ময়করভাবে চুপও থাকতে দেখেছি। কাউকে কাউকে এক ধাপ এগিয়ে এগুলো সমর্থনও করতে দেখেছি। হ্যা রে ভাই, মানবাধিকার তো শুধু মাত্র র্যা ব এর ক্রসফায়ারে মারা পড়া শীর্ষ সন্ত্রাসীসের থাকে। প্রতিবাদ মিছিলে বের হয়ে লাশ হওয়া মানুষটার জন্য শুধু মাত্র ঘৃনাই বরাদ্ধ রাখলাম।
একটা দেশে ঘৃনা আর রাজনৈতিক দলাদলি কোন পর্যায়ে পৌছালে মানুষ এরকম দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যেতে পারে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।