লাল তরঙ্গ, লাল বিপ্লবের বার্তা বয়ে আনে
প্রথমেই বলি আলহামদুলিল্লাহ।
এইবার খুশিতে আটখানা হয়ে বলি মাশাল্লাহ, মাশাল্লাহ।
হা হা হা....তালপাতার সেপাইগণ দৌড় দিছে।
ওরা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট মডেমে সজ্জিত হয়ে লাফ দেয়। দৌড় দেয়।
বগল বাজায়। ভার্চুয়াল নিরাপদ দুনিয়ায় বসে চিল্লানোর মাধ্যমে আপ্লুত হয়। আহা তৃপ্তি! কী করলাম!! কী করলাম!!!
ফেলানীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্লগগুলোতে যজ্ঞ শুরু হয়েছিল। ব্লগারদের রাষ্ট্র নামক ইশ্বরের পুঁজা-বন্দনার হুলস্থুল পড়েছিল। ব্লগের মালিকগণ পোস্ট স্টিকি করে দেখায়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তারা অল্টারনেটিভ মিডিয়া দিয়া ছিড়ে দেবে।
বাংলাদেশে তারা অনুঘটক ও অথরিটি হিসেবে জায়গা করে নেবে।
আমি তো লাল তরঙ্গ। শ্রেণীর দেনা চুকায়া দিতে চাই। বাস্তব দুনিয়ার মানুষ নিয়া আমার কাজ। সেই কাজের কর্মী খোঁজতে আসি অন্তর্জালে।
সেখানে এসে দেখছি অসুস্থ্য, বিকৃত মস্তিস্ক ও অপরিণামদর্শীরা এক কল্পনার জগত তৈরি করেছে। যেখানে তারা সবাই মিলে সেকেন্ডে সেকেন্ডে বিপ্লব আর প্রতি বিপ্লব পয়দা করে ফেলে।
আমার ভীষণ হিংসা হলো। দেখিয়ে দিতে চাইলাম এই যে তোরা আকামার দলেরা রাষ্ট্র নামক পরিত্যক্ত দেবতার বেদীমূলে সমবেত হয়ে আরোধনা করছ। বিভিন্ন দলের বুদ্ধিবৃত্তিক ভাৎড়া খাটার উত্কট গন্ধ নিয়া তোরা একই সমতলে সমবেত হয়ে আরোধনা কর! আমি বাপ এসব দেখে বিরক্ত হই।
আমি জানি তোরা এক একটা পঁচা, পরিত্যক্ত ফালতু ইনডিভিজুয়াল। তোদের ঐক্য তছনছ করা সিম্পল ব্যাপার। কারণ তোরা কেউ পাকিস্তানের গ্রিনকার্ড পেলে চলে যাবি। ভারতেরটা পেলে লুফে নিবি। বিলাতি পেলে কুর্নিশ করবি।
ইউএসএরটা পেলে গ্রিনকাড ইস্যুকারী কর্মকর্তাকে ব্লোজব দিবি।
সেই তোরা বাংলাদেশ প্রেম দেখাস! বড়ই আশ্চর্য।
দেখিয়ে দিলাম আমার একটু ইশারায় তোদের ভেতরকার অন্ধকার কিভাবে আবিষ্কৃত হয়।
ইয়ে...হ, জানা। আপনি অনেক পারেন।
কিন্তু আপনার সীমাবদ্ধতা আছে। আশা করি আজ মানবেন। আপনাকে স্টিকি পোস্টটা সরাতেই হলো। আর ফিফা, তোমাকে ধন্যবাদ, আপাতত। তবে লাল তরঙ্গ যখন ছড়িয়ে পড়বে তখন ফিফা তুমি এসব করতে এসনা।
কারণ লালের লড়াই ভিন্ন জিনিশ। বাস্তব দুনিয়ায় অনেক শ্রমঘাম দিয়ে তা গড়ে ওঠে।
ওকে। ফিফা, মাত্র দুই বছর সময়, চালাও। মেরুকরণ কিন্তু একটা ঘটিয়ে দিছি।
হা হা হা....।
ধন্যবাদ বাংলাদেশ। আমাদের শেখ হাসিনাও এখন অনেকের ফোন ইগনোর করতে পারেন। ব্যস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।