আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুক স্ট্যাটাস সংগ্রহ: ২২

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: # ১। কাঁটাবন থেকে জামাত-শিবির যে উগ্র অরাজকতা চালিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে তার নেতৃত্ব দিয়েছে দু'জন পাকিস্তানি। বিপিএলে পাকিস্তানি প্লেয়ার না পেয়ে এখন আনছে আর কী! যে দলটার সদর দপ্তর লাহোরে সেখান থেকে তো 'সাহায্য' আসবেই। ২। জামায়াত ই তো ইসলামি দলগুলোকে বিভক্ত করে রেখেছে।

ইসলামি ইস্যু নিয়েও এত বছরে তারা একমত হতে পারেনি। তা না হলে দেশে ১২ টা ইসলামি সমমনা দল কেন? ভয় পেয়ে জামায়াত-শিবিরের 'তৌহিদী জনতা' ব্যানারের নিচে পলানো কেন? ৩। বেশিরভাগ মাদ্রাসাগুলোতে শহীদ মিনার নেই। কোথাও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানো হয় না। স্কুল-কলেজে দেশের জন্যে যে শপথ বাক্য পাঠ করতে হয় প্রতিদিন, সেটাও পাঠ করানো হয় না।

এদের দেশাত্ববোধ জন্মাবে কোত্থেকে? মাগনাই? ৪। ফেনীতে শহীদ মিনার ভাঙার পর পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে মিছিল হয়েছে। এই স্পর্ধা দেখানোর পরেও সরকার চুপটি মেরে বসে আছে। তামাশা দেখছে। আচ্ছা, একাত্তরে কি ফেনী স্বাধীন হয়নি? ৫।

নিলুফার চৌধুরী মনি বলেছেন, 'তুই রাজাকার স্লোগান বাচ্চাদের নষ্ট করে দিচ্ছে। ' আমি নিশ্চিত উনার বাচ্চা উনাকে সকালে-বিকালে 'তুই রাজাকার' বলে। আর সত্যি কথা গায়ে লাগে বৈকি! নিলুফারের কথা বাদ থাক, আন্দালিব রহমান পার্থ আর মাহী বি চৌধুরী নিয়ে যাদের ফ্যাসিনেশন ছিলো, আশাকরি তারা বুঝে গেছেন সব। মাহী বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারা দল গড়েছেন ঠিকই কিন্তু মন রয়ে গেছে বিএনপিতেই। আর আন্দালিব তো টিপিক্যাল ছাগুর মত অব্যয় যোগ করেন শুধু, আমিও বিচার চাই, তবে/সাথে/কিন্তু... ৬।

'নৈতিক সমর্থন' শব্দটার এমনই বেহাল দশা, যখনই শুনি নৈতিক সমর্থনের কথা, বুঝে যাই ব্যাপারটা পুরাই অনৈতিক কিছু। ৭। বুকের মাঝে একটা বিল্ট ইন লাল সবুজ পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি জন্ম থেকে। পারলে এটা ছিঁড়ে দেখা, পারলে এটায় আগুন ধরা! ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: ১। পড়লাম, বইমেলায় আগুন লাগার আগে একাধিক ককটেল ফুটেছে, গান পাউডার পাওয়া গেছে।

এগুলো সত্য হয়ে থাকলে সব স্বচ্ছ পানির মত পরিষ্কার। জাতীয় পতাকা-শহীদ মিনার-অমর একুশে বইমেলা; ক্রমানুযায়ী পরবর্তী টার্গেট হতে পারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আরও বড় সহিংসতার অপেক্ষা করছি। ভয় হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সাহায্য না নিতে হয়! ২। গতকাল ব্যাঙ্গার্থে লিখেছিলাম, 'নাস্তিক কী হনু রে!' ওই স্ট্যাটাসের কথা তুলে একজন বললো, দেশে প্রতিদিন ৫/৭ টা করে মরতেছে।

আজকেও পাঁচটা মরেছে। এগুলো একদিন পর হারিয়ে যায়। মানুষ নামগুলোও জানে না আর একটা নাস্তিক মরাতে পুরো দেশটা কেঁপে গেছে। এখনও ননস্টপ কথা চলছে। নাস্তিক আসলেই হনু রে! ৩।

ইমরান এইচ সরকার অবশেষে আজ বিকাল ৩ টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। 'আমার পশ্চাৎদেশ' পত্রিকার মাহমুদুর রহমানকে আজ গ্রেপ্তার করা হবে আশা করছি। স্যার আল্লামা শফিউর রহমান ফারাবিকে গতকাল ধরেছে পুলিশ। আশাকরি আল ফাত্তাহ আর শুভ কামালকেও ধরা হবে। ৪।

একাত্তর টিভির সংবাদ পাঠিকা এবং উপস্থাপিকা নবনীতা চৌধুরিকে বেশ ভালো লাগে। কথায় বেশরকম ঝাঁঝ। ৫। পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে। এবার এদেশে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে আর 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' বলে মিছিল করাদের হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পালা।

৬। জয় বাঙলা। # যদ্দুর মনে পড়ে রাজাকার সাকা চৌধুরী একবার খালেদা জিয়াকে সরাসরি বলে বসেছিলেন, 'ম্যাডাম, কুত্তা লেজ নাড়ায় নাকি লেজ কুত্তা রে নাড়ায়?' শহীদ জিয়া খাল কেটে গিয়েছিলেন। ম্যাডাম দাওয়াত দিয়ে কুমির ডেকে এনেছেন। বিএনপিকে আজকাল জামাত সকালে-বিকালে নাড়ায়-চাড়ায়।

সাকা জেলে বসে গ্রাটিফিকেশন পায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: # ১। পড়লাম, ইসলামি ব্যাংক দেউলিয়ার পথে। ইশ্শিরে! এরপর থেইক্কা ক্যাটরিনার উরু দেখমু ক্যামনে রে বানিয়া! বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসলামি ব্যাংকই তো তিন কোটি টাকা দিয়ে ক্যাটরিনাকে নাচাতে আনছিলো। না, ভাইলোগ, এই বিষয়ে 'নৈতিক সমর্থন' দিতে পারলাম না! ২।

লেখার শুরুতেই 'আমি মুসলিম, আওয়ামী লীগ সমর্থন করি এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই'; এটা এই মুহূর্তে ছাগুত্বের আরেকটা ট্রেডমার্ক। আবার পাকিস্তান প্রসঙ্গ তুললেই ভারতকে টেনে আনার পুরানো ট্রেডটাও এখন মার্কেটে আবার বেশ চলছে। ৩। 'আমার (পশ্চাৎ)দেশ' পত্রিকার ভালো রকম ব্রান্ডিং হয়ে গেলো। আবলু-হাবলু-কাবলু সবার কাছে নামটা পৌছে গেছে।

৯ বছরে পত্রিকাটার যতটা ব্রান্ডিং হয়েছে, গত ৯ দিনে তার থেকে ঢের বেশি ব্যান্ডিং হলো। হারামি হলেও মাহমুদুর একধরণের খাসা মাল মাইরি! ৪। বাংলালিংক 'আমার (পশ্চাৎ)দেশ', 'নয়া দিগন্ত', 'দৈনিক সংগ্রাম' এবং 'দিগন্ত টিভি' তে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছে দেশবাসীর কাছে। ভবিষ্যতে আর বিজ্ঞাপন দিবে না সে অঙ্গিকারটাও করেছে। বাংলালিংকের নামের আগে শুধু 'বাংলা' রেখে না, কাজেও বাঙালির প্রমান দিলো টেলিকম কোম্পানিটা।

৫। 'জয় আমেরিকা থেকে টাকা পাঠাচ্ছে আন্দোলন চালানোর জন্য', 'মাহমুদুর রহমান এখন আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ', 'সরকার সাঈদীর রায় দিচ্ছে না গৃহযুদ্ধের ভয়ে, রায়ে ওর ফাঁসি দিতে পারবে না'। আমি রাজনীতি সম্পর্কে আসলেই খুব কম জানি কিন্তু আশপাশ থেকে এসব কথা কানে আসার পর বুঝতে পারি, নাহ্ִ, গাড়ল গুলোর মাঝে এই অল্প জানাশোনা নেহায়েৎ কম না(!)। ৬। অনেককে দেখছি আন্দোলন নিয়ে অতিমাত্রায় হতাশ।

আমার মনে হয় এখন সহিংস আন্দোলনে যাওয়া মানে পুরো দাবীটা, আন্দোলনের ব্যাকগ্রাউন্ডটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে বরং প্রতিপক্ষকে সাহায্য করা। এক রাজীব হত্যার ধুলো এখনও উড়াচ্ছে আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতে। আর বাঙালির বিপ্লবের ইতিহাস তো দীর্ঘদিনের। ২৬৬ দিন যুদ্ধের পর পেয়েছিলাম দেশ। ৪২ বছর ধরে একটা বিচার করতে পারিনি।

আর এবার ৪২ দিনও হতে পারলো না, মানুষ এত তাড়াতাড়ি ফলাফল আশা করে কিভাবে? তাছাড়া পরিস্থিতি অনুযায়ী ধৈর্য ধরাটাও একটা যুদ্ধ বলে মনে করি। ৭। জয় বাঙলা। জয় প্রজন্ম। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.