আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি!
যুগযুগান্তরে
এমনতর দিনের অপেক্ষা
হৃদগহীনে ধূধূ প্রান্তরে
মিলবে যমজ
হিমছড়ির দেখা।
পর্বত যেমন করে
সূর্যদিনের রোদবটিকা
সেবন করে
মায়াবী পর্দায়
ভেসে নিয়ে চলে
পর্যটক-ক্ষণ।
তদ্রুপ, ভেসে যাবো অজানায়
কাঁটবো সাঁতার
চাই শুধু
পাহাড়িয়া মন।
কানপেতে শুনবো (তখন)
বৃক্ষরাজীর ডালে
অচেনা বিহঙ্গের ডাক,
শতপুষ্পে
ভ্রমণের গুঞ্জন।
বৃন্তে দোলা দিবে
পুবের মাদল হাওয়া,
ছায়াতরু হবে
হলুদে রঞ্জিত।
উড়ে যাবে ছিন্নপত্র
পৌষ সকালের
নরম সমীরণে,
আর যেথা রবে সদা
অমলিন চিত্ত।
দেখবো তখন
মাতামুহুরীর বাঁকে
সর্ষে ক্ষেতে
বুনোমাছির ঝাক,
যাদের পাখায় ভর করে
উড়ে আসে মাঘ,
উড়ে আসে হিমেল
উত্তুরে ঘ্রাণ।
পদব্রজে নিষ্পেষিত হবে
সকালবেলার কুয়াশার ঘাম,
রাতখেকো পাখির ডানায়
ঝুলে পড়বে জোছনা
কুর্নিশ করবে আগামী ধরিত্রী।
কলাঝিরির বাঁকে
পাহাড়ি বসনে
রবে তুমি
কলস কাখে
জলজ হাস্যচ্ছলে,
সেথা হবে আমাদের
নিত্য আলাপন।
লোকলোকান্তরে
কানাঘুষায়
দমবে নাতো
পাহাড়িয়া মন।
ছবি: নিজস্ব এ্যালবাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।