অভ্র, যুগান্তকারী বাংলা লেখার সফটওয়ার। জটিল কিবোর্ড লেআউট মুখস্থ করতে না পেরে যারা বাংলা লেখাকে ভুলতে বসেছিলেন, বিদেশী ভাষায় চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলা লেখা, তাদের জন্য, আমাদের সবার জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে ফ্রি সফটওয়ার অভ্র। অভ্রর সহজবোধ্য লেখার উপায় ও ইউনিকোড ভিত্তিক ফন্টের কারণেই আজকের ব্লগিং জগতে বাংলার এই সদর্প পদচারণা। এই গ্রুপটিতে আমরা অভ্র নিয়ে কথা বলবো, অভ্রর এই সঙ্কট মুহূর্তে প্রিয় সামহয়ারইন ব্লগের ব্লগারদের কণ্ঠে ধ্বনিত হবে - "ভাষা হোক উন্মুক্ত"।
আজ জব্বার কাগুর বিসিএস কমপিউটার সিটির মেলায় গিয়েছিলাম।
আমার এক বন্ধু ল্যাপটপ কিনল। সেইখানে মাতব্বরি করলাম। যাই হোক, তিন তলায় একটি কনফারেন্স রুমের মত আছে, ওইখানে সম্ভবত অস্থায়ী ষ্টলগুলো বসেছে। ওইখানে এক কোনায় ফ্রি কফি খাওনের বন্দেবস্ত আছে, তার পাশেই একটা যায়গায় একটা লম্বা টেবিল আর সেই টেবিলের একপাশ থেকে আরেকপাশে কম্পিউটার জগতের সৌজন্যে অনেক আদীমকাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য সব ঘটনা দেয়া আছে। ওখানে দেখলাম অনেক গুলোতেই জব্বার কাগুর অনেক মহান কার্যক্রমের কথা লেখা আছে।
আমি দ্রুত ছুটে গেলাম ২০০৩ লেখা অংশের দিকে, অংশটি একটি পলিসাইনবোর্ডে আধা ঢাকা ছিল। আমি সাইনবোর্ড সরিয়ে দেখলাম, তিন লাইন লেখা, তবে আমি যা খুজছিলাম তা ছিলনা। অন্য সালের অংশগুলোতে যেখানে জব্বারলিপির নাম পর্যন্ত আছে সেখানে ২০০৩ প্রায় পুরোটাই ফাকা। ওখানে কি মেহেদী হাসান খান ভাই এর নাম শোভা পায়না? অভ্র এর জন্ম কি আমাদের দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে কোন বড় কিছুনা? আমাদের বাংলা লেখাকে সার্বজনীয় করার প্রাপ্তি হিসাবে কি সেখানে অভ্র কীবোর্ডের নাম শোভা পায়না?
হায়রে অকৃতজ্ঞ বাঙ্গালী, পুরা পেজ ফাকা রাখতে পারে তাও মেহেদী ভাই এর নাম লিখতে পারেনা।
বিঃদ্রঃ যে লেখাগুলো দেখেছিলাম সেগুলো সিয়াম রুপালি ফন্টে লেখা ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।