আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিনার রাজনৈতিক ও BALএর কুকামের সুবিধার জন্যই পুলিশ, আইনের শাসনের জন্য নয়

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে চাপের মধ্যে পুলিশ একের পর এক নৃশংস খুন ঘটেই চলেছে। খুন হচ্ছেন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষসহ অনেকে। ডাকাতি ঘটেছে খোদ সংসদ সদস্যের বাসায়, অথচ গ্রেফতার হচ্ছে না সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তরা। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশও কার্যকর হচ্ছে না। সব মিলিয়ে পুলিশ প্রশাসন রয়েছে চরম চাপের মধ্যে।

ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এক ডিসিকে বদলি এবং এক থানার ওসি ও এক এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা তাদের ওপর চাপের কথা স্বীকার করলেও তারা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই তারা নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। দায়িত্ব পালন করতে গিয়েও নানামুখী চাপের মধ্যে তারা। সূত্র জানায়, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে এখন থেকে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজধানীতে একের পর এক আইনশৃঙ্খলাজনিত ঘটনা ঘটছে।

সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটলেও গ্রেফতার হচ্ছে না দুর্বৃত্তরা। এক দিকে খুন, অন্য দিকে খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর ইন্দিরা রোডে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন ভেলেন্টাইন রোজারিও ওরফে মিল্টন (২৯) ও তার মা ভার্জিনিয়া রোজারিও (৬০)। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

১০ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলে খুন হয়েছেন যুবদল নেতা শহীদ মোল্লা। দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যার পেছনে এক আওয়ামী লীগ নেতার যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের পুলিশ খুঁজে বের করতে পারেনি। ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ঢাকা মহানগর ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ওরফে ফজলু (৪০)।

দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে নির্মমভাবে খুন করে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হলেও রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ৮ জানুয়ারি গেন্ডারিয়া এলাকায় এক চামড়া ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা এবং তার ছেলেকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিনই কামরাঙ্গীরচরের মাতবর বাজারে আবুল কাশেম (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার পর তার লাশ তারই দোকানে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা । সূত্র জানায়, সম্প্রতি রাজধানীতে বেশ কয়েকটি দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।

পল্লবীতে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শাহীদা তারেক দীপ্তি ও এক সাবেক সেনাকর্মকর্তার বাসায় গত ৯ জানুয়ারি ডাকাতি হয়। ডাকাতদল ওই সংসদ সদস্য ও তার স্বামীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লুটতরাজ চালায়। পুলিশ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। ১২ জানুয়ারি মালিবাগে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আলী নেওয়াজ খানের বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। ৫ জানুয়ারি রাশেদুল হক রাশেদ (২৮) নামে এক গৃহকর্তা খিলগাঁও এলাকায় ডাকাতদের গুলিতে আহত হন।

এ ছাড়া ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে চুরি গেছে ২০০ ভরি স্বর্ণ ও সাড়ে চার লাখ টাকা। এক সপ্তাহ পরও ওই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার কিংবা চুরি যাওয়া স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। এ ছাড়া রাজধানীতে প্রায়ই মোটরসাইকেল ছিনতাই হচ্ছে। দুর্বৃত্তরা চালককে আটকে কাগজপত্র দেখার নামে মোটরসাইকেল ছিনতাই করছে। প্রায়ই এ রকম ঘটনা ঘটলেও পুলিশ দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করতে পারছে না।

সূত্র জানায়, দুর্বৃত্তরা এতই বেপরোয়া যে, রাতে বা ভোরে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে। সূত্র জানায়, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে এলেও সম্প্রতি সরকারের কেউ কেউ এ নিয়ে মুখ খুলছেন এবং বলছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা। ফলে মারাত্মক বেকায়দায় পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও জোনের ডেপুটি কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে। একই সাথে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি এবং এক এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ফজলু হত্যাকাণ্ডের পরই এই অ্যাকশন নেয়া হয় তিন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর। দীপ্তির বাড়িতে ডাকাতির পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, এই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে পল্লবী থানা পুলিশ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। অনেক নিরীহ মানুষকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।

কিন্তু লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার হয়নি। সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে পুলিশ প্রশাসন খুব চাপের মধ্যে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের কর্মতৎপরতাও বেড়েছে। সূত্র জানায়, সিদ্ধান্ত হয়েছে কোথাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

তবে কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে গেলেও ঝামেলায় পড়তে হবে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুকে যারা খুন করেছে তাদের গ্রেফতার করতে গেলেও বিপাকে পড়তে হতে পারে পুলিশ বাহিনীকে। সূত্র জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন যারা যোগ্যতায় নয়, তদ্বির এবং আঞ্চলিক ইজমে ঢাকায় পোস্টিং নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা ঊর্ধµতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশেরও তোয়াক্কা করেন না। তারা ইচ্ছামতো দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

এ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা অবনতির অন্যতম কারণ। রিপোর্টারঃ আবু সালেহ আকন Click This Link ************************************ মতিঝিলে কয়েকদিন আগে এক যুবদল নেতার খুনে অবাকই হইনি। কারণ স্বয়ং শাসক দলের এমপির গাড়ীতে তারই দলের কর্মীর লাশ পাওয়ার পরও পুলিশ কমিশনার তদন্তের আগেই শাওনকে যেভাবে নির্দোষ হিসেবে সার্টিফিকেট দিলেন তাতে বিরোধী দলের কেউ খুন হলে তার জন্য আল্লাহকে ডাকা ছাড়া অন্য কোন গতি নাই। একের পর এক ভয়াবহ, নৃশংস খুন এবং খুনীরা ধরাছোয়ার বাইরে। ইন্দিরা রোডের মা ছেলের জোড়া খুন থেকে নিয়ে ঢাকার ৪১নং ওয়ার্ডের আলীগ নেতা ফজলুল যেভাবে প্রকাশ্যে খুন হলেন তাতে একটা বিষয়ই নির্দেশ করে সরকারের প্রভাবশালী মহল জড়িত বলেই খুনীরা ধরা পরছে না।

সেই ওয়ার্ডের হাজী নামক আলীগের অপর নেতার সাথে ফজলুর মাদক ব্যাবসা নিয়ে বিরোধ ছিল। ফজলুল সম্ভবত এই মাদক ব্যাবসায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন। সেটাই তার কাল হয়ে দাড়াল। ডিবি সহ সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা গুলো অবশ্যই জানে কারা এই খুন করেছে। কিন্তু স্রেফ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও নেতাদের কারণেই তারা গ্রেফতার করতে পারে না।

এদের গ্রেফতার করতে ২৪ ঘন্টার বেশী লাগার কথা না। মুখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ হাসিনা যাই বলুক তারা সবাই হাজীর মতন মাদক সহ অন্যান্য অপকর্মের হোতাদের নিকট হতে তারা কোটি কোটি টাকা বখরা পায়। তাই পুলিশকে নির্দেশ, সাসপেন্ড, বদলি, প্রশাসনিক চাপ এ সব লোক দেখানো। এর মাধ্যমে দলের ভাল নেতা-কর্মীদের সহ দেশবাসীকে মেসেজ দেওয়া হল যে দলের অপরাধীদের বিরুদ্ধে যাবে না নতুবা ফজলুলের মত আরও ঘটনা ঘটবে। তাই কোন বান্দা চাবে বেঘোরে প্রাণ হারিয়ে নিজ পিতা-মাতা অথবা স্ত্রী-সন্তানদের এতিম অসহায় করতে? আর সর্বশেষে ঠুটো জগন্নাথ জিল্লুরতো বসেই আছেন প্রিয় নেত্রী হাসিনা আলীগের কার জন্য মৃত্যুদন্ড মওকুফের সুপারিশ করবে।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.