আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনৈক ** সাহা সম্পর্কে বাংলানিউজ যা বলেছে। (মডু এইডা আমার কথা না যে আবার ব্লক মারবি )

দিনে সূর্য রাতে চাদঁ, নতুন আলোয় করবো মাত ! শিরোনাম: এবার বুঝি এই সাংবাদিককে থামতে হবে! মূল অংশ: নিউইয়র্ক থেকে: সন্দেহ করাকে সাংবাদিকের গুণ হিসেবেই ধরা হয়। সাংবাদিকতার শিক্ষায় শিক্ষকদের ও চর্চায় বড়দের কাছে এ কথাটি বার বার শুনেছি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সন্দেহ জাগতে হবে। তবে এরই সঙ্গে এটাও শেখানো হয়েছে, সন্দেহ হলেই তা প্রকাশ করা যাবে না। সন্দেহ করাটি যেমন সাংবাদিকতার গুণ, তেমনি সঠিকভাবে সন্দেহ করাটি আরও ভালোগুণ। সাংবাদিকের চেষ্টা করা উচিত এই ভালো গুণটিই অর্জন করা।

বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিষয়টি অনুধাবন করে বের করে আনতে হবে যে সন্দেহটি মনে জাগ্রত হলো সেটি কতটা সঠিক। তাছাড়া সন্দেহ প্রকাশের স্থান-কাল-পাত্র রয়েছে। বার্তা সম্পাদককে প্রতিবেদকের ‘আমারতো কোনো সন্দেহই হয় না....’ গল্পটি বার্তাকক্ষে খুব শোনা যায়। তেমন প্রতিবেদকের সংখ্যাই আজকাল বেশি। কিন্তু কিছু কিছু সাংবাদিকের মধ্যে সন্দেহের মাত্রাটি এত বেশি যে তাদের সন্দেহবাতিক বলা চলে।

সন্দেহবাতিকতাও সাংবাদিকতায় খুব একটা দোষের নয় কিন্তু সন্দেহ যখন ঠিক সন্দেহ নয়, সন্দেহের নামে কাউকে হেনস্তা করাই যখন উদ্দেশ্য তখন তা বিরক্তির বটেই। সাভারের ধংসস্তূপের নিচে থেকে ভবন ধসের ১৭ দিন পর রেশমা নামের মেয়েটিকে উদ্ধার করে তেমন বিরক্তির মুখেই পড়লেন উদ্ধার কর্মীরা। একজন সাংবাদিকের সন্দেহমাখা প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়েই তাদের মধ্যে ওই বিরক্তি। আগেই বলেছি সন্দেহ জাগা অবশ্যই ভালো কিন্তু তার প্রকাশের জন্য স্থান-কাল-পাত্রের বিবেচনা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সন্দেহ করাটি সাংবাদিকের জন্য যেমন গুন তেমনি স্থান ও সময় বিবেচনা করেই সেই সন্দেহ প্রকাশ একটি গুণ।

ধ্বংসস্তুপের নিচে ১৭দিন আটকে থাকা মেয়েটির অপেক্ষাকৃত পরিস্কার কাপড় নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে ওই সাংবাদিক নিশ্চয়ই সঠিক কাজটি করেননি। মেয়েটিকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী সেনা সদস্য যখন উত্তেজিত কণ্ঠে তার কৃতিত্বের বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন তার সে উত্তেজনায় পানি ঢালার মতোই এলো এমন একটি প্রশ্ন। প্রশ্ন করা হলো ১৭ দিন পড়ে মেয়েটির গায়ে কাপড় কি করে থাকে এবং সে কাপড়ই বা কিভাবে এতটা পরিস্কার থাকে? স্থান-কাল-পাত্রের বিবেচনায় সঠিক প্রশ্নটি করতে না পারার উদাহরণ ভুরি ভুরি রয়েছে। এসব প্রশ্ন বিরক্তি উদ্রেকও করে। কিন্তু কিছু কিছু প্রশ্ন আছে প্রশ্নকারীর ওপর বিরক্তি ছাপিয়ে ঘৃণা জাগ্রত হয়।

কেউ কেউ উত্তেজিত হয়ে যেতে পারেন। যা প্রশ্নকর্তাকে বিপদে ফেলতে পারে। জাতীয় দুর্যোগে, জাতীয় উৎসবে, জাতীয় অর্জনে কিংবা জাতীয় দায়বদ্ধতা যেখানেই হোক না কেন সাংবাদিককে তার দায়িত্বপালনে সতর্ক থাকতে হয়। এই সতর্কতা অবলম্বন না করার কারণেই এমন বিরক্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যা অতীতেও হয়েছে।

রেশমার কাপড় প্রশ্নে তার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। দুটি কারণে বিষয়টি ঘটতে পারে। এক. সিচিউশনে এই সাংবাদিক খেই হারিয়ে ফেলেন। অথবা দুই. তিনি ওভার কনফিডেন্সে ভোগেন। মনে করেন আমি যা বলবো সেটাই স্টাইল, সেটাই ঠিক।

আর তৃতীয় একটি বিষয় বা কারণ হতে পারে নিজেকে নিয়ে ওভারস্টেটিমেট করা। যেখানেই ঘটনা ঘটুক সেখানে গিয়ে শো ছিনিয়ে নেওয়ার একটা অপচেষ্টা থাকে। সব সাংবাদিককে দুইদিকে সরিয়ে দিয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে চোঙা (প্রকৃত অর্থে বুম) বাড়িয়ে দিয়ে স্বামী হারানো নারীকে অনুভূতি জানতে চাওয়া, কিংবা গণজাগরণের মঞ্চে একাই লাইভ করতে চাওয়া কিংবা উদ্ধারকৃত নারী শ্রমিকের পোশাক নিয়ে অযাচিত, অসময়োচিত প্রশ্ন করা সেটাই প্রমাণ করে। বড় বড় ঘটনায় বড় বড় সাংবাদিক যাবেন, কাভার করবেন এমন রেওয়াজ সংবাদ মাধ্যমগুলোতে রয়েছে। কিন্তু যারা বড়দের চেয়েও বড় হয়ে গেছেন, যারা মাঠের চেয়ে এখন অনেক বেশি ওপরের তলার, যাদের ওঠাবসা হোমড়া-চোমড়াদের সাথে তাদের মাঠে গিয়ে মন্ত্রীদের ‘আল্লার মাল আল্লায় নিয়া গেছে’ টাইপের ‘আপনার কাপড় এতো পরিষ্কার কেন’ এমন প্রশ্ন না করাটাই বাঞ্ছনীয়।

কারণ পাবলিক যখন সমালোচনা করে তখন আর ওই একক চরিত্রকে নিয়ে করে না, তখন গোটা সাংবাদিক সমাজ নিয়ে টান দেয়। ফেসবুক টুইটারের ওয়ালে তাকালে সেটাই দেখা যায়। এই প্রতিক্রিয়া গ্রহণকারীকে বোধহয় সাংবাদিকতার স্বার্থেই এই বার থামতে হবে। তাতে সবারই মঙ্গল। মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.