আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিটি ইস্যুতে বিএনপির বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার মানে

alone and keep silence জাতীয় জীবনের প্রতিটি ইস্যুতে দেরীতে মতামত জানায় বিএনপি - কেন? সবগুলোই নেতিবাচক কারনে, আসলে এরা কোনো স্তরেই নেতার যোগ্যতা রাখে না। নেতৃত্বের যে একটি predetermined vision থাকা দরকার তা তাদের থাকে না। কারন তারা সমাজ রাষ্ট্রের অভীক্ষা নিয়ে রাজনীতির চর্চা করে না। তৃণমূল থেকে তিলে তিলে গড়ে উঠা কর্মী থেকে নেতা নয়। ম্যাডামের তাচ্ছিল্য ভরা দান করা মনোনীত শীখন্ডি।

ফলে নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়ার, চিন্তা করার সামর্থ্যই নেই। ফলে রাজনীতির মতো একটি সদা সৃষ্টিশীল ভূমিতে, সদা পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে করণীয় বুঝতেই পারে না। তাই থাকে বোবা। আর কম বুদ্ধির লোক বোবা থাকলে বিলম্বে লাভ হয়। অভিজ্ঞতা থেকে এইটুকু বুঝ তাদের হয়।

চরম ক্রান্তিলগ্নেও বোবা নেতা তাই বর্জনীয়। স্বাধীনতার পক্ষের বিরল কিছু উচুঁ পদধারী (নেতা বললে নেতার সংজ্ঞাকে অপমান করা হয়। ) বিএনপিতে আছে কারন তারা আওয়ামীলীগে কোনা কাঞ্চিতেও জায়গা পায়নি তাই। যেমন ধরুন মওদুদ, রাজনীতি শুরু হয়েছিল শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক সচিব হয়ে, নানা ঘটনার ফেরে নানা রকম দিগবাজী খেয়ে এখন বিএনপিতে। তাঁর মতামত শুরু হলেই মাত্র অন্যান্য পদধারীরা রব তোলে।

যেমন মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা, শোনা যায় সে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেনি। করলেও স্বাধীনতা পরবর্তীতে ছিল পেশাদার ছিনতাইকারী। ব্রাদার্স ক্লাবের চাঁদাবাজ। অর্থাৎ রাজনীতি চর্চা করে নেতা নয়। ফলে শহর বিএনপির বড় পদে থেকেও নীরব।

যেমন এম কে আনোয়ার, সচিব থেকে অবসর নিয়ে আওয়ামীলীগের নোমিনেশন চেয়েছিলেন, পাননি। বিএনপিতে ঠাঁই পেয়েছেন। (ভাবুন আর্দশ এদের জীবন ভিক্ষা ছিল না, ছিল ক্ষমতা ভিক্ষা। ফলে গনমানুষের কন্ঠ ধ্বনি তার কাছে সময়মতো পাওয়া যায় না। সময়ে নীরব।

যেমন খালেদা জিয়া। আমরা জানি কোন পরিস্থিতিতে তিঁনি বিএনপির ভাগ্য বিধাতা। সবসময় inferioty complex-্এ ভোগেন মনে হয়। এইজন্যই ক্রাইসিস মোমেন্টেও তাঁর থেকে কোনো দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় না। ভাবুন এতোবড় পদের ভার তাঁর কাছে রাখা সঙ্গত ? দিনাজপুর, কানসাট, শনির আখড়া, তত্বাবধায়ক আন্দোলন'৯৫ ইত্যাদি ঘটনা বির্পযয়ে পরিনত হয় ঘটনার চরমক্ষণে তাঁর নিষ্ক্রিয়তায়।

আর বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার একটি সুবিধা নেওয়ার লোভে তারা থাকে নীরব। সেটা হোল ঘটনা পরবর্তী কোনো অনাকাংথিত উপ ঘটনার ফল প্রাপ্তি। যেমন ধরা যাক এক লক্ষ্যে উথ্থিত ঘটনার অন্যদিকে বাঁক নেয়া। (বিডিয়ার বিদ্রোহ)। অর্খাৎ তাৎক্ষণিত প্রতিক্রিয়ার অভাবে বিএনপি সর্মথিত ভোটার ইতিহাসের পাতায় পাতায় উপায়ান্তরহীন, অনুপায় আর ব্যাখ্যাহীন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.