আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহবাগি রাজীবের লেখার ফটোকপি বিতরণ : বিচারপতি মিজানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন : সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রতিবেদন



শাহবাগি নাস্তিক ব্লগার নিহত রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবার লেখার ফটোকপি বিলিকারী হাইকোর্টের সেই বিচারপতি মিজানুর রহমান ভূঁয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অসদাচারণের প্রমাণ পায়নি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। অথচ অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সরকার বিচারপতি মিজানুর রহমান ভূঁয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেছিল। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে। কাউন্সিলের বাকি দুই সদস্য ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এস কে সিনহা এবং বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।

অভিযোগের কোনো ধরনের প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করেছে কাউন্সিল। আইন মন্ত্রণালয় হয়ে এ সুপারিশ এখন প্রেসিডেন্টের কাছে যাবে। গত ফেব্রুয়ারিতে মিজানুর রহমান ভূঁয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। ব্লগার রাজীবকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অন্য বিচারপতিদের কাছে পাঠানোয় বিচারপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মুখোমুখি হতে হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ব্লগার রাজীবের বিভিন্ন লেখা নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এসব লেখায় রাজীব ইসলাম এবং মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে নানা ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য করে। আলোচিত ওই প্রতিবেদনটির ফটোকপি বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভূয়া তার জমাদারের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের অন্যান্য বিচারপতিদের কাছে পাঠান। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করেন। কাউন্সিলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এস কে সিনহা এবং বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জুডিশিয়াল কাউন্সিলের এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় থেকে সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি মিজানুর রহমান ভূঁয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেন। নিহত ব্লগার রাজীবকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ক্লিপিং অন্য বিচারপতিদের কাছে পাঠানোয় তাকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মুখোমুখি হতে হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ব্লগার রাজীবের কথিত বিভিন্ন লেখা নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, কথিত এসব লেখায় রাজীব ইসলাম এবং মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে নানা ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য করে।

ওই প্রতিবেদনটি ফটোকপি করে বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভূঁয়া তার জমাদারের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের অন্যান্য বিচারপতিদের কাছে পাঠান। এজন্য আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা তার পদত্যাগ দাবি করেন। এরপরই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে বিষয়টি তদন্তের অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের ৯৬(৬) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘কাউন্সিল তদন্ত করিবার পর রাষ্ট্রপতির নিকট যদি এইরূপ রিপোর্ট করেন যে, উক্ত বিচারক তাহার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে অযোগ্য হইয়া পড়িয়াছেন অথবা গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হইয়াছেন তাহা হইলে রাষ্ট্রপতির আদেশের জন্য উক্ত বিচারককে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিবেন। ’ বাংলাদেশের ইতিহাসে মিজানুর রহমান ভূঁয়ার আগে কমপক্ষে দুজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত হয়েছিল।

তাদের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। অন্য বিচারপতি তদন্ত অবস্থাতেই পদত্যাগ করেছিলেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।