আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যাজমা - সাবধানতা আর সচেতনতাই যথেষ্ট



অ্যাজমা (Asthma) নামের সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। কেননা আমাদের ভিতর অনেকেরই অথবা আমাদের অনেক কাছের আত্মীয়ের কারো কারো রয়েছে এই রোগ। অ্যাজমা একটি রেস্পিরেটরি সিস্টেমের তথা শ্বাসতন্ত্র এবং ফুসফুস ও শ্বাস নালী জনিত সমস্যা। আর সাধারনত ছোট বেলাতেই ধরা পরে যায় এই রোগ, কিন্তু মাঝে মাঝে বেশ দেরিতেও ধরা পরে। কি সমস্যা দেখা যায় – উপসর্গ - কাশি (বিশেষ করে রাতে), শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা, কফ হওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা, শারীরিক কর্মকান্ড করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া - কিছুক্ষন হেঁটে বা সিড়ি ভেঙ্গে শ্বাস কষ্ট শুরু হওয়া। কেন হয়? সাধরনত শ্বাস নালীর ইনফ্লেমেশান এর জন্য, শ্বাসনালীতে সিকরেশান বেড়ে যাওয়ার জন্য। কি কারনে অ্যাজমা বেড়ে যেতে পারে - অ্যালার্জেন(যার সংস্পর্শে অ্যালার্জি বেড়ে যায়) এর সংস্পর্শে আসা, অন্য ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া হিসেবে, শ্বাস নালীতে অন্য কোনো রোগ কিংবা ইনফ্লেমেশান এর জন্য, হঠাৎ শীতের সংস্পর্শে আসা কিংবা ঠান্ডা বাতাসের জন্য, কল কারখানা, গাড়ী নিঃসৃত গ্যাসের জন্য অ্যাজমা জনিত সমস্যা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের ভিতর থাকতে পারে, বিশেষ করে বাবা - মা এর থাকতে পারে, কারন এটি একটি জেনেটিক্যালি ট্রান্সমিটেড (জেনেটিক ম্যাপের মাধ্যমে তথা বংশ পরম্পরায় যে রোগ ছড়ায়) রোগ। সে জন্য কারো ফ্যামিলিতে অ্যাজমা সমস্যা থাকলে অন্য সদস্যদের ও অ্যাজমার ব্যপারে সচেতন হয়ে ওঠা উচিত এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত! অ্যাজমা একটি ক্রনিক (যে রোগ অনেকদিন ধরে মানুষের শরীরে থাকে) রোগ, আর অ্যাজমা এর চিকিৎসা এটা থেকে মুক্তি দেয় না, বরং এর ইফেক্ট একটা নির্দিষ্ট গ্রহনযোগ্য সীমার ভিতরে রাখে! অ্যাজমা রোগীর উচিত সবসময়ই এই ব্যপারে খেয়াল রাখা এবং চিকিৎসিকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত এবং প্রযোজনমতো ঔষধ গ্রহন করা! আর অ্যাজমা যে কোনো সময় বড় ধরনের কোনো সমস্যা নিয়ে ধরা দিতে পারা - হঠাৎ শ্বাস প্রশ্বাসে খুব সমস্যা হওয়া, কিংবা শ্বাস নিতেই না পারা - কিংবা লাংস (ফুসফুস) ফেইলর এর মতো সমস্যা হতে পারা, তাই অ্যাজমার ব্যপারে সকলকেই সচেতন থাকা উচিত! প্রধানত এন্টি ইনফ্লামেটিরি এবং ব্রঙ্কো ডাইলেটর এর মাধ্যমে অ্যাজমা এর অবস্থা বুঝে এর চিকিৎসা দেয়া হয়! ইনহেলার (সাল্বিউটামল) ব্যবহার করে সাময়িক ভাবে অ্যাজমা থেকে মুক্তি মিলতে পারে কিন্তু যদি হঠাৎ করে খুব বেশি সমস্যা নিয়ে দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে। সাবধানতা আর সচেতনতাই সবচেয়ে বড় ব্যপার - সাবধান থেকে আর সচেতন থাকার মাধ্যমে অ্যাজমাকে স্বাভাবিক সীমার ভিতর রাখা যেতে পারে, ডাস্ট এলার্জি জনিত কারনে অ্যাজমার জন্য ধূলাবালি থেকে ধূরে থাকা জরুরী, আবার কারো কারো খাবার জনিত এলার্জিও অ্যাজমাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে - এব্যপারেও সাবধান থাকতে হবে। কারো অ্যাজমা সমস্যা বেড়ে গেলে বা নিত্য ব্যবহার করা ইনহেলার দিয়ে সমস্যা না ঠিক হলে দ্রুত চিকিৎসকেওর শরনাপন্ন হতে হবে!! Dr.N.H.Sarja

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.