আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের নববিক্রম আমাদের অহংকার!!!!!!!!!!!!!

জসীমউদ্দীন,বালুখালী,রাঙ্গামাটি।

ওসমান গনির টাকার গল্প আমাদের অনেকের মনে আছে হয়তো। বন বিভাগের ঐ কর্মকর্তার বাসার আনাচে কানাচে লক্ষ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। কেয়ারটেকার সময়ে ধরা পড়া ওসমান গনির শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল- তা আমাদের অনেকের অজানা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকায় প্রকাশিত নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার দুর্নীতির খতিয়ান দেখে মনে হল,ওসমান গনি তার কাছে কিছুই নয়! ঐ পক্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশের এই অতিরিক্ত আইজিপি রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কে তিন হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট কিনেছেন।

বউয়ের নামে কিনেছেন সাড়ে তিনহাজার বর্গফুটের আরো একটি ফ্ল্যাট একই স্থানে। ৫ কোটি টাকার এফডিআর আছে তিনটি লিজিং কোম্পানীতে। স্ত্রী, সন্তান ও নিজের নামে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যান সমিতি থেকে তিনি জায়গা বরাদ্দ নিয়েছেন। এই বিষয়টি গোপন রেখে পুনরায় রাজউক থেকে নিয়েছেন ১০ কাটার প্লট বরাদ্দ।

রাজধানীর বনরুপা হাউজিং প্রকল্পে স্ত্রী অনামিকার নামে কোটি টাকা মূল্যের জায়গা কিনেছেন। তার স্ত্রীর নামে ৯৮ সালে আরো ৪৩ শতাংশ জমি কেনেন উত্তরায়। ১৯৯৭ সালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ২০ একর পাহাড় বরাদ্ধ নেন সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি এবং ২০ একর বরাদ্দ নিলেও ১০০ একর দখল করেছেন বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তিনি চট্টগ্রামে পুলিশের উপ কমিশনার থাকাকালে হালিশহরে ৪২ গন্ডা ও ফয়স লেকে ২৩ গন্ডা জমি বাবা ও সন্তানদের নামে ক্রয় করেন। শুধু দেশে নয় বিদেশেও তিনি গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি।

অস্ট্রেলিয়ায় তিনি বাড়ি কিনেছেন ২টি। ১৬ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে বলে ঐ প্রতিবেদন হতে জানা যায়। তিনি ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ২০ বার অষ্ট্রেলিয়া যাতায়াত করেছেন। বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় খুলনায় অতিরিক্ত ডিআইজি থাকাকালে তিনি চরমপন্থিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পেতেন। ঐ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ৮২ ব্যাচের এই পুলিশ কর্মকর্তাকে অতিসত্ত্বর বর্তমান সরকার পুরস্কৃত করতে যাচ্ছে।

এই মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ কর্মকর্তা খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।