আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিরোনামহীন অকারন লেখা।

আমার কথা বলতে এসেছি।

(ব্লগীয় ক্যাচালে বিরক্ত প্রতিক্রিয়া) আল্লাহ আছেন কিনা ঠিক বলতে পারছি না, তবে তাকে অস্বীকার করার মত মুর্খও আমি নই। আমি আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা জানি। অসীম অজ্ঞতা স্বীকার করে, সমসাময়িক পদার্থ বিজ্ঞানের বর্তমান স্বীকারক্তি জানতে চাই। কোয়ান্টাম বা থেওরি অফ রিলেভিটি আচানক লাগে, সর্বশক্তির উৎসের প্রতি কোতুহলি করে তোলে।

মহাবিশ্বের বিশালতা নিজেকে বিনয়ী হতে শেখায়। সব কিছু বাই চান্স সৃষ্টি বলতে লজ্জা লাগে। আমি কেনো বাই চান্স মহাবিজ্ঞানী হলাম না? সাপ ব্যাং ইদুর কেনো নয়? প্রশ্ন জাগে, তবে কি অজ্ঞতাই ঈশ্বরের পুঁজি? অন্ধকারেই ঈশ্বরের জন্ম হয়? না জানা সবটুকুই ঈশ্বরের সম্পত্তি? নাহ, এতটা অন্ধ হতে ইচ্ছে করে না। ঈশ্বরে হাতের তাশের গাল গল্প শুনে নিজের হাতের তাশ আড় চোখে দেখি, সাব এ্যটোমিক লেভেলে সব কিছুই কি এনার্জি? বিপুল গ্রাভিটির চার পাশে কি সময় সত্যিই কি ধীরে চলে? একারনেই কি স্যাটালাইট গুলোর সময় ঠিক করতে হয়? (রিসেন্টলি হকিং্যের টাইম ট্রাভেল আর স্টোরি অফ এভরিথিং দেখলাম) এসব আবিস্কার কি ঈশ্বরের বহু বছর আগে বলা কথা গুলো স্বীকার করে? নাকি পদার্থ বিজ্ঞানের এসব তত্ত্ব শুধুই অন্ধকার আবোল তাবোল? কেনো আমি হকিংকে জিজ্ঞাসা করতে পারবো না, বিগ ব্যং এর আগে যদি কোনো সময় বা অবস্থা না থাকে, যদি সব কিছু শূন্যতা থেকে, অসীম ভরের, অসীম ক্ষুদ্র কোনো বিন্দু থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে, কোনো বিজ্ঞান কি এমন পদার্থ বা অপদার্থের অস্তিত্ব ব্যাখ্যা করেতে পারে? ওই বিন্দুর আগে কি ছিলো? হ্যা, এসব প্রশ্ন আমি জিজ্ঞেস করতেই পারি। কারণ এটা বিজ্ঞান।

বিজ্ঞান বাস্তবতায় বিশ্বাস করে। কল্পনাকে নয়। ঈশ্বরকে অন্ধকারে রেখে ভয় পাবার দরকার নেই। দরকার নেই বেহেস্তের লোভে সং সাজার। দোজখের ভয়ে ছাগু হবার দরকার নাই।

আলোকিত মানুষের মত চোখ বন্ধ করুন, বলুন তো চার পাশে যা কিছু আছে সবই কি 'বাই চান্স'-এ সৃষ্টি একটা সিস্টেম মাত্র? প্রকৃতি কি একটা সত্ত্বার মত? যদি না হয়, এত কিছু বাই চান্সে অপারেট করা একটুও কি অদ্ভুত মনে হয় না?? একটুও অযৌক্তিক মনে হয় না?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।