আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশরত্ন তথা ভারত রত্ন মহামতি হাছিনা জননীর আরেকটি আমলনামা



দেশরত্ন তথা ভারত রত্ন মহামতি হাছিনা জননীর আরেকটি আমলনামা সদ্য প্রকাশিত হচ্ছে চারদিক। যে কথা মাহমুদুর রহমানের আমার দেশে ছাপা হওয়ার ভারতভক্তকুলের গায়ে জ্বালা ধরতো,তা এখন থলের বেড়ালের মতো বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। হায়রে স্বদেশ কদ্দুর বাশ দিলে তুই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত হবি। সে ই মহান ১০০কোটি লোন যা ভারতের ইতিহাসে প্রথম,আমাদের হাবা-হাসমত বার্ঙ্গালীকে যা জোর করে গিলালেন হাছিনা শেখ। তোষামোদি কবি সাহিত্যিকরা তাতে কাব্য করে উঠল।

সম্পাদকরা কলাম লিখল সানন্দে আর ছাপাতি লীগ পুষ্টমাল্য দান করলো জননীর পদতলে। আজকের প্ররথম আলু: ভারতীয় ঋণে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ কনটেইনার নদীবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে এই বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করবে সরকার। ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা দিতে ভারতীয় পণ্য পরিবহনে এই বন্দর ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্যে আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার নদীবন্দর স্থাপন প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য তথা ভারতীয় ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ২১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা আর স্থানীয় মুদ্রায় জোগান দেওয়া হবে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হতে পারে। পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভারতকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার অংশ হিসেবে এই বন্দরটি স্থাপন করা হবে। মূলত কলকাতা থেকে নৌপথে আসা পণ্যবাহী কনটেইনার এই বন্দর দিয়ে আখাউড়া হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যাবে।

এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে নৌপথে পরিবাহিত কনটেইনার ওঠানামা করতেও এই বন্দর ব্যবহার করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নদীতীরে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের কাজ ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৩ সালের জুন মাস নাগাদ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় চার লাখ টিইইউ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) কনটেইনার যাবে।

এর প্রায় পুরোটাই ভারতীয় পণ্য। শুধু ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত নৌ প্রটোকলের আওতায় বন্দরটি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে প্রকল্প প্রস্তাবনায়। এই বন্দর নির্মাণে মোট ১৩ হেক্টর বা ৩২ একর জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে আট হেক্টর বা পৌনে ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে আর বাকি ১২ একর জমি ইজারা নেওয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কনটেইনার জেটি, মাল্টিপারপাস জেটি ও ইয়ার্ড, ব্রিজসহ এক্সেস রোড, তীর সংরক্ষণ, ট্রানজিট শেড, কার্গো শেড, অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে।

ইতিমধ্যে সরকার আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে ‘পোর্ট অব কল’ ঘোষণা করেছে। পোর্ট অব কল বলতে বোঝায় যেসব নৌবন্দরে সাধারণত পণ্যবাহী জাহাজের মালামাল ওঠানামা করা হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়। গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে একটি যৌথ ঘোষণাও দেওয়া হয়। এতে ভারতকে পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ট্রানজিট বা ট্রানশিপমেন্ট দেওয়ার জন্য অবকাঠামো নির্মাণসহ বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। এই ঋণের টাকাতেই আশুগঞ্জ কনটেইনার নদীবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় ঋণের অন্যতম শর্ত হলো ৮৫ শতাংশ ক্রয় কার্যক্রম ভারতের সঙ্গে হতে হবে। এটি মূলত সরবরাহকারী ঋণ। উইকিলিকসের তথ্য উইকিলিকসের ফাঁস করে দেয়া মার্কিন গোপন নথিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদফতর (ডিজিএফআই) সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) সদস্যদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দিয়েছিল।

উইকিলিকসের ফাস করা তথ্যে আরো জানা যায় ফখরুদ্দিনের শেষ সময়ে যুকরাজ্য,যুক্তরাষ্ঠ,ভারত বাংলাদেশ নিয়ে প্রায়ই বৈঠক করতো এবং বাংলাদেশের বানিজ্যিক সুবিধাদী নিশ্চিত করতে তারা আমেরিকার সাহায্যো চায়। শেয়ার কেলেংকারী: দেশের শেয়ারবাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল রোববার সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৫৫২ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে। দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এক দিনে এত বেশি সূচক পতনের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বর শেয়ার কেলেঙ্কারির সময় সর্বোচ্চ ২৩৩ পয়েন্ট বা ৬ শতাংশের মতো সূচক কমেছিল।

এই হিসেবে গতকালের সূচক পতনের ধারা ওই ঘটনাকেও হার মানিয়েছে। প্রিয় পাঠক! জননেত্রী শেখ হাসিনা রত্নের মহান কর্মগুলি দেখুন। শেয়ার কেলেংকারীর সাথে এখন আমরা নির্দ্বিধায় সংযুক্ত করতে পারি। এই কেলেংকারীর হোতা যখন নিজেকে সাধু সন্ন্যাসী আর অন্যদের মহাচোর বলে তখন খাটাশেরও হাসি পায়। ভারতের লোন নিয়ে উনি আমাদের বাঘা বাঘা বীর বাঙ্গালীদের কেমন মদন বানিয়েছেন আর মনের সুখে বিমানবন্দরে গান গেয়েছেন,তা ভাবলে মিষ্টি মধুর কোন ডাইনীর চেহারায় শুধু মনে আসবে।

উইকিলিকসের তথ্য থেকে জানা গেল,কিভাবে কারা জঙ্গী সৃষ্টি করে ঐ বাহানায় হুজুরদের ধরে বুকের জঙ্গি,জে এম বি,হুজি স্টিকার লাগিয়ে দেয়। টার্গেট যে ইসলাম এ সত্যটা কি আজো মুর্খরা ভুলে থাকবে? তথাকথিত গনতান্ত্রিক সুষ্টু অবাধ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বানিজ্যিক সুবিধার নিশ্চয়তা আমেরিকা ভারতকে দেয়-দেশ আমাদের ট্রানজিট,নৌবন্দর,করিডোর আর শুল্কমুক্ত পন্যের প্রবেশাধিকারে র নিশ্চয়তা দেয় আমেরিকা ! সে মতে ই নির্বাচন হয় সে পথে ই ক্ষমতায়ন হয় আওয়ামী লীগ বি এন পির । ভারতের প্রাপ্ত নিশ্ছয়তা আর হাছিনা ট্রানজিট,টিফাই বাধ,কোটি কোটি টাকার লোনের সুদ এসব দেখে-ই বুঝা যায় কে কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিল। আর কে কত দেশ পেমিক। আসুন আমরা "যুদ্ধপরাধ বিচার" নামক হাছিনা-ভারত-যুক্তরাষ্ঠ-যুক্তরাজ্যর প্রস্তুতকৃত চকলেটটি চোখ বন্ধ করে চুষি,দেশের অন্য কিছু নিয়ে যেন ভুলে ও না ভাবি।

হাছিনারত্ন কথায় কথায় রোমান্ধপ্রিয় ভক্তকুলকে গান ও কবিতায় মোহিত করেন,আসুন সম্মিলিত কন্ঠে তার তরে নিবেদিত হই........ "এমন রত্ন কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি; চিৎপটাং হয়ে সবাই এখন তাহার পায়ে চুমি"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.