আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসব যুদ্ধাপরাধী ডিবি কর্মকর্তাদের শাস্তি চাই!!!!!!

সত্য সন্ধানে সর্বদা নির্ভিক

১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যে সব ডিবি কর্মকর্তাদের অধীনে রিমান্ডে রয়েছেন তারা সবাই যুদ্ধাপরাধীদের সাহয্যকারী। এদের শাস্তি চাই!!! প্রিয় বগ্লার ভাইয়েরা প্রশ্ন করতে পারেন কেন তারা যুদ্ধাপরাধীদের সাহয্যকারী... উত্তর দেওয়ার আগে একটু ফিরে যায় ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখনকার একটি ঘটনার স্মৃতিচারন করতে। সে সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল করতে গেলে বর্তমান ডিসিসি মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তার রক্তাক্ত মাথার ছবি পর দিন সকল দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ছাপানো হয়। কিন্তু তখন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলেন সাদেক হোসেন খোকার ঐ রক্ত নাকি আসল না তা নাকি গরুর রক্ত।

গরুর রক্ত মেখে তিনি নাকি ভনিতা করেছেন। সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর করা এই উক্তি সত্যও হতে পারে কারণ সাদেক হোসেন খোকা পুলিশ হাতে গ্রেফতার ছিলেন না কিংবা রিমান্ডেও ছিলেন না। তিনি গরুর রক্ত মাথায় মেখে এই অভিনয়টা করতেই পারেন। এবার আসুন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার দিকে একটু তাকায়, সালাউদ্দিন কাদেরকে গ্রেফতার করার পর তাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলে সাকা চৌধুরী আদালতে দাড়িয়ে অভিযোগ করেন। এসময় তিনি তার নাক থেকে টিস্যু দিয়ে রক্ত মুছে তা জজকে দেখান।

তখন সরকার দলীয় আইনজীবীগন দাবি করেন সাকা চৌধুরী ভনিতা করছেন। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি। ধরে নেওয়া যাক সরকার দলীয় আইন জীবীদের অভিযোগ সত্য। তা একটা প্রশ্ন রয়ে যায়, যেহেতু সাকা চৌধুরী ডিবি হাতে গ্রেফতার রয়েছেন। এবং তাকে রিমান্ডে ডিবিই নিয়েছে তাহলে সাকা চৌধুরী আদালতে এই ভনিতা দেখানোর জন্য গরুর রক্ত বা মশার রক্ত বা কুকুরের রক্ত কিংবা কোন প্রকার রং যা নাকে মেখে আদালতে দেখাবেন তা কোথায় পেলেন???? তাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তো তিনি কোন প্রকার রং বা রক্ত সাথে করে নিয়ে যান নাই, আবার তাকে যখন রিমান্ডে নেয়া হল তখন তার কোন আত্মীয়-স্বজন বা সহকর্মীদের সাথেও দেখা করতে দেয়া হয়নি যে তারা তাকে রঙ বা রক্ত সরবরাহ করবে।

তাহলে কে তাকে এই রক্ত বা রঙ সরবরাহ করলো তাকে অভিনয় বা ভনিতা করার জন্য??? নিশ্চয় ঐসব ডিবি কর্মকর্তারা এই রঙ বা রক্ত সরবরাহ করেছেন তাকে অভিনয় করার জন্য। এখন এই ঘটনা থেকে কয়েকটা বিষয় উপনীত হওয়া যায়, ১. সরকারি আইনজীবীদের অভিযোগ সত্য: সুতরাং সাকা চৌধুরী যদি যুদ্ধাপরাধী হন তা হলে একজন যুদ্ধাপরাধীকে ডিবি কর্মকর্তারা সহয়তা করেছেন সুতরাং তারাও অপরাধী ২. যদি ডিবি কর্মকর্তারা এই রক্ত সরবরাহ না করে থাকেন তা হলে সাকা চৌধুরী আদালতে যে রক্ত দেখিয়েছেন তা তারই রক্ত। সুতরাং ডিবি কর্মকর্তারা তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করেছেন। তাহলে সরকারি আইন জীবী ও ডিবি কর্মকর্তারা যে দাবি করছেন যে তারা সাকা চৌধুরীকে নির্যাতন করেন নাই তা মিথ্যা। তাহলে আদালতে ও মিডিয়ার সামনে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় কি তাদের শাস্তি হতে পারেনা????? প্রশ্নগুলো উত্তর কে দিবেন????????????????????????????


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।