আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হা-মীম গার্মেন্টেসে আগুন: “তুমি ঝাপ দিয়ে মরো গা, আমি পুড়েই মরবো, তাহলে আধা ঘন্টা হলেও বেশি বাঁচতে পারবো

একজন খেটে খাওয়া-শ্রমজীবী মানুষ। নিজের অধিকারের কথা বলতে চাই ও অন্যের শুনতে চাই। তাই বলে দেশ, দেশের মাটি, আলো-বাতাশ ও মানুষকে বাদ দিয়ে নয়।

মঙ্গলবার আশুলিয়ার গার্মেন্টস কারখানা আগুনে জ্বলছে। ১১ তলায় অনেক শ্রমিক অবরুদ্ধ।

কয়েকজন শ্রমিক নিচে ঝাপি পড়েছে ওপর থেকে। দেথা যাচ্ছে পড়ে আর নড়ছে না, ুকিছুৃক্ষন পর লোকজন এসে লাশ সরিয়ে নিচ্ছে। দেখে দেখে একটি মেয়ে অন্যদের বললো আগুনে পুড়লে আত্মীয় স্বজনের কাছে লাশ যাবে না। বরং নিচে ঝাপ দিয়ে মরি সবাই দেখেবে-লাশটি বাড়ি যাবে। তাই বলে ১১ তলা থেকে ঝাপ দিয়ে পড়ে মরে যায়।

আর একটি ছেলে বললো “ ঝাপ দিয়ে মরলে সঙ্গে সঙ্গে মরে যাবে। আর আগুনে পুড়ে মারা গেলে ২০/৩০ মিনিটে পুড়ে পুড়ে মরবো। পুড়ে মরলে দুনিয়া ২০ মিনিট বেশি বেঁচে থাকা যাবে। তুমি ঝাপ দাও দিয়ে মরো গিয়ে। আমি দেখি কি করা যায়।

” বলে ছেলে শ্রমিকটি থেকে যায়। কিছুক্ষন ছেলে শ্রমিকটি গরম ফ্লোরে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। এক সময় উদ্ধারকারীরা একটি বড়ো কাপড় নিক্ষেপ মকরে সেই কাপড় বেঁধে নিচে নেমে আসে। সেই শ্রমিকটির হাত ছিলে যায়, মাজা ভেঙ্গে যায়। একখন চিকিৎসাধীন।

তার চোখেরর সামনে ঝাপ দিয়ে মেয়েগুলোর মরা। ফ্লোরে তালা লাগানোর জন্য নামতে না পারার কষ্ট একেবারে জম দূতের সাথে দেখা করা যেন। মৃত্যুদের সাথে মোলাকাত করার কিছু ‘গল্প’ হয়তো শ্রমিক আওয়াজের কাছে শোনা যেতে পারে ২১ ডিসেম্বর।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।