আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছিন্নপত্র

শ্রাবনী খুঁজছে ভাবনার পথ...

বৃষ্টি ধরে এসেছে। বিকেল বেলায় আকাশের এমন গোমড়ামুখ দেখতে কারই বা ভাল লাগে। সারাদিন বৃষ্টি হওয়া আর এই বিকেল মুখে বৃষ্টি হওয়া এক কথা নয়। বিকেল খুব স্পর্শ কাতর একটা সময়। অভিমানী কিশোরীর মত।

প্রিয় বইটি পড়তে না পারলে যেমন কষ্ট হয় তেমনি যেন বিকেলের সুর্যের নরম আলোটুকু না পেলে মুখ গোমড়া হয়। কারা যেন উচ্চস্বরে হাসছে। এমন দিনে কেমন করে যে হাসি পায় মানুষের তা স্রষ্টাই জানেন। এমন দিন গুলিতে আনমনা হয়ে বসে থাকতে ভাল লাগে, এমন দিন গুলিতে রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুরে ডুবে থাকতে ভাল লাগে একা একা চুপচাপ। থাকে না এক একটা দিন শুধু নিস্তব্ধতার জন্য।

আজ রিহার্সালে খুব দেরী হয়ে গেল। লাবন্য খুব দ্রুত শাড়ির কুচি ঠিক করতে থাকে। অপুর্ব দা খেয়ে ফেলবে আজ ওকে। ইশস! কেন যে রেডি হলো না আরো আগেই। বইটা ছেড়ে উঠতে একটুও মন চাইছিল না।

দ্রুত চুলটা আচঁড়ে নিয়ে কপালে একটা নীল টিপ পড়ে নিল লাবন্য । ড্রেসিং টেবিলের উপর চুড়ির আলনার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে এক মুহুর্ত থমকে দাঁড়ালো। পড়বে না পড়বে না করেও দুহাতে পড়ে নিল কয়েকটা নীল চুড়ি। চুড়ি ওর খুব প্রিয় তাই চুড়ি পড়াটা ওর চাইই চাই। নাটক নামবে আর তিন দিন পর।

দিনরাত এক করে ওরা রিহার্সাল করে যাচ্ছে। ভাল হতেই হবে অপূর্ব দা'র একটাই কথা। আর এমন দিনেই কি না লাবন্য নেই। আজ সকালেও যায়নি। কি যে আছে আজ কপালে ভাবতে ভাবতে দ্রুত পায়ে হেঁটে যাচ্ছিল লাবন্য।

সবে শহীদ মিনারটা পার হয়েছে ঠাস করে স্যান্ডেলের ফিতেটা ছিঁড়ে গেল। রাগে দুঃখে চুপচাপ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল । আজ যেন সব কিছুই ওর বিপক্ষে । কি বকাই যে খেতে হবে আজ! স্যান্ডেল জোড়া খুলে হাতে নিয়ে খালি পায়েই হাঁটতে শুরু করল। ওকে এই অবস্থায় একবার যদি রনক দেখতে পেত ওর খবর করে ফেলত খেপাতে খেপাতে।

ভাগ্যিস নেই। আজ পনের দিন হলো ও শহরের বাইরে। পথনাটক করছে ওদের গ্রুপটা। বেশ কয়েকটা জেলায় ওদের শো হবে। কি যে অদ্ভুদ শূন্যতা! রনক নেই।

পুরো শহরটাই খালি খালি লাগে লাবন্যের। দীর্ঘশ্বাস ফেলে পা বাড়ায়। ২. নাটক খুব ভাল চলেছে। টাউন হলে উপচে পড়া দর্শক। লাবন্যের অভিনয় দেখে কঠিন পাষানেরও চোখে জল এসেছে।

লাবন্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বোদ্ধামহল কিন্তু লাবন্যের চোখের কোণে জমেছে মেঘ। রনক আসেনি। ওর নাটক দেখতে আসেনি রনক। লাবন্যের প্রথম নাটক অথচ ওর প্রিয় মানুষটাই নেই। গ্রীন রুমের হইচই পিছনে ফেলে বের হয়ে আসে লাবন্য।

বেশ রাত হয়ে এসেছে। রিকশায় যেতে যেতে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছে না ও প্লাবনের মত কান্না আসছে। ভেসে যাচ্ছে সারা মুখ চোখের জলে। বাসার কাছাকাছি ল্যাম্প পোষ্টের নীচে কে যেন দাঁড়িয়ে। হাত তুলে রিকশা থামালো।

লাবন্য ঝাপসা চোখে চেয়ে দেখে রনক দাঁড়িয়ে। এলোমেলো চুল খোঁচাখোঁচা দাড়ি, শার্টটাও কুচকে আছে। খুব ক্লান্ত দেখায় ওকে। রিকশায় উঠে বসে রনক। রিকশাওয়ালাকে রিকশা ঘুরাতে বলে।

'কোথায় যেতে বলছ? না আমি এখন কোথাও যাবো না। ধরা গলায় আপত্তি জানায়। রনক ওর কানে ফিসফিস করে বলে ' প্লীজ লাবন্য আজ আমার সাথে এমন করো না। কিছুটা সময় তোমার সাথে থাকতে দাও। প্লীজ!' করুন মুখে কথা গুলো বলে রিকশাওয়ালাকে এগুতে বলল।

লাবন্য চুপচাপ কেঁদে যাচ্ছে । চোখ ভেসে যাচ্ছে অভিমানের কান্নায়। রনক চুপচাপ দেখছিল ওর কান্না। বেশ অনেক ক্ষণ পর আস্তে আস্তে বলল ' তুমি যে এত কাঁদতে পারো জানতাম না তো! আর কিছুক্ষণ পর মনে হচ্ছে আমি পুরাই ভিজে যাবো। ' ফোঁপানির শব্দ আচমকাই থেমে যায়।

কঠিন গলায় ঝাঁঝের সাথে লাবন্য বলে ' কি বললে?! ভিজে যাবে মানে কি? তোমার কি মনে হচ্ছে আমি ঢং করছি?! রনক হেসে ওঠে হা হা করে। 'আরে নাহ! আমি কি তাই বলেছি নাকি। তোমার কান্নার পাওয়ার দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলাম। দেখো তুমি আমার হাতটা ধরে দেখো। পুরাই ভিজা।

তাই মনে হচ্ছিল যে হয়ত...' একটা হাত তেড়ে আসছে দেখে সভয়ে মাথাটা বাঁচায় রনক। 'জান আমি ইচ্ছে করে দেরী করিনি। বাস নষ্ট হয়ে গেল মাঝ রাস্তায়। ২ ঘন্টা ওখানেই শেষ। তার উপর রাস্তার অবস্থা তো জানোই।

প্রচন্ড জ্যাম। প্লীজ মাফ করে দাও। এর পরের বার তোমার শো এর দিন কোন শিডিউলই রাখবো না। প্রমিজ। প্লীজ় আর কেঁদো না।

' লাবন্যর রাগ ভাঙ্গাতেই জানটা বের হয়ে গেছে আজ রনকের। মেয়েটা এত অভিমানী! খুব ক্লান্ত লাগছে। এই কদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম তার উপর সারা দিনের জার্নি সব মিলিয়ে খুউব ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ও। যতই ক্লান্ত থাকুক লাবন্যকে না দেখলে আজ ও মরেই যেত। এত গুলো দিন না দেখে থাকা যায়! মনটা এত ছটফট করছিল একবার দেখার জন্য।

আজ লাবন্যের প্রথম শো গেল আর আজই ও থাকতে পারল না। একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ে রনকের। ৩. রনকের বাসায় আজ খুব ব্যস্ততা। আপু এসেছে সাথে পুরা ব্যাটালিয়ন নিয়ে। বেশ মজা হচ্ছে ।

অনেক দিন পর ভাগ্নী দুইটা এসেছে। জমজ বয়স দু'বছর। নিহা আর ফিহা। কি যে সুইট দুইটা বাবু! রনকের জান এই দুইটা। আপুর বিয়ের পর বাড়িটা একদম খালি খালি লাগত।

তাই যখনই রিনি বাড়িতে আসে সারা বাড়িতে উৎসব শুরু হয়ে যায়। লাবন্যের সাথে বেশ কদিন ধরে মন মালিন্য চলছে। বিষন্ন থাকতে রনকের ভাল লাগে না। সব কিছু ভুলে গেল আপুরা আসার পর। সারা দিন মনেই পড়ল না লাবন্যের কথা।

রাতে ঘুমুতে যাবার আগে শুধু মনটা খচখচ করতে লাগল। লাবন্য সারাদিন চুপচাপ। একবারও ফোন করেনি। দূর! না করলে নাই। ওরও এত ঠেকা নাই ফোন করার।

ঘুমিয়ে পড়ল শান্তিতেই। লাবন্যের নাটকের পর থেকেই রনক কেমন জানি অদ্ভুদ আচরন করছে লাবন্যের সাথে। থিয়েটারের সাথে রনক সেই স্কুল থেকেই জড়িত। থিয়েটার ওর রক্তে মিশে আছে। কত নাটক নেমেছে ওর।

কত শো ওরা করেছে। খুব ভাল সংগঠক খুব মেধাবী একজন অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও কই ওকে নিয়ে তো এত হৈচৈ হয়নি। সারা শহরবাসী যেন লাবন্যের জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে। চারপাশ থেকে প্রশংসা যেন রাশি রাশি বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে লাবন্যের উপর। আজ নতুন নাটকের মহড়াতেও লাবন্যকে নিয়ে খুব উচ্ছসিত ছিল সবাই।

এত কষ্ট করে ১২ টা দিন ধরে চলা ওদের পথ নাটক গুলো নিয়ে কারো তেমন কোন মাথা ব্যাথা দেখা গেল না। রনকের বুকের ভেতর কি যেন পুড়ছিল খুব। হিংসা? বিদ্বেষ? ও জানে না। কিন্তু ওর সহ্য হচ্ছিল না। লাবন্যকে রনক পাগলের মত ভালবাসে সেই মানুষটির সাফল্যে কেন ও খুশী হতে পারছে না? যেই মেয়েটা ওর প্রতি পদক্ষেপে পা মিলিয়ে চলেছে শুধুমাত্র রনকের পাশে থাকতে পারবে বলে থিয়েটারে ঢুকেছে।

যে লাবন্যের অভিনয়ের হাতেখড়ি রনকের হাতে। আজ তো ওর গর্বিত হবার কথা কিন্তু বুকটা পুড়ছে কেন?! কি একটা কথা নিয়ে বেশ হাসির রোল উঠলে সচকিত হয়ে রনক দেখে লাবন্য হাসতে হাসতে ভেঙ্গে পড়ছে একেবারে। গা'টা জ্বলে গেল দেখে। রনক আস্তে করে উঠে চলে আসে। ৪. ছিন্নপত্র নাটকের রিহার্সাল চলছে।

মূল অভিনয়ে রনক। লাবন্যও আছে একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। রিহার্সাল এর প্রথম দিন থেকেই লাবন্য লক্ষ্য করছে রনক যেন খুব অহংকারী হয়ে গেছে। কথায় কথায় ওকে খোঁচা দিচ্ছে। ওর প্রতিটি ভুলের কঠোর সমালোচনা করছে।

এতটাই নিষ্ঠুর হয়ে গেছে রনক যে ওর লুকিয়ে চোখের জল মোছা যেন দেখেও দেখে না। রিহার্সাল শেষে অপূর্বদা রনককে ডাকল 'এই রনক শুনে যা তো। ' চায়ের কাপে দীর্ঘ চুমুক দিয়ে জানতে চাইল ' তোর কি হয়েছে রে? এমন করে রাজকন্যার পিছে লেগেছিস কেন? মেয়েটাকে আজ কাঁদিয়ে তবে ছেড়েছিস। কি ঘটনাটা কি?' রনক হেসে বলে ' কিছু না দাদা। তোমার রাজকন্যা খুব আহ্লাদী তো একটুতেই গলে যায়।

' অপূর্বদা'র ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে দেখে রনক বলে 'আচ্ছা দাদা যাচ্ছি রাত হলো বেশ। ' দ্রুত পায়ে হেঁটে রিহার্সাল রুম থেকে বের হয়ে আসে দেখে লাবন্য নেই। 'এই চিকু লাবন্যকে দেখেছিস?' রনক চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে দলেরই একটা ছেলেকে। ' আপু তো চলে গেছে অনেকক্ষণ আগে। ' চলে গেছে?! এই দু বছরের মাঝে এই প্রথম এমন ঘটল।

রনকের চোখ ভরে যায় জলে। যাবার আগে একটু কি বলে যেতে পারত না?! না হয় ও বকেছে একটু সে তো ও বকতেই পারে। তাই বলে এভাবে চলে যেতে হবে?! ৫. রিহার্সাল রুমে সবাই স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। রনকের হাতে কাগজটা ধরিয়ে দিয়ে অপূর্বদা বেরিয়ে গেল। লাবন্য থিয়েটার ছেড়ে দিয়েছে! রনকের বুকে কেউ যেন সজোরে ঘুসি বসিয়ে দিল।

লাবন্যের বাসায় এসে দেখল লাবন্য নেই। 'কোথায় গেছে আন্টি?' লাবন্যের মা বলতে পারল না। সারা শহর খুঁজে তবে ওকে পাওয়া গেল নদীর ধারে। 'এর মানে কি?' লাবন্যের সামনে কাগজটা ঝাঁকিয়ে বলল রনক। লাবন্য অশ্রুভেজা চোখে ওর দিকে চাইল কিছু বলল না।

তারপর আস্ত আস্তে বলল ' আমি চলে যাচ্ছি কাল। তোমার সাথে আর হয়ত দেখা হবে না। ' 'মানে কি?!' রনক চেঁচিয়ে ওঠে। চোখ মুছে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে লাবন্য তারপর রনকের মুখের দিকে তাকিয়ে দৃঢ় গলায় বলে ' রনক তোমার রক্তে মিশে আছে নাটক কিন্তু আমার তো তা নয়। আর সত্যি বলতে কি আমার ভাল লাগেনি থিয়েটার।

তাই ছেড়ে দিয়েছি...' 'না এটা তো কারণ নয়। তোমার থিয়েটার ভাল লাগছে না?! এটা আমাকে বিশ্বাস করতে বল? তুমি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছো আজ বিকেলে তাই না?...' রনক প্রচন্ড রেগে গেছে। ' রনক এই নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। প্লীজ এই বিষয়ে আর কথা না বলি। আমি...' লাবন্য কথা শেষ করার আগেই রনক চলে যায়।

একবারের জন্যও ফিরে চাইল না। তাকালে হয়ত দেখতে পেত লাবন্যের বুক ভাঙ্গা কান্না। ৬. ছিন্নপত্রের দশম শো হলো আজ। রনকের নিজের একটা দল আছে। ও এখন অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা।

থিয়েটার নাটক যারা নিয়মিত দেখেন রনককে চেনে না এমন কেউ নেই। টিভিতেও এই ঈদে দুটি নাটক গেছে। সব কিছুতেই সাফল্য আসছে দু'হাত ভরে। কিন্তু তবুও রনকের মনে কোন শান্তি নেই। সারাটা ক্ষন চাপা একটা কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়।

বুকের উপর চেপে বসা শতমণী পাথর যেন দিন দিন আরো ভারী হচ্ছে। নাটকের পর সবাই এসে হাত মিলায় রনকের সাথে। প্রশংসায় মুখোরিত গ্রীন রুমের বাতাস। রনকের এই এত প্রশংসা এত স্তুতি কিছুই ভাল লাগছিল না। ওর শুধু মনে হয় এই প্রশংসা ওর প্রাপ্য নয়।

যার প্রাপ্য ছিল তার কাছ থেকে ও কেড়ে নিয়েছে। 'লাবন্য! কোথায় তুমি?!' রনকের বুকটা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে শব্দ গুলি। গ্রীন রুমের কোলাহল থেমে গেছে। 'আজ রাতের ঘুমও গেল' সগতোক্তি করে রনক। কে যেন দরজায় এসে দাঁড়ায়।

একটু ইতস্তত টোকা পড়ে দরজায়। রনক ফিরে তাকায়। 'কে?' রনকের প্রশ্ন শেষ হবার আগেই উত্তর আসে ' আমি, আসতে পারি?' কে?! লাবন্য?! রনকের মনে হয় ও ভাল করে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। লাবন্য এসেছে?! 'কেমন আছো রনক?' লাবন্যের দিকে তাকিয়ে রনকের বুকটা ভরে যায় অভিমানে । অনেক বদলেছে লাবন্য।

সেই অভিমানী উচ্ছল মেয়েটা যেন আজ হয়ে গেছে খুব ধীর স্থির। 'খুব ভাল লাগল নাটকটা। চমৎকার অভিনয় করেছো। কংগ্রাচুলেশন রনক। ' রনক আহত চোখে তাকায়।

'শোধ নিচ্ছো?' রনকের দু চোখে জমা মেঘের দিকে তাকিয়ে অনুচ্চ স্বরে লাবন্য বলে ' রনক তোমার স্বপ্ন সফল হয়েছে। আজ তোমায় সবাই চেনে। খুব ভাল লাগছে জানো...' রনক লাবন্যকে থামিয়ে দেয়। ' তুমি কোথায় ছিলে এতদিন লাবন্য?! কেন এভাবে চলে গেলে?' ওর গলা কেঁপে যায় একটু তারপর বলে- 'এই দুঃসহ জীবনের ভার আর আমি বইতে পারছি না লাবন্য!' 'কেন? কেন পারছো না রনক? এই তো তুমি চেয়েছিলে সফলতা নামযশ খ্যাতি। ' 'না আমি এসব চাইনি লাবন্য আমি এসব চাইনি।

আমি আমার ভালবাসাকে শুধু ফিরে পেতে চাই। আমি একটু শান্তি পেতে চাই...' লাবন্যের হাত দুটি ধরে হুহু করে কাঁদতে থাকে রনক। লাবন্যের দেরী দেখে রিয়াজ গ্রীণ রুমে চলে আসে। লাবন্যের স্বামী। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে রিয়াজ রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলে 'লাবন্য মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে।

তোমার শেষ হলো?' রনক চমকে তাকায়। লাবন্যের দু 'চোখে লুকানো কষ্ট। 'রনক পরিচয় করিয়ে দিই আমার স্বামী রিয়াজ। রিয়াজ তোমাকে তো বলেইছি রনকের কথা। এই সেই বিখ্যাত রনক মজুমদার।

' বলে হেসে ওঠে লাবন্য। রনকের সাথে হাত মিলায় রিয়াজ। বাসায় যাবার আমন্ত্রণ জানিয়ে চলে যায় ওরা। রিয়াজকে খুব সুখী দেখায়। বুকের ভেতর এত শূণ্যতা কেন? সব হারানো মানুষের মতই কাঁদতে থাকে রনক শূণ্য গ্রীন রুমে একা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।