আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থমন্ত্রীর আক্ষেপ কিছু লোকের অনীহায় সরকারি শেয়ার বাজারে আসছে না

কিন্ত যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হীত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত, জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর অতীব ঘৃনীত সেই পাষন্ড বর্বর

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আক্ষেপ করে বলেছেন, কিছু লোকের অনীহা ও অনাগ্রহের কারণে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানির শেয়ার আসতে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অনেকের আপত্তি রয়েছে। তারপরও আমি অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি শেয়ার নিয়ে আসার জন্য। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম এক মাসের মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার বাজারে নিয়ে আসব।

কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। ’ তবে তিনি আশা করেন বর্তমান সরকার ক্ষমতা ছাড়ার আগেই এটি সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো পুঁজিবাজার ডিমিচুয়ালাইজেশন করা। এ সরকার ক্ষমতায় ছাড়ার আগে অবশ্যই এটি করে যাবে। ’ বর্তমানে পুঁজিবাজারে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সহজে এ বাজার ধ্বংস করা যাবে না।

’ তবে বিনিয়োগকারীদের বিআইসিএম’র মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে সচেতন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। যাতে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার বিষয়ে আরও প্রশিক্ষিত হতে পারেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্টক মার্কেটে সংযমের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে বাজারে অনেক খাতের শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিমান ও পর্যটন, সিরামিকস, পাট, বীমা, টেক্সটাইল ও প্রকৌশল।

’ তিনি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘যেসব কোম্পানির পিই (প্রাইস আর্নিং রেশিও) ৫০’র বেশি, ওইসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে আপনারা কী পাবেন?’ ব্যাংকের কলমানি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো কেন কলমানি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে? নো, এটা বন্ধ করতে হবে। ’ প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে যে পরিমাণ নগদ অর্থ রয়েছে সে তুলনায় শেয়ারের সরবরাহ কম থাকায় বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। ’ ডিএসই’র সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো। ’ গত বুধবার শেয়ার বাজারের আকস্মিক মূল্য পতন এবং বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুর সম্পর্কে বলেন, ‘শেয়ারবাজারে উত্থান পতন হবেই। কিন্তু এ নিয়ে বিক্ষোভ ভাঙচুর করা ঠিক না।

’ সিএসই সভাপতি ফকরুউদ্দীন আলী আহমেদ বলেন, ‘গত ২০ মাসে পুঁজিবাজারে যেভাবে সূচক বেড়েছে। বিশ্বের কোনও দেশের পুঁজিবাজারে এ সময়ে এক সূচকও বাড়েনি। ’ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার আগে বাজার সর্ম্পকে বিনিয়োগকারীদের ধারণা নিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার, বিআইসিএম‘র সভাপতি মো. হান্নান জোয়ার্দার প্রমুখ। সূ্ত্র:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.