সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল মানে কারো শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেয়া
নিজের ঘরে আগুন লাগা পর্যন্ত তো সব ঠিকই ছিল। তৃষার মৃত্যুতেই পালানো শুরুর হলো। ঘর থেকে পলায়ন। নিজের থেকে পলায়ন। ছুটছি তো ছুটছিই।
উর্ধ্বশ্বাসে। কোন দিকে যাবো ঠিক না করতেই দিনাজপুর। নাকে ঠেকলো, ইয়াসমিনের ধর্ষিত, গলিত, পঁচা লাশের গন্ধ। কানে গোঙানীর আওয়াজ এলো মুনতাসির মামুনের । আবার দৌড়।
ঝিনেদার রক্তপিচ্ছিল পথে আছড়ে পড়ি। আবার দৌড়। রাজশাহীতে মহিমা, পার্বত্যের কল্পনা চাকমা। খুলনা। সিলেট।
আমি দৌড়াই। কান্ত দুর্বল কখনও থমকে দাঁড়াই। নাকে আসে পোড়া, ধর্ষিত, গলিত, পঁচা, শতটুকরা লাশের গন্ধ। কানগুলোকে বিদীর্ণ করে দেয় ছোট্ট নওশিন, ডন , রত্না, তানিয়া, মিমিদের কাতর অর্তনাদ। বুকের রক্ত হিম করা বাংলাভাই, পুলিশ, রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের ধমকের, উল্লাসের আওয়াজ কানে বাজে।
আমি ছুটতে থাকি। ভীত, দুর্বলমনা, সাধারণ, নগণ্য, নিরীহ, কাপুরুষ আমি ছুটতে থাকি। পালাতেই থাকি। কিন্তু আমি তো মানুষ। কান্ত, পরিশ্রান্ত শরীর ভেঙে পড়ে, মন মানুষ(!) কুঁকড়ে যায়।
কোথা হতে কোথা যাই
কোথাও তো শান্তি নাই.......
বিশ্রাম নাই এতটুকু................
হা ঈশ্বর, আমায় ক্ষমা করো প্রভু। তোমার সৌকর্যময় উর্ধ্বাকাশে আরোহণ তো সম্ভব নয়। অতএব অবরোহন। আমি তো মানুষ নই, গিনিপিগ। মানুষ হলে নিশ্চয় তোমার, তোমার মতাবান প্রতিনিধিদের টুটি চেপে ধরে কৈফিয়ত চাইতাম।
দুর্বল, অশক্ত আমি। এই নগ্ন, বিভৎস, পঁচা, দুর্গন্ধময় পৃথিবীতে তোমার দুই লাখ চব্বিশ হাজার প্রতিনিধি যদি কোন পরিবর্তন না আনতে পারে, তো আমিও নাচার, আমায় মা করো প্রভু- এই নগ্নতা, বিভৎসতা, আর্তচিৎকারে ভরা, রক্তাক্ত বধ্যভূমিই আমার ঠিকানা রইল.........
১৫/০৬/০৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।