আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্নানত্যাগী, হলুদ দন্তীদের হাহাকার:টেলিনরের সুবিধাভোগীদের চরিত্রহননের মিশন:অন্যের মুখে ঝাল খাওয়া।

www.theeconomist2011@yahoo.com

ড. ইউনুস টাকা যদি চুরি করেও থাকে, তাহলেতো টাকা দেশেই আছে, সময় ও প্রমানের মধ্যে দিয়ে তা আমরা জানবো, রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তার ’’কাজ ও দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প’’ নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। কিন্তু টেলিনর কি মক্কার খতিবের মুখপাত্র, যা বলবে তা-ই জায়েজ হয়ে যাবে? কোনো ধরণের অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছাড়াই পত্রিকা গুলো চরিত্র হননে নেমে গেলো। আমাদের মিডিয়া গুলো দেশে থেকে যেহেতু ড. ইউনুসের এসব কর্ম জানতে পারেনি, টেলিনর নরওয়ে থেকে জানলো আর ফাঁস করলো! বিজ্ঞাপন না পাওয়াই কি এমন প্রতিশোধ? আমাদের মিডিয়া গুলো যদি দেখাইতো কিভাবে তিনি এসব কর্ম করেছেন, তাহলে তাদের কৃতিত্ব থাকতো। পরের মুখে ঝাল খাওয়া আর কি।

তাছাড়া আমরাতো জানিই, গরীবের ঘরে সুন্দরী বউ থাকতে নাই। বাংলাদেশে নোবেল- এটা তো অনেক দেশের জন্যই ঈর্ষা হতে পারে। সিমন প্যারেসের মতো কসাই নোবেল পেলেও ড. ইউনুস কেন পাবে? অনেকেই বলছেন মিডিয়া সত্য ও নিরপেক্ষ ভাবেই তার অপকর্মের কথা প্রকাশ করছে। যদি তাদের কথা সত্য ধরে নিই, তাহলে বলতে হয় যেসব মিডিয়া সংবাদটি খুশি ও অতিউৎসাহী হয়ে প্রকাশ করেছে-তারা সততা ও নিরপেক্ষতার প্রমান দিয়েছে। আর যারা সংবাদটি করেনি, তারা সৎ ও নিরপেক্ষ নয়।

এখানেও মিডিয়া দুই ভাগে বিভক্ত। একদল সত্য হলে অপর দল মিথ্যাবাদী। তার মানে এদেশের মিডিয়া মিথ্যার চর্চা নিয়মিত করে। নোবেল পাওয়া একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব যদি এক চ্যাংড়া রিপোর্টারের হাতে নস্ট হয়,, তাহলে আমাদের মতো সাধারণ জনগণের চরিত্রতো সুতার উপর আছে, যেকোন সময় ফাঁসানো কোন ব্যাপার না। এদেশের মানুষ বাইবেল কোরআনের চেয়েও কি পত্রিকার মিথ্যা সংবাদকে বেশী রেফাবেন্স হিসাবে ব্যবহার করেনা? এমতাবস্থায় মিডিয়ার কি নৈতিক কোন দায়বদ্ধতা থাকবেনা? অভিযোগ উত্থাপন আর প্রমানিত হয়ে অভিযুক্ত হওয়া কি এক কথা হতে পারে? আমরা সতত অন্যের দোষ ধরতে চাই, প্রশংসা আমাদের চরিত্রের সাথে যায়না।

ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ-এর একটি বানী হলো’’ যেদেশে গুণীর কদর নেই, সেদেশে গুণী জন্মাতে পারেনা। নোবেলজয়ী জার্মান সাহিত্যিক হাইনরিস ব্যুল তার বই ‘‘দ্যা লাস্ট ওনার অব ক্যাথেরিনা ব্লম’’তে নস্ট সাংবাদিকতা ও ব্যক্তি মানুষের জীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জেনেছিলাম। এখানে ক্যাথেরিনাকে দেখা যায় জীবনের প্রতি মায়া না করে অতিষ্টকারী, মিথ্যা কল্পকাহিনী সৃষ্টীকারি সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করে। আদালতে নিদোর্ষ প্রমান হলেও ক্যাথেরিনার যে সম্মানহানি ঘটে তা কি ফিরে পাবে, নাকি সমাজ ক্যাথিরিনার সম্মানকে ফিরিয়ে দিতে পারবে কোনদিন। এটিই সম্ভব বইটির মূল কথা।

এভাবেই সমাজে বিভাজন, চরিত্রহনন, পরিকল্পিত গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মিডিয়া গুলো সমাজের ব্যাপক অংশের শ্রদ্ধা হারাচেছ। তাই আজ কাল অনেকেই বলেন, মফস্বলের প্রায় সাংবাদিকই চাঁদাবাজ। বাগ বাটোয়ারায় না মিললেই মিথ্যা সংবাদ। এটা কাম্য নয়,,, আমাদের শিশু গণতন্ত্রের লালন পালন আর পরিনতকরণের জন্য মিডিয়াই সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।