আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাকদীর নিয়ে কিছু প্রশ্ন তার উত্তর(মুসলিম ভাইদের জন্য)



১. হায়াত যদি আল্লাহর হাতে থাকে, তাহলে আত্মহত্যা কেন মহাপাপ?[/su ধরুন আপনি একটা পিঠাতৈরি করবেন। তাতে কি লাগবে?আটা লাগবে,চিনি লাগবে,তেল লাগবে। ধরুন আপনি সবই জোগাড় করলেন,কিন্তু আগুন পেলেননা। পিঠা ভাজা হবে?হবেনা। আবার সবই জোগাড় করলেন,কিন্তু হঠাত করে শুনলেন আপনার খুব নিকট আত্মীয় মারা গেছেন।

তখন কি আর পিঠা ভাজা হবে,নাকি পিঠা খাবার ইচ্ছে থাকবে আপনার? তাহলে দেখা গেলো কোন কাজ করতে গেলে অনেক কিছু লাগে। ১। মানুষের ইচ্ছা,২। ইচ্ছা পুরনের উদ্দেশ্যে তার কর্ম ৩। উপকরন সংগ্রহ।

৪। যথাস্থানে উপকরনের যথাযথ ব্যবহার ৫। সর্বোপরি আললাহর ইচ্ছাও লাগবে। এই যে সব থাকার পরও একটা খবর আপনাকে পিঠা খেতে দিলনা। এই যে আললাহ পাকের ইচ্ছা এটাই তাকদিরের মুল কথা।

আপনি শত ইচ্ছা করলেও তার ইচ্ছা না হলে আপনি কিছুই করতে পারবেননা। তাই বলা হয় জীবন মৃত্যু আললাহর হাতে। অর্থাত মৃত্যু তখন্ই হবে যখন তিনি চাইবেন। আত্মহত্যা মহাপাপ। কারন আললাহ নিজে তা হারাম করেছেন।

আললাহ বান্দাকে কর্মের স্বাধীনতা দিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে বলে দিয়েছেন কোনটি মানতে হবে,কোনটি থেকে দুরে থাকতে হবে। আললাহ বলেছেন, এই পৃথিবী মানুষের পরিক্ষাস্থল। বিভিন্ন বিপদ আপদ দিয়ে তিনি তাকে পরিক্ষা করেন। আবার কখনো মানুষের কাছে এমন কিছু খারাপ মনে হয় যা আসলে তার জন্য ভাল।

পাশাপাশি তিনি বিপদ আপদ দিয়ে জানতে চানকে ধৈর্য্য ধরে। কিন্টু যে আত্মহত্যা করলো,সে আললাহর উপর আস্থা হারালো,যেটি একজন মুসলিমের জন্য কখনই শোভনিয় নয় ২. জন্ম আল্লাহ হাতে, যা আগেই লেখা হয়ে গেছে, তাহলে জন্ম নিয়ন্ত্রন কার্যকারি কেন?[/sb ধরুন আপনি টাইম মেশিনে করে চলে গেলেন ৩০১২ সালে। তখনকার পৃথিবীর অনেক কিছু দেখে আবার চলে এলেন বর্তমানে। এরপর আপনি লিখে রাখলেন সে সময়ের কথাগুলো। এখন যদি ৩০১২ সালে সেই ঘটনা ঘটতে থাকে যা আপনি লিখে রেখেছিলেন,তবে এর জন্য কি আপনাকে দায়ি করা যাবে? আললাহর কাছে অতীত বর্তমান ভবিষত একই।

তিনি যদি তার অসীম জ্ঞন বলে সব জেনে লিখে রাখেন,আর মানুষ তাই ঘটায় যা তিনি আগেই লিখেছেন,তবে তার জন্য কি তিনি দায়ী হবেন? তিনি আগে লিখে রেখেছেন তিনি জানেন বলে। আর জন্ম নিয়ন্ত্রন কার্যকরী কারন মানুষকে ইচ্ছার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে বলে। ৩. তিনিই সব জানেন, সব বুঝেন, তাহলে ফেরেসতাগনের প্রয়োজনীয়তা কেন?[/su দেশের যিনি প্রধানমন্ত্রী,তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি তার কাজের শৃংখলা বজায় রাখতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন লোপক নিয়োগ দেন। যদিও লোক নিয়োগ তিনি দিচ্ছেন,কিন্তু আসল ক্ষমতা তার হাতে।

আললাহ সব ক্ষমতার অধিকারী। তার সে ক্ষমতার বলেই,তিনি ফেরেস্তা তৈরী করে বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দিয়েছেন। এতে তার ক্ষমতার কোন কমতি হয়নি। ৪. যাকে তিনি সৎ মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, তাকে শত চেষ্ঠায়ও পাপী বানানো সম্ভব না। আর যে পাপী তাকে পাপী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, তাহলে বিচার কিসের জন্য?[/su আললাহ মানুষকে পাপী করে বানিয়েছেন এমন কথা কোরআন কিংবা হাদিস কোথাও নেই।

বরং হাদিসে এসেছে আললাহ সকল মানুষকে নিষ্পাপ করে বানান। পরে তার মাতাপিতা,তার কর্ম তাকে দোজখের পথে নিয়ে যায়। মানুষের বিচার হবে তার ইচ্ছার স্বাধীনতা আছে বলে। ০৫. বিয়ে কার হাতে? মানুষ না আল্লাহ?[/su মানুষের চেষ্টা আর আললাহর ইচ্ছা এ দুয়ে মিলেই কোন কাজ হয়। বিয়েও একইরকম।

০৬। পাপীর পাপের জন্য কে দায়ী? সৃষ্টিকর্তা নয় কেন? পাপীর পাপের জন্য সেই দায়ী কারন তার ইচ্ছার স্বাধীনতা আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।