আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যদি তারে নাই চিনি

আমি এক আদ্যন্ত বাঙালি যে নিজেকে এখনো খুঁজে চলেছে।

বিখ্যাত গানের প্রথম লাইন-কে শিরোনাম করার মূল সমস্যা এই যে শুরু করার আগেই চাপে থাকতে হয়: যা লিখবো তার সঙ্গে শিরোনামের সম্পর্ক থাকবে তো? অথচ শিরোনাম-টার ঊৎস নেহাত-ই মামুলি একটা ব্যাপার, "ইউ টিউবে" চলতে থাকা "পিতৃভূমি" সিনেমার একটা গান। অনেক দিন আগে পড়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা কবিতার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে যেখানে বাথরুমের (তখনো টয়লেট শব্দ-টা এতো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি) সামনে পড়ে থাকা একটা আমুল-স্প্রে-র টিন দেখে মনে হওয়া ভাবনা-গুলোকে হাল্কা ছন্দে, হাল্কা রসিকতায় বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো মাত্র, কিন্তু মনে হয়েছিলো যেন একটা গোটা সময়-কালের উদ্দেশ্যহীনতা আর দিগভ্রান্তি ধরা পড়েছে ঐ লাইন-কটায়। কিন্তু এই সব ভাবনায় কালক্ষেপ করা উচিত হবে না, বরং মূল ভাবনায় আসা যাক, অর্থাৎ: যদি "কারে" নাই চিনি? শূন্যস্থান পূরণ করার দায়িত্ব সমাজের হাতে ছেড়ে দিলে এই যায়গায় রাজনীতি-বিদ থেকে উকিল, ডাক্তার থেকে টিচার, সবার নাম বসার সম্ভাবনাই থেকে যায়, হ্যা- আমলাদের নাম বসার সম্ভাবনাও প্রবল। কিন্তু সত্যি করে বলতে (মানে লিখতে) গেলে কিন্তু জীবন-সঙ্গী/সঙ্গিনীর কথাই মনে পড়ে। আমরা যাদের সঙ্গে জীবন-টাি কাটিয়ে দিই, তাদের আমরা ঠিক কতোটা চিনি? হঠাৎ বৃষ্টি নামলে তারা হয়তো বিরক্ত হয়, হয়তো শুকোতে দেওয়া জামা-কাপড় তুলতে ছোটে; কিন্তু দু-হাত বাড়িয়ে আর দু-ছোখ বুঁজে আকাশ থেকে নেমে আসা ঐ করুণাধারার স্পর্শ নেবার মূহুর্তে তাদের ক'জনকে আমরা দেখেছি? হঠাৎ করে রেডিও থেকে ভেসে আসা পুরনো সুর শুনে তাদের-ও যে গলা বুঁজে আসে তা আমরা ক'জন দেখেছি? উঠোন বা মাঠ থেকে উড়ে আসা বল-টাকে ছুঁড়ে না দিয়ে তাদের ক'জন যে পদাঘাতে বল-টার সঙ্গে তাদের থমকে থাকা বর্তমান-টাকেও উড়িয়ে দিতে চায় অনেক দূরে তা আমরা ক'জন জানি? আর এখন, সন্ধেবেলার চা-টা তার সঙ্গে না খেয়ে এই ব্লগ লেখার পর আমার কী হতে পারে, তাই বা কে ....। নাঃ, বাড়ি যাই, নইলে কপালে দুঃখ আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।