আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙ্গলী জাতি গাজা খোড়



মাফ করবেন। কথাটি সাবার জন্য নয়। শুধু মাত্র জ্ঞ্যানী লোকা ধারী ভন্ড আবালদের জন্য। যারা বিবেক থাকতে ঘাড় তেরামী করে বিবেককে উল্টা দিকে বিচরন করে। যারা সঠিক অর্থটাকে বিকৃত করতে করতে সেই সঠিক অর্থটাই বিলিন করে ফেলেছে।

* যদি আপনার সম্পর্কে কেউ জানতে পারে যে আপনি বিড়ি খান, তখনই এইসব আবালরা বলে উঠবে ছেলেটা নষ্ট হয়ে গেছে। ছেলেটা গাজা খোড়, ছেলেটা হিরোইঞ্চি। আপনি এমন অন্যায় করে ফেলেছেন আপনার পরিবেশ হয়ে উঠবে গজব ময়। আজীবণ বাপ চাচা দাদাদের দেখে আসলাম তারা হুক্কা ডাব্বা কলকি বিড়ি নিয়া পইরা থাকছে। কই কারতো দেখলাম না মাতলামি করতে।

‌আসলে আজকের আবাল কিছু মানুষগণ বিড়ি গান্জা হিরোইনের মধ্যে পার্থক্য করতেই ভূইলা গেছে। কারও বিড়ি খাইতে দেখে মনে করে গান্জা খোড় না হইলে মনে করে হিরোইন খোড়। প্রবাদে আছে " সংগ দোষে লোহা ভাসে" বা "সত সংগে সর্গ বাস অসত সংগে নরক বাস" । ছোটবেলা থেকে বিড়ি সিগারেট হাতে লইয়া বড় হইলাম কই কোনদিন ত মুখে নিলাম না। বন্ধুদের প্রায় ৯০% বিড়ি খোড়, কত বন্ধুদের সিগারেট আইনা দিছি কই কোন দিন ত মুখে নিলাম না।

কত ফিমেল ফ্রেন্ডদের দেখলাম বিড়ি খাইতে কই কোনদিনত বিড়ি খাইলাম না। কিছু পোলায়পান বিড়ি গাজা খাইলেও তাহার মধ্যে মাতাল হওয়ার আসুধ ডুকাইয়া তার পর খায়। কিন্তু সবাই তা করে না। বিড়ি খাইলেই পোলায় নষ্ট হইয়া গেছে। কিন্তু এই জগত সৃষ্টির মুলে রয়েছে গাজা খোড় বিড়ি খোড়দের নিপুন হাতের ছোয়া, বিজ্ঞানি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিকতার মুলে রয়েছে গাজা।

গাজা খাইয়া যারা চিন্তা করেছে সুন্দার এক ধরনির জন্য, মাতলামি করার জন্য নয়। গাজা না খাইয়া তসলিমা নাসরিন দেশ থেকে বিতারিত হইল আর গাজা খাইয়া নজরুল করে গেল দয়ালের আরাধনা " মসজিদেরি পাশে আমায় কবর দিয় ভাই"। অতএব আমাদের বুঝতে হবে প্রত্যেক জিনিসের দুই দিক আছে। বিড়ি খাইলেই হিরোইঞ্চি হবেন তা কিন্তু নয়। কিন্তু যদি হিরোইঞ্চি হতে চান তবে গাজা না খাইয়াও হিরোইঞ্চি হতে পারেন।

তা নির্ভর করে একান্তই নিজের উপর। * আপনি কি প্রেম করেন? সাবধান এই আবাল পাবলিগ যেন জানতে না পাড়ে। তাহলে তাদের প্রথম বাক্যই হবে " ছেলেটা নষ্ট হইয়া গেছে"। কিন্তু প্রেম করলেই কি মানুষ নষ্ট হইয়া গেল? প্রেম নির্ভর করে যুগলবন্দিদের মধ্যে। আপনি প্রমকে আরোহন করছেন নাকি প্রমের নামে কামনা বাসনা আরোহন করছেন তা নির্ভর করে যুগলবন্দির মধ্যে।

কিন্তু এই আবাল পাবলিগ গন প্রেমের সঠিক অর্থকে কনভর্টকের শূধূ খারাপ টাকেই আরোহন করেছে। ঐ ভালটাকে কোনদিন চুখেও দেখে নাই। কিন্তু এই আবাল পাবলিগদের জন্য আজ প্রেম শব্দটা্ খারাপ হইয়া ওঠছে। কি্ন্তু জগতের মহা মানবগণ প্রেমকে প্রেমারাধনায় রুপ দিয়েছিলেন। দিয়েছিলেন একটা সুন্দর মনোভাবকে।

কিন্তু এই শব্দটা আজ বিকৃত হয় গেছে এই আবাল পাবলিগদের জন্য। যারা এর মন্দ দিকটাকেই প্রকাশ করেছে ভালটাকে চখে দেখেনি। * "পীর"। পীর সাহেব , পীর ফকির , আওলিয়া। পীর নামের সাথে আমারা সকলেই পরিচিত।

কিন্তু এই পীর নাম দিয়ে মিডিয়াতে এতই খারাপ জিনিস প্রচার হয়েছে যে পীর বলতেই এখন খারাপ মনোভাব মনে ভর করে। কিন্তু পীর কি আসলেই তাই। পীর কারা? তারাই পীর যারা জগতের মায়া ছেড়ে, অর্থের লোভ ছেড়ে, কামানা বাসনা ছেড়ে ঐ গাছতলায় বাসা বাধেছে। পীর হয়ে কেউ প্রাসাদ গড়ে নি। পীরের কাছে ধনী গরীব ফকির সকলের এক আসন।

সেখানে নাই কোন ভেদা বেদ। নারী পুরুষ, ফকির মিসকিন, রাজা সকলে এক কাতারে খায়। একে অপরের সু:খ দুখের সাথি। সবাই মিলে গড়ে সুন্দর পরিবেশ। সেখানে চলে গান।

ঠিক লালনের আনন্দের বাজার। সেখানে চলে আল্লাহ বন্দনা। কিন্তু গুটি কয়েক ভন্ডপীরের দরবার আর কারবার দেখিয়ে এত তথ্য প্রকাশ হয়েছে যে পীর বলতেই আজ নারীর সাথে উন্মাদনা, রঙ্গলিলা, আর নাচা নাচি। এই আবাল গন পীরের মর্মকে বিকৃত করতে করতে আজ এমন অবস্থানে এনেছে যে কেউ চাইলেও তার মনে পীর সম্পর্কে ভাল মনোভাব উদয় হতে চায় না। * আমাদের এলাকায় এক লোকের নাম "সুইদা মালেক" ।

সুদ খাইতে খাইতে এমন খাওইয়া খাইছে যে তার নাম হইয়া গেছে সুইদা মালেক। যে সুদ খায় তাকে সুধ খোর বলে। কিন্তু আজকের আবাল সমাজ নিজের সাম্যানার্থে সেই নাম কে বদল করে, করে ফেলেছে মুনাফা। এখন তাদের কেউ সুদখোড় বলতে পারবে না কারান তারা সুধ খায় না তারা মুনাফা খায়। শেষ কথা বলতে চাই, পবিত্র কোরআনে আছে, " অর্থ উপার্যনের কাজে ধর্মকে ব্যাবহার করা হারাম"।

ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টতে দেখবেন। আল্লাহ সকল সৃষ্টকে ‌ইহকাল ও পরকালে সুখি করুক। আমীন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।