আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামিক ফাউন্ডেশনে শর্ট পোশাকে ডিস্কো ড্যান্স ???

http://www.facebook.com/ruman125

কয়েক দিন আগে ইংল্যান্ডের রানি একটি মসজিদ পরিদর্শনে যান। ইসলামের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য তিনি পোশাক পরিবর্তন করে নিজেকে ভালভাবে কাপড়ে আবৃত করে মসজিদে প্রবেশ করেন। ইন্দোনেশিয়াও ওবামার স্ত্রী একই ভাবে একটি মসজিদ পরিদর্শনে করেন। পোশাকের শালিনতার সংগা একেক জায়গায় একেক রকম। এ নিয়ে বিতর্ক্ব লাভ নেই।

তবে আজ একটা সংবাদে অনেক অবাক হলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন ধাঁচের নৃত্য পরিবেশনকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে গতকাল সকালে এই নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ইসলামি ভাবধারা ও মূল্যবোধ বিরোধী অশ্লীল নাচ প্রদর্শনের অভিযোগে ফাউন্ডেশন পরিচালনা বোর্ডের চারজন গভর্নর তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠান বর্জন করেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত দর্শক ও ইমামরাও।

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে এ বিষয়ে নালিশ দেয়ার ঘোষণা দেন ক্ষুব্ধ গভর্নররা। তারা বলেন, এর আগে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার গানের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমেজ ক্ষণ্ন্ন করেছে। নষ্ট করেছে সংস্থার ভাবধারা। তবে ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিদেশী ছেলেমেয়েরা তাদের দেশের কালচার অনুযায়ী নাচগান করেছে।

অঙ্গভঙ্গি করেছে। তাতে দোষের কিছু হয়েছে বলে আমি মনে করি না। ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী ইসলাম সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিদর্শনে আসেন। তাদের সম্মানে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা হামদ-না’ত পরিবেশন শেষে তা ইংরেজিতে ব্যাখ্যা করে তাদের শোনানো হয়।

এক পর্যায়ে দর্শকরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের প্রার্থনা সঙ্গীত শোনার আবদার করেন দর্শকরা। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল প্রার্থনা সঙ্গীতের পরিবর্তে তাদেরকে ডিস্কো ড্যান্স করার কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ছেলেমেয়েরা তৎক্ষণাত শর্ট পোশাকে তাদের দেশীয় স্টাইলে নাচ ও গান শুরু করে। ঘটনার আকস্মিকতায় ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের গভর্নর বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেসবাহুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সচিব আজিজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, গোলাম মাওলা নকশবন্দিসহ উপস্থিত ইমামরা বিব্রতবোধ করেন। আলেমদের দু’একজন প্রতিবাদও করেন।

কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় মেসবাহুর রহমান চৌধুরীসহ অনেকেই দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেসবাহুর রহমান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে এ ধরনের উলঙ্গ নৃত্যের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমর্যাদাকে বিনষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে এ বিষয়ে নালিশ করবেন বলে জানান তিনি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের আরেক গভর্নর গোলাম মাওলা নকশবন্দি বলেন, ঘটনাটি সত্যি অপ্রত্যাশিত।

আমরা যারা এ ধরনের নৃত্য দেখতে অভ্যস্ত নয় তাদের কাছে এটা বেশ লজ্জারও বিষয়। তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো একটি জায়গায় এবং একটি ইসলামিক অনুষ্ঠানে কার ইঙ্গিতে কার অনুমতি এই নৃত্য প্রদর্শন হয়েছে তার তদন্ত হওয়া দরকার। উপস্থিত আলেম সমাজ এই নাচ দেখে বিব্রত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফাউন্ডেশনের আরেক গভর্নর আজিজুর রহমান বলেন, ঘটনাক্রমে তখন আমি বাইরে চলে আসি। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো জায়গায় এরকম কিছু হতে পারে তা আমার বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে।

সুত্র: মানব জমিন ২৮/১১/২০১০ প্রশ্ন হল যে সব বিষয়ে বিতর্ক উঠবে কে বার বার সে গুলোই করা হয়? কার স্বার্থে কি উদ্দেশ্যে ?????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.