আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি এক অবাক কাহিনী এক দশক পর ছেলের দেখা পেলেন সু চি।



মানুষের জীবনে আসলে যে কার ভাগ্যে যে কি আছে তা কেউ বলতে পারে না তারই এক বাস্তব প্রমান- সু চি। ১০ বছর পর ছোট ছেলের দেখা পেলেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে আবেগঘন পরিবেশে ছেলে কিম অ্যারিসের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। ছেলের সঙ্গে সু চির সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল এক দশক আগে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে। সূত্র: বিবিসি অনলাইন।

সু চির ছোট ছেলে কিম অ্যারিস (৩৩) মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকক থেকে ইয়াঙ্গুন বিমান বন্দরে পৌঁছান। বিমান বন্দরে ছেলেকে অভ্যর্থনা জানান সু চি। তাদেরকে ঘিরে চারপাশে ছিল সমর্থকের উপচে পড়া ভিড়। এসময় সাংবাদিকরা মা-ছেলেকে ঘিরে ধরেছিল। অনুভূতি জানাতে গিয়ে মা বললেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত’।

১৩ নভম্বের অং সান সু চির মুক্তির আগেই তার লন্ডন প্রবাশী ছোট ছেলে কিম অ্যারিস মায়ানমার আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু জান্তা সরকার ভিসা না দেয়ায় তিনি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অবস্থান করেন। সোমবার তার ভিসা আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় তিনি মায়ানমারে প্রবেশ করতে সমর্থ হন। গত ২১ বছরের প্রায় ১৫ বছর সু চিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এসময় তার পরিবারের লোকজনদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি।

এছাড়া প্রায় এক দশক ধরে বড় ছেলে অ্যালেকজান্ডারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নি সু চির। আর নাতি নাতনিদের কখনই দেখেননি তিনি। সু চির স্বামী ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ মিখায়েল অ্যারিস ১৯৯৯ সালে মারা যান। সু চির সঙ্গে জীবনের শেষবারের মত দেখা করতে চাইলে ক্যান্সার আক্রান্ত অ্যারিসকে মিয়ানমারের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায় জান্তা সরকার। মায়ানমারের বৃটিশ দুতাবাস জানায়, এটি অ্যারিসের ব্যাক্তিগত ও অরাজনৈতিক সফর।

তবে সু চি এবং তার পরিবারের যে কোন সদস্যের সকল কর্মকাণ্ড তাদের সমর্থক এবং সামরিক জান্তা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।