আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে ভারতকে ট্রানজিট দেয়া হচ্ছে.............আওয়ামী লীগের বন্ধুত্বের উপহার স্বরূপ।



আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দ্রুত ট্রানজিট চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এ নির্দেশনা পেয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ট্রানজিট চুক্তি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ঈদের ৩ দিন আগে গত ১৪ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে চিঠি দিয়ে ট্রানজিট চুক্তি সইয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন।

ট্রানজিট চুক্তির বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবীরা মনে করছেন, তাড়াহুড়া করে ট্রানজিট চুক্তির মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের বিপদে ফেলতে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এ প্রসঙ্গে তেল, গ্যাস, বন্দর, বিদ্যুত্ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ বলেন, জাতীয় প্রয়োজন নিয়ে সরকারের কোনো সক্রিয়তা নেই, অথচ দেশের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে সরকার খুবই তত্পর। ট্রানজিট চুক্তি নিয়ে এমনটাই হচ্ছে। এ চুক্তিতে কী থাকবে না থাকবে, সেটি নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হচ্ছে না। কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করছে সরকার।

মনে হচ্ছে, এ চুক্তির মাধ্যমে বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রেলপথে ভারতসহ নেপাল ও ভুটানের পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট সুবিধা দিতে সরকার প্রায় ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন এবং ভৈরব ও তিতাসে ডাবল লাইনের রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প দুটির দরপত্র আহ্বান করার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিতে গত সপ্তাহে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। এতদিনে আমরা যারা আশায় ছিলাম ভারত আওয়ামী লীগকে যে সুবিধা দিয়েছে বিনিময়ে ট্রনজিট দিবে কবে? এবার আমাদের আমজনতার আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।