আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাদেন বিতর্ক, সত্যটা কি আজও জানা সম্ভব ?

জীবনের আলো - অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে ...

সুসীল সমাজে সন্ত্রাসী আর মুজাহিদিনের কাছে বিপ্লবী যাই বলা হোক না কেন মানুষ হিসেবে তার পরিচয় একজন মানুষই। আল্লাহ সৃস্ট আশরাফুল মালুখাতের কাতারে একজন সদস্য। হয়ত সময় বদলে দিয়েছিল তার জীবন পথের লক্ষ্য। কিন্তু জন্ম অথবা মৃত্যু সব কিছুই তাকে স্পর্ষ করত। আজ তাকে নিয়ে আরেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

অনেক দিন আগেই শুনেছিলাম লাদেন নাকি কিডনি জটিলতায় ২০০২ এর দিকেই মারা গিয়েছেন। তার পরের ঘটনা তো সবাই জানেন। আমাকে নতুন করে কিছু বলার অপেক্ষ্যা রাখেনা। আজ আবার নতুন করে জানলাম যে ওসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ সাগরে ভাসানোর সুযোগ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন হামলায় তিনি নিহত হওয়ার পর তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আকাশে ওড়ার পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

ওই কপ্টারের কারোরই দেহাবশেষ আর চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এ দাবি ওসামার ইয়েমেনী বংশোদ্ভূত স্ত্রী আমাল সাদ্দাহ’র। উসামা নিহত হওয়ার রাতে তার সঙ্গে থাকা সাদ্দাহ সম্প্রতি সৌদী আরবের এক দৈনিক পত্রিকাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাতকারে এ দাবি করেন। তার অভিযোগ, উসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ সম্পর্কে সত্য ও সঠিক তথ্য লুকিয়ে রেখে যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা গল্প ছড়িয়ে দিয়েছে। ওসামার মরদেহ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার আজগুবি কথা প্রচার করেছে তারা।

সাক্ষাৎকারে লাদেন নিহত হওয়ার সেই রাতের বর্ণনাও দেন সাদ্দাহ। মার্কিন সেনাবাহিনীর অভিযানের সূচনা সম্পর্কে আমাল সাদ্দাহ বলেন, হেলিকপ্টার থেকে নেমে যখন সৈন্যরা গুলিবর্ষণ শুরু করল তখন আমাদের ঘরে ও আশপাশে অবস্থানরত অন্যান্য সশস্ত্র মুজাহিদদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই শুরু হল। মার্কিন কমান্ডোদের সঙ্গে ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীও। তিনি বলেন, তারা আমাদের পুরো বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে এবং আশপাশেও সতর্ক অবস্থান নিয়ে আক্রমণ চালানো শুরু করে। গুলির শব্দে ওসামা জেগে উঠে অস্ত্র নিয়ে তৈরি হন।

আমরা যে রুমটিতে ছিলাম সে রুমের জানালা দিয়ে তিনি গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তিনি অস্ত্র তাক করা মাত্র আকস্মিকভাবে ওই জানালা গলেই একটি গুলি এসে তার চেহারায় আঘাত করে। তিনি লুটিয়ে পড়েন এবং কয়েক মিনিটেই নিস্তেজ হয়ে যান। সাক্ষাতকারে উসামার এই স্ত্রী বলেন, মৃত্যুর ব্যাপারটি চোখের পলকে ঘটে যায় এবং এর পরপরই কয়েকজন সৈন্য এসে রুমে ঢোকে। কয়েকজন মেরিন সদস্য এসে উসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ টেনে খুব দ্রুত বেরিয়ে যায়।

তিনি বলেন, লাশসহ নির্ধারিত কয়েকজন একটি হেলিকপ্টারে ওঠে এবং সেটি উড়তে শুরু করে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে হেলিকপ্টারটি কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয় এবং বিচ্ছিন্ন দেহের কিছু টুকরা ও হেলিকপ্টারের ভগ্নাংশ ছাড়া আর কিছুই সেখানে বাকি ছিল না। এ বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে আমালের জোর দাবি, এ জন্যই উসামার মৃত্যুসংবাদ জানাতে ভিন্ন পন্থা নেয় আমেরিকার হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন। এ হেলিকপ্টারের বিস্ফোরণ দেখেই ওবামা ও তার সঙ্গীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকা প্রশাসন চেয়েছিল, উসামা বিন লাদেনের মৃতদেহটি সামনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববাসীকে এ সংবাদ জানাবে।

কিন্তু এ ঘটনায় তাদের সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায় এবং সাগরে লাশ ফেলে দেওয়ার মতো মিথ্যা গল্প বিশ্বের গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। আমাল এও বলেন, জীবিত অবস্থায় যেমন শত্রুরা তার নাগাল পায়নি, তেমনি মৃত্যুর পরও তার মৃতদেহ নিয়ে তারা চক্রান্ত করার সুযোগ পায়নি। একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আমি কোন জংগিবাদ বা সন্ত্রাসকে সাপোর্ট করিনা। সেই সাথে ধিক্কার জানাই তাদের যাদের আকানো ছকে পৃথিবীর সাধারন মানুষরা জীবন হারায়, সেটা হোক জংগি কিংবা কোন দেশের সরকার। তবে প্রশ্ন করি তাদের যাদের জলকলায় আমাদের মত সাধারন নাগরিকদের কাছে সত্য সংবাদটা পৌছাতে ধকল পোহাতে হয়।

আমরা সত্য জানতে চাই। সত্যকে সর্বদা সত্য বলেই উপস্থ্যাপিত করা হোক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।