আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় মেয়েরা

Please, keep urself at least 100 miles away from me !!!

প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণের হার প্রায় সমান হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের সংখ্যাটাই বেশি। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এসে কিছু ছাত্রী ঝরে পড়ায় ছাত্রীদের হার দাঁড়ায় শতকরা ৪৪ ভাগ। পরীক্ষার ফলাফলে আবার ছাত্রীরাই এগিয়ে থাকে। এর পরপরই চলে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার বিষয়টি। এক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কম, শতকরা ২৪ ভাগ মাত্র।

তবু উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন মেয়েরা......জানাচ্ছেন নাসির মুজাহিদ ‘মেয়ে হয়ে এরকম একটি কঠিন সাবজেক্টে তুমি পড়তে পারবে না। ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স করার পর অ্যাপ¬ায়েড ফিজিক্সে মাস্টার্সে ভর্তি হতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের মুখে এমন কথাই শুনতে হয়েছিল শাহিদাকে। ঘটনাটি সত্তরের দশকের। শাহিদা হাল ছাড়েননি। অবশেষে রাজি হলেন শিক্ষকরা।

তবে জুড়ে দিলেন শর্ত। ছেলে সহপাঠীরা যেখানে কোনও রকম বাছাই পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়েছেন সেখানে রীতিমতো ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে প্রথম ও একমাত্র ছাত্রী হিসেবে অ্যাপ¬ায়েড ফিজিক্সে মাস্টার্সে ভর্তি হলেন তিনি। নাছোড়বান্দা সেই ছাত্রী ড. শাহিদা রফিক এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন। দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেশ আশাব্যঞ্জক। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ২৪ ভাগ ছাত্রী হলেও নারী তার মেধা ও যোগ্যতার বিকাশের মাধ্যমে বেশ আধিপত্য বজায় রেখেছেন উচ্চশিক্ষার এ অঙ্গনে।

প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে ছাত্রীরাই সবচেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করছেন। এমফিল ও পিএইচ-ডির মতো গবেষণাকর্মেও ছাত্রীদের অংশগ্রহণ এখন লক্ষণীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প¬ান্ট ব্রিডিং ল্যাবরেটরিতে দেখা মিলল চারজন গবেষক ছাত্রীর। তাদেরই একজন বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তানজিনা আক্তার। পিএইচ-ডি করছেন বায়োটেকনোলজির ওপর।

তার গবেষণার বিষয় বাদাম গাছের জেনেটিক ট্রান্সফরমেশন। একটি টেস্টটিউবে গভীরভাবে কী যেন লক্ষ্য করছিলেন তিনি। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই হাসিমুখে বললেন, দেখ দেখ, গাছটির শিকড় গজিয়েছে। কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকাতেই দেখলাম কোন প্রকার মাটি ছাড়াই একটি গাছের পাতা ও শিকড় গজাচ্ছে। তবে মাটি না থাকলেও মাটিতে বিদ্যমান সব উপাদানই ছিল ওই টেস্টটিউবে, জানালেন তানজিনা।

বললেন, বাদাম গাছের একটি ভ্রƒণ বা পাতার মধ্যে ছত্রাক প্রতিরোধক জিন ট্রান্সফার করে পাতা বা ভ্রƒণটিকে ছত্রাক প্রতিরোধক উদ্ভিদ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে, এটি সেরকমই একটি উদ্ভিদ। তার এ গবেষণা সফল হলে ছত্রাকসহ অন্যান্য সব রোগের হাত থেকে বাদাম ও বিভিন্ন ফসলি উদ্ভিদকে রক্ষা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রায় একই বিষয়ে গবেষণা করছেন রুসিলী খান ও জেবুন্নেসা চৌধুরী। তারা দুজন কাজ করছেন যথাক্রমে সরিষা ও মুগডালের জেনেটিক ট্রান্সফরমেশনের ওপর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় অনার্স ও মাস্টার্স করে পিএইচ-ডি করছেন শেফালী ব্যানার্জী।

চা গবেষণা কেন্দ্রের এই গবেষক চেষ্টা করছেন টিস্যু কালচারের মাধ্যমে রোগমুক্ত চা চাষকে আরও বৃহৎ পরিসরে কীভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় সে পদ্ধতি উদ্ভাবনের। অ্যাপ¬ায়েড ফিজিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী দিলশাদ মেহজাবিন পিএইচ-ডি করছেন চতুর্থ প্রজšে§র মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে। এ ব্যবস্থায় সমন্বিত করা হচ্ছে সব ধরনের যোগাযোগ প্রযুক্তিকে। ফলে একটিমাত্র মোবাইল সেটের মাধ্যমে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার সঙ্গে রেডিও শোনা ও টেলিভিশন দেখার মতো মাল্টিমিডিয়া সার্ভিসও গ্রাহক উপভোগ করতে পারবেন। এ প্রযুক্তির আরও বড় চমক হচ্ছে গে¬াবাল মোবিলিটি তথা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে নেটওয়ার্ক পাওয়ার নিশ্চয়তা।

এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ চতুর্থ প্রজšে§র মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসতে পারলে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হত, এমনটাই তার প্রত্যাশা। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে এধরনের গবেষণার জন্য উপযুক্ত কোনও ল্যাব না থাকায় আমাদের গবেষণাগুলো কেবল তাত্ত্বিক পর্যায়ে পড়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের উম্মন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধাতুর ক্ষুদ্র কণা (ন্যানো পার্টিক্যাল) সংশে¬ষণ ও তাদের বিভিন্ন ধর্ম চিহ্নিতকরণের ওপর গবেষণা করছেন। গবেষণাটি আলোর মুখ দেখলে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কঠিন রোগ নিরূপণ ও চিকিৎসা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। গবেষণা সম্পর্কিত নানা কথার ফাঁকে ফাঁকে ওঠে এলো নারীশিক্ষার নানা প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনার কথা।

উচ্চশিক্ষার এ পর্যায়ে আসার পেছনে বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতার কথা স্বীকার করলেন সবাই। তবে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কয়েকজন সহপাঠীকে পড়াশোনা করা অবস্থায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। পরে শ্বশুরবাড়ির চাপে বেশিদূর এগুতে পারেনি। পারলে হয়তো আমাদের চেয়ে ভালো করত। মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়ার প্রবণতাকেই নারীর উচ্চশিক্ষার পথে প্রধান অন্তরায় বলে মনে করেন শেফালী।

তিনি বলেন, বাবা-মার মনে এ বিশ্বাস থাকা উচিত যে শিক্ষিত মেয়েরাও ছেলেদের মতো বাবা-মায়ের ভরণ-পোষণ করার সামর্থ্য রাখে। তবে এ জন্য ছোটবেলা থেকেই ছেলে ও মেয়েকে একই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা উচিত বলে মনে করেন তানজিনা। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তনও জরুরি বলে মনে করেন তারা। মেয়েদের গবেষণা নিয়ে ডিনদের কথা উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় বাংলাদেশের নারীরা যে খুব মজবুত ভিত রচনা করেছে তার প্রমাণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ৫টি বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদের ৩ টিতেই ডিনের দায়িত্বে আছেন তিন নারী।

একসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ছিলেন অধ্যাপক ড. মাহমুদা গনি। নারীর উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার নানা দিক নিয়ে বললেন তারাÑ অধ্যাপক ড. মাহমুদা গনি আহমেদ সাবেক ডিন, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স করে ১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে দেশের প্রথম বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদের নারী ডিন হিসেবে নির্বাচিত হন। নারীর উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের সময়ে সায়েন্সের সাবজেক্টে অনেক পড়া, কঠিন পরিশ্রম, মেয়েরা পারবে না, এমনটাই ছিল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি।

তবে এখন মেয়েদের সংখ্যা বেশ উলে¬খযোগ্য। পড়াশোনায়ও তারা ছেলেদের চেয়ে বেশি মনোযোগী। ছাত্রীদের ভালো ফলাফল অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেবল নিছক ফলাফলের মধ্যেই সীমবদ্ধ থাকে। তিনি অভিযোগ করেন, ভালো রেজাল্ট থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইচ্ছা করেই নারী প্রার্থীকে এড়িয়ে যায় পুরুষ নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বর্তমানে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে।

এ পরিবর্তন আরও দ্রুত হওয়া দরকার। অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করে ১৯৭২ সালে বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৭৪ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান স্কটল্যান্ডে। সেখানকার বিখ্যাত এবারডিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৭ সালে পিএইচ-ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

চার বছর শিক্ষকতা করেন সৌদি আরবের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ২০০৬ সাল থেকে। একই সঙ্গে বিভাগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। নারীর উচ্চশিক্ষার প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েদের সবসময়ই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। সহপাঠী, সহকর্মী এমনকি স্বামীর সঙ্গে লড়াই করে তবেই একটি মেয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এত প্রতিবদ্ধকতা সত্ত্বেও মেয়েরা যা করছে তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। গবেষণায় ওদের পারফরমেন্স তো অসাধারণ। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অনেক সময় গবেষণাগারে রাত পর্যন্ত থাকতে হয়, আমাদের মেয়েরা সেটা পারে না। উচ্চতর গবেষণার ক্ষেত্রে ফান্ড একটি বড় বিষয়। সরকারের উচিত এক্ষেত্রে ফেলোশিপ ভাতা আরও বৃদ্ধি করা যাতে নারী গবেষকরা আরও উৎসাহ বোধ করেন।

অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক ডিন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স ও অ্যাপ¬ায়েড ফিজিক্সে মাস্টার্স করে ১৯৭৫ সালে অ্যাপ¬ায়েড ফিজিক্সে শিক্ষকতা শুরু করেন। নিখাদ পদার্থ হীরার খাদ বের করে ১৯৭৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে পিএইচ-ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে জাপানের কোয়েটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি। ২০০৮ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের নির্বাচিত ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।

সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞান সমিতির। উচ্চশিক্ষায় নারীর বিচরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হলে অনেক বাবাই তার মেয়েকে দ্রুত বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চান। এক্ষেত্রে সরকারি বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে অসচ্ছল ছাত্রীদের উচ্চতর শিক্ষা নিশ্চিত করা যেতে পারে। শিক্ষকরাও কাউন্সিলরের ভূমিকা রাখতে পারেন। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মেয়েরা যখন সংসার চালানোর পাশাপাশি বাচ্চা কোলে নিয়ে গবেষণা করতে চলে আসে তখন একজন নারী হিসেবে গর্ববোধ করি।

অধ্যাপক ড. শাহনাজ হক হুসেন ডিন, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোলে অনার্স ও মাস্টার্স করে ১৯৭৬ সালে বিভাগীয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ১৯৯২ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আমেরিকান স্টাডিস থেকে পিএইচ-ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০০২ ও ২০০৪ সালে যথাক্রমে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক দুটি পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একই সঙ্গে বিভাগের সভাপতি ও আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েরা সত্যিই ভালো করছে।

আগে আমরা মেয়েরা পড়াশোনায় ছেলেদের পেছনে ফেলতে চেষ্টা করতাম। কিন্তু এখন মেয়েদের অবস্থা এতই ভালো যে ছেলেরাই উল্টো মেয়েদের পেছনে ফেলার বৃথা চেষ্টা করতে হয়। এগুলো খুবই ভালো লক্ষণ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.