গাজীপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মনির উদ্দিন আহমদ নিজে নেতৃত্ব দিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী পালিয়েছেন। তাকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে একাধিক সরকার দলীয় নেতার নামে। এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চে ১৪ দলের আহবানে মঞ্চ ভাঙার প্রতিবাদ সমাবেশে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর চৌরাস্তায় জামাত শিবিরের তান্ডবের সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন (প্রথম আলো, পৃষ্ঠা ৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩) বলে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দিতে চাইলেও তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ১৪ দলের নেতারা তাকে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করলে জাগরণ মঞ্চের নেতারা আপত্তি তোলে। ফলত বক্তব্য না দিয়েই ক্ষান্ত থাকে জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে গাজীপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম যিনি গাজীপুরে মঞ্চ ভাঙার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি কিনা স্থানীয় সংসদ সদস্য আ, ক, ম মোজাম্মেল হকের উপস্থিতিতে বলেছেন ওই আন্দোলনে হিন্দুরাও মারা গেছে। তিনি একজন হিন্দুর জন্য দোয়া করতে পারেন না। ওই ধার্মিক ইমাম নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, ভাঙচুর করেছেন নিজেকে ইসলামের খেদমতদার ঘোষণা করেছেন অথচ সামান্য মামলার ভয়ে ভীত হয়ে পালিয়ে গেছেন। কথিত এই ধার্মিক কি আসলেই ধার্মিক। ধার্মিক কি সত্য প্রতিষ্ঠা না করে পালিয়ে যায়? আবার মামলার প্রস্তুতি চলার পরও যেসব সরকারি দলের নেতারা বিষয়টি অবগত ছিলেন তারা একজন ভন্ড ধার্মিককে সহযোগিতা করে পালাতে দিলেন কিভাবে? রাতভর কারা মিটিং করে ওই মনির উদ্দিনকে পালাতে দিল? যিনি সাধারণ ধর্মভীরু মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামিয়ে একটি স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনকে নস্যাত করে।
জনতা জেনে যায় সবই। কেবল প্রতিশোধ নিতে পারে না। কিন্তু এবার পারবে ঠিকই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।