"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
দোহাই লাগে, আমাকে "ইভ টীজার" ভেবোনা
তুমি “ইভ” কিনা জানিনা-তবে তোমাকে কিছু বলতে চাই।
কিভাবে বলবো সেটাই ভাবছি। মুখে বলা যদি অপরাধ হয়
তবে আজ নাহয় লিখেই জানাই। এ কথাতো সত্যি-
তোমাতে আমাতে কোন বিরোধ নেই, নেই কোন পূর্ব শত্রুতা।
তুমি আমার পাড়ার মেয়ে, স্কুলে পড়া থেকেই তোমাকে দেখছি।
প্রকারান্তরে তোমার সাথে ভাব জমাতে নিজের ছোট বোনকে বলেছি
তোমার বন্ধু হতে। বিশ্বাস করো, আমি বখাটে কিংবা মাস্তান নই-
বলতে পারো কলেজ পড়ুয়া এক স্মার্ট যুবক। তবে অতটা স্মার্ট নই যে-
তোমার সামনে যেয়ে অবলীলায় বলে বসবো-
“তোমাকে ভাললাগে” কিংবা “তোমাকে ভালবাসি”।
মেয়ে তোমার ভালমন্দ পছন্দ থাকতেই পারে,
এই সমাজে তুমি “ইভ” হবে কেন? জানো-
একদিন আমার দাদা এক মেয়েকে
বাঁশের সাঁকো পাড় হতে দেখে বলেছিল-
“এই খুকী, তুমি কোন বাড়ীর মেয়েগো?”
মেয়েটা লজ্জায় লাল হয়ে বলেছিল-“ভূঁইয়া বাড়ীর”।
দাদা আমার বাবাকেও পাঠিয়েছিল সেই সাঁকোর ধারে।
বলেছিল- ভূঁইয়া বাড়ীর এক মেয়ে রোজ সাঁকো পাড় হয়ে স্কুলে যায়
দেখিসতো মেয়েটা কেমন। বাবা আমার একদিন নয়,
পর পর সাতদিন রোদে পুড়ে দাঁড়িয়েছিল সেই সাঁকোর ধারে,
দেখেছিল সেই মেয়েকে আসতে যেতে। জানো-
আজ সেই মেয়েই আমার মা।
সেই যুগে মেয়েদের কেউ “ইভ” বলতো কিনা জানিনা।
আমার বাবাকে কিন্তু কেউ “ইভ টীজার” বলেনি।
আজ যুগ পাল্টেছে বটে, ভাললাগার চোখতো আর পাল্টায়নি।
প্রেমে পড়লে নাকি ছেলেরা কবিতা লেখে;
সত্যি বলছি, আমি মোটেও কবিতা লিখতে জানিনা,
তবে কবিতার মতো করে আজ যা কিছুই লিখলাম শুধু তোমারই জন্যে।
ভালবাসার শুদ্ধতম প্রকাশ আর কি হতে পারে জানা নেই।
বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে কখনোই “ইভ” ভাবিনা,
তোমাকে “টীজ” করবো এমন দুঃসাহসও আমার নেই।
আমার ভাললাগার প্রকাশটুকুই শুধু জানালাম-
দোহাই লাগে, আমাকে “ইভ টীজার” ভেবোনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।