আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবাই ডুবে আছে প্রতিক্রিয়ার সাগরে। তোমাদের কথা ভাবার সময় কোথায়?

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কিন্তু শিক্ষিত লোকই জাতির মেরুদণ্ড নহে

ঈদের সময়টা আমরা সবাই আনন্দে মেতে উঠি। পরিবার পরিজনের জন্য বছরের এই দুটো দিনই তো বরাদ্দ থাকে অনেকের। তবু প্রতিবছরই অনেকের কাছে ঈদের সময়টা বিশাদে পরিনত হয়। রানা প্লাযায় যারা নিহত হয়েছে, কিংবা ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনা যাদের প্রান কেড়ে নিয়েছে তাদের ঈদ কেমন হবে তা বলাই বাহুল্য। কিছু ঘটনার উপর কারো হাত থাকে না।

কিছু দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়া যায়। তবে সেটা মেনে নেয়া অনেক কস্টকর। এই দেশে সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের সাধারন মানুষের জীবনের দাম চায়না মোবাইলের মতই দিন দিন কমছে। কি অপরাধ ছিল প্রিতী দাসের?? কেনই বা তাকে এভাবে অপঘাতে প্রান দিতে হোল?? ট্রেনে ছুড়ে মারা পাথরে নারী প্রকৌশলী নিহত ওনার পরিবারে ৩ ভাইয়ের পর উনি ছিলেন সবার ছোট। কত কস্ট হয়েছে উনার পিতা-মাতার নিজের মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ার বানাতে।

সব স্বপ্ন শুধু একটা পাথরের আঘাতে চূর্ণ হয়ে গেলো। ট্রেনে যারা নিয়মত যাওয়া আসা করেন। তাদের অনেকেই এই ধরনের ঝামেলার সাথে পরিচিত। আমি নিজেও ২০০৬ এ ঢাকা থেকে চিটাগাং যাওয়ার পথে এই রকম পাথর নিক্ষেপের শিকার হয়েছিলাম। যারা এই ধরনের কাজে আনন্দ পায় তাদের মানসিকতা কতটা বিকৃত হতে পারে এই ঘটনাই তার প্রমান।

যারা নিজের সন্তানদের কোনটা ভালো কাজ আর কোনটা মন্দ কাজ এই প্রাথমিক শিক্ষাটুকু দিতে পারে না, আমি বলব তাদের জন্মই এক একটা অভিশাপ এই জাতির জন্য এই দেশের জন্য | দিন দিন কিছু মানুষের এই ধরনের মানবিক মুল্যবোধহীন আচরন আমাদের মত সাধারন জনগণকে সয়ে যেতে হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট একটি গুরুত্তপূরন রুট। কিন্তু এই রুটে চলাচল কারি ট্রেনের নিরাপত্তার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিক নয়। রেল পুলিশেরও অনেক দায়িত্ব আছে রেল পথের যাত্রীদের নিরাপত্তার রক্ষায়। গত কয়েক বছর ধরে বিপুল সংখ্যক লোক রেলের মাধ্যমে যাতায়াতকে প্রাধান্য দিচ্ছে, কিন্তু সে অনুপাতে রেলের নিরাপত্তা যথাযত হচ্ছে না।

অবশ্য এসব বলেও কোন লাভ নেই। কোন জায়গাতেই বা আমরা নিরাপদ। খারাপ লাগলো খবরটা পড়ে আজকে প্রীতি দাসের জায়গায় আমি অথবা অন্য কেউই হতে পারতো। দু একদিন হৈ চৈ তারপর সব শেষ। চলন্ত বাসে তো কেউ ইট পারতে সাহস পায়না ! কারন বাস থামিয়ে , ইট নিক্ষেপকারী কে ধরা হবে সে কারনে কিন্তূ কখনও ট্রেন থামে না ! মার খেয়ে চলে য়ায় ! ইটের আঘাটে রেলের ডাইভার মাথায় আঘাত পাওয়ায় রেলের মহাপরিচালক সাহেব ডাইভার কে হেলমেট পরে রেলগাড়ী চালানর পরামরশ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন !!! ক্ষমা করুন প্রীতি দাস।

আপনি তো আর ভি আই পি নন। তাই কোন মন্ত্রী, জন প্রতিনিধি আপনার বাসায় ছুটে যায় নি। আপনি তো জনপ্রিয় কেউ নন। তাই ফেসবুক, ব্লগে এর কোন প্রতিক্রিয়া নেই। সবাই এখন ব্যাস্ত, জামাত, লীগ, দল হেফাজত আর শাড়ি-ঘোমটা নিয়ে।

সাধারন পাবলিক খুন হলে কার কি আসে যায়??

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.